অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম (How to Buy Train Tickets Online)

Last Updated On:

অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম

আজ আপনাদের সাথে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। কথা না বাড়িয়ে চলুন কাজ শুরু করা যাক।

অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম (How to Buy Train Tickets Online)

আমরা প্রায়ই সময় কোথায় যাতায়াত করার জন্য ট্রেনে যাতায়াত করে থাকি। কিন্তু ট্রেনের টিকিট কাটার কাজটা আমরা বেশিরভাগ সময় সরাসরি  করে থাকি। যা বেশ সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। আপনি চাইলে এখন থেকে ঘরে বসেই আপনার কাঙ্খিত ট্রেনের টিকিট কাটতে পারেন। প্রযুক্তির কল্যানে আপনি চাইলেই খুবই সহজে ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কেটে নিতে পারেন। এর  জন্য আপনাকে বেশ কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হবে। নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

১. ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করুন

যদি আপনার পূর্বে কোন রেজিস্ট্রেশন করা না থাকে তাহলে প্রথমে আপনাকে অবশ্যেই রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এ জন্য প্রথমেই বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে ঢুকে প্রয়োজনীয় তথ্য (মোবাইল নাম্বার, এনআইডি কার্ড/স্মার্ট কার্ড এর নাম্বার ও জন্ম তারিখ)  দিয়ে/লিখে নিজের যাাবতীয় তথ্যকে ভেরিফাই করে নিতে হবে। নিচের ছবিটি লক্ষ্য করুন। এখানে এসে আপনাকে প্রথমে Register বাটনে ক্লিক করে ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করে নিতে হবে।

অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন যাচাই: আপনার জন্ম নিবন্ধন যাচাই করুন ২ মিনিটে!

ভেরিফাই করার নিয়ম

ভেরিফিকেশন সম্পন্নের পর যে পেজটি আসবে সেখানে আপনার সম্পূর্ণ নাম, মোবাইল নাম্বার, এনআইডি নাম্বার/ জন্ম নিবন্ধন নাম্বার, পোস্টাল কোড এবং ঠিকানা দিয়ে Sign Up বাটনটিতে ক্লিক করুন। কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখতে পাবেন, আপনার মোবাইলে ৬ ডিজিটের একটি “ভেরিফিকেশন কোড” পাঠানো হয়েছে। তারপর আপনাকে এই কোডটি দিয়ে Continue বাটনে ক্লিক করতে হবে। ভেরিফিকেশন এর কাজ শেষ হলে আপনার প্রোফাইলটি স্বয়ংক্রীয়ভাবে বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইটে লগইন হয়ে যাবে।

অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম (How to Buy Train Tickets Online)
ভেরিফাই করার নিয়ম

 

ট্রেনের সিট নির্বাচন এবং মূল্য পরিশোধ প্রক্রিয়া।

১. যাত্রা শুরু ও গন্তব্য স্টেশন, তারিখ এবং টিকিটের শ্রেণী নির্বাচন করুন: প্রথমে, আপনি যে স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করতে চান এবং যেখানে যেতে চান, সেটি নির্বাচন করুন। এরপর আপনার যাত্রার তারিখ এবং আপনি কোন শ্রেণীর (যেমন: শোভন, এসি) টিকিট কিনতে চান, সেটি নির্বাচন করুন।

২. “Find Ticket”-এ ক্লিক করুন: প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়ার পর “Find Ticket” অপশনে ক্লিক করুন।

৩. আপনার পছন্দের ট্রেন নির্বাচন করুন: এরপর, আপনার দেওয়া তথ্যের সাথে মিলে যাওয়া ট্রেনগুলোর তালিকা আসবে। এখান থেকে আপনার পছন্দের ট্রেনটি নির্বাচন করুন।

৪. “View Seat”-এ ক্লিক করুন: ট্রেন নির্বাচন করার পর “View Seat” অপশনে ক্লিক করে ট্রেনের সিট ম্যাপ দেখুন।

৫. আপনার সিট নির্বাচন করুন: ম্যাপ থেকে আপনার পছন্দসই সিটটি নির্বাচন করুন।

৬. “Continue Purchase”-এ ক্লিক করুন: সিট নির্বাচন করার পর “Continue Purchase” অপশনে ক্লিক করুন।

৭. টিকিটের মূল্য দেখুন: এরপর, টিকিটের মূল্য, ভ্যাট এবং সার্ভিস চার্জসহ মোট কত টাকা লাগবে, তা দেখানো হবে।

৮. পেমেন্ট পদ্ধতি নির্বাচন করুন: আপনি মোবাইল ব্যাংকিং (যেমন: বিকাশ, রকেট) অথবা ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন। আপনার পছন্দসই পদ্ধতিটি নির্বাচন করুন।

৯. “Confirm Purchase”-এ ক্লিক করুন: পেমেন্ট পদ্ধতি নির্বাচন করার পর “Confirm Purchase” অপশনে ক্লিক করুন।

১০. টিকিটের জন্য অপেক্ষা করুন: মূল্য পরিশোধ করার পর ৩০ মিনিটের মধ্যে আপনাকে জানানো হবে যে আপনার টিকিটটি সফল হয়েছে কিনা। তারপর টিকিট প্রিন্ট করার আপশন আসবে তখন টিকিটটি প্রিন্ট করে নিবেন।

এই ধাপগুলো অনুসরণ করে আপনি সহজেই ট্রেনের সিট নির্বাচন করতে এবং মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন।

অনলাইনে টিকিট ফেরত দেওয়ার পদ্ধতি:

ট্রেনের টিকিট অনলাইনে ফেরত দেওয়ার নিয়ম এখন আরও সহজ হয়েছে। আপনি ঘরে বসেই আপনার ট্রেনের টিকিট ফেরত দিতে পারবেন। নিচে অনলাইনে টিকিট ফেরত দেওয়ার পদ্ধতি এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আলোচনা করা হলো:

প্রথমে, আপনি যে অ্যাকাউন্ট থেকে টিকিট কিনেছেন, সেই অ্যাকাউন্টে লগইন করুন।

“পার্চেজ হিস্ট্রি” অপশনে যান। এখানে আপনি আপনার ক্রয় করা টিকিটের তালিকা দেখতে পাবেন।

যে টিকিটটি ফেরত দিতে চান, সেটির ডান পাশে “ক্যান্সেল” নামের একটি বাটন দেখতে পাবেন। এই বাটনে ক্লিক করুন।

“ক্যান্সেল” বাটনে ক্লিক করার পর, আপনাকে দেখানো হবে যে টিকিটটি ফেরত দিলে আপনি কত টাকা ফেরত পাবেন।

যদি আপনি টিকিটটি ফেরত দিতে চান, তাহলে নিশ্চিত করুন।

টাকা ফেরত পাওয়ার নিয়ম:

অনলাইনে টিকিট ফেরত দেওয়ার পর, টাকা সঙ্গে সঙ্গে ফেরত পাওয়া যায় না।

পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৮ কার্যদিবসের মধ্যে আপনার টাকা ফেরত দেওয়া হবে।

যদি ৮ কার্যদিবসের মধ্যে টাকা ফেরত না পান, তাহলে আপনি [ইমেল আইডি সরানো হয়েছে] এই ঠিকানায় ইমেইল করে অভিযোগ করতে পারেন।

আপনার অভিযোগের উত্তর ৭ কার্যদিবসের মধ্যে জানানো হবে।

টিকিট রিফান্ড পলিসি:

যাত্রার ৪৮ ঘণ্টা আগে টিকিট ফেরত দিলে, এসি ক্লাসের জন্য ৪০ টাকা, প্রথম শ্রেণির জন্য ৩০ টাকা এবং অন্য শ্রেণির জন্য ২৫ টাকা পরিষেবা চার্জ কাটা হবে।

যদি সময় ৪৮ ঘণ্টার কম হয় এবং ২৪ ঘণ্টার বেশি হয়, তাহলে ভাড়া থেকে মোট ২৫ শতাংশ কাটা হবে।

২৪ ঘণ্টার কম এবং ১২ ঘণ্টার বেশি হলে, ভাড়ার ৫০ শতাংশ কাটা হবে।

১২ ঘণ্টার কম এবং ৬ ঘণ্টার বেশি হলে, ভাড়ার ৭৫ শতাংশ কাটা হবে।

৬ ঘণ্টার কম সময়ের জন্য কোনো ফেরত দেওয়া হবে না।

অনলাইন ক্রয়ের জন্য পরিষেবা চার্জ ফেরতযোগ্য নয়।

কিছু অতিরিক্ত তথ্য:

টিকিট ফেরত দেওয়ার আগে, রিফান্ড পলিসি ভালোভাবে পড়ে নিন।

টিকিট ফেরত দেওয়ার সময়, আপনার টিকিট নম্বর এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য সাথে রাখুন।

যদি আপনি একাধিক টিকিট ফেরত দিতে চান, তাহলে প্রতিটি টিকিটের জন্য আলাদাভাবে অনুরোধ করতে হবে।

“আমার- যারা অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য আগ্রহী, তাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো, যাত্রার ৫ দিন আগে টিকিট কাটতে হয়। অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার সময়সীমা সকাল ৮:01 থেকে রাত ১১:44 পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে যে কেউ অনলাইনে টিকিট কাটতে পারবেন।

এই নিয়মটি যাত্রীদের জন্য খুবই সুবিধাজনক, কারণ তারা এখন ঘরে বসেই তাদের সময় অনুযায়ী টিকিট কাটতে সক্ষম।

তবে, টিকিট কাটার আগে যাত্রীদের কিছু বিষয় মনে রাখতে হবে:

যাত্রার তারিখ থেকে ৫ দিন আগে টিকিট কাটতে হবে।

সকাল ৮:01 থেকে রাত ১১:44 পর্যন্ত টিকিট কাটার সময়সীমা।

অনলাইনে টিকিট কাটার জন্য একটি বৈধ অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে।

পেমেন্ট করার জন্য অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম (যেমন বিকাশ, রকেট) ব্যবহার করতে হবে।- আমার”

ট্রেনের টিকিট কাটুন বিকাশে

ট্রেনের টিকিট এখন খুব সহজেই অনলাইনে কাটা যায়। বিকাশ পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করে আপনি ঘরে বসেই ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন। নিচে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম দেওয়া হলো:

১. প্রথমে বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইটে যান: www.eticket.railway.gov.bd

২. লগইন করুন: আপনার ইমেইল ঠিকানা, পাসওয়ার্ড এবং সিকিউরিটি কোড দিয়ে লগইন করুন।

৩. টিকিট ক্রয় করুন: “Purchase ticket” অপশনে ক্লিক করে আপনার পছন্দের ট্রেন, তারিখ এবং সিট নির্বাচন করুন।

৪. বিকাশ দিয়ে পেমেন্ট করুন: পেমেন্ট অপশনে বিকাশ নির্বাচন করুন। আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্ট নম্বর দিন এবং আপনার ফোনে আসা ছয় সংখ্যার ভেরিফিকেশন কোডটি লিখুন। বিকাশ পিন নম্বর দিয়ে কনফার্ম করুন।

৫. টিকিট সংগ্রহ করুন: আপনার টিকিট নিশ্চিত হয়ে গেলে, আপনি ই-টিকিট ডাউনলোড করতে পারবেন। যাত্রার দিন, স্টেশন থেকে আপনি এই ই-টিকিট দেখিয়ে মূল টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

  • আপনি অন্য কারো নামেও টিকিট কাটতে পারেন।
  • অনলাইনে টিকিট কাটার সময়, যাত্রীর পরিচয়পত্র (যেমন: জাতীয় পরিচয়পত্র) সাথে রাখতে হবে।
  • ট্রেনের টিকিট কাটার আগে, ট্রেনের সময়সূচি এবং ভাড়া ভালোভাবে দেখে নিন।
  • আপনি যদি কোনো সমস্যা সম্মুখীন হন, তাহলে বাংলাদেশ রেলওয়ের হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন।

১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী যাত্রীদের জন্য অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার ক্ষেত্রে কিছু বিশেষ নিয়ম রয়েছে। জন্ম নিবন্ধন নম্বর ব্যবহার করে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয় এবং জন্ম নিবন্ধন সনদের স্ক্যান কপি আপলোড করতে হয়। আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), পাসপোর্ট অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদের মাধ্যমে সফলভাবে নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। এমনকি যদি কেউ স্ট্যান্ডিং টিকিট কিনতে চান, তবুও তাকে নিবন্ধন করতে হবে।

একজন যাত্রী সর্বোচ্চ চারটি টিকিট ক্রয় করতে পারবেন। অনলাইনে টিকিট কেনার সময়, যাত্রীর সাথে ভ্রমণকারীদের নাম এবং জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্ম নিবন্ধন নম্বর উল্লেখ করতে হবে।

বর্তমানে অনলাইনে টিকিট কেটে ট্রেন ভ্রমণ করা অনেক সুবিধাজনক। এটি নিরাপদ ভ্রমণের অন্যতম উত্তম মাধ্যম। তবে, আমাদের দেশের ট্রেনের সময়সূচি প্রায়ই পরিবর্তন হয়, তাই যাত্রার আগে সময়সূচি জেনে নেওয়া ভালো।

কিছু অতিরিক্ত তথ্য:

  • আপনারা বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইট অথবা রেল সেবা অ্যাপ ব্যবহার করে অনলাইনে টিকিট কাটতে পারেন।
  • টিকিট কাটার সময়, আপনার পরিচয়পত্র (যেমন: জাতীয় পরিচয়পত্র) সাথে রাখুন।
  • পেমেন্ট করার জন্য আপনার বিকাশ, রকেট অথবা অন্য কোনো অনলাইন পেমেন্ট অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে।
  • ই-টিকিটটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিন অথবা আপনার মোবাইলে সংরক্ষণ করুন।
  • যাত্রার দিন স্টেশনে গিয়ে টিকেট কাউন্টার থেকে আপনার ই-টিকেট দেখিয়ে মূল টিকেট সংগ্রহ করুন।

অনলাইনে টিকিট পাওয়া যায়:

অনেকেই মনে করেন যে ট্রেনের টিকিট শুধু কাউন্টার থেকেই পাওয়া যায়। কিন্তু এখন অনলাইনেও টিকিট কাটার ব্যবস্থা আছে। আপনি ঘরে বসেই খুব সহজে অনলাইনে টিকিট কাটতে পারবেন।

কাউন্টার থেকে মূল টিকিট সংগ্রহ:

অনলাইনে টিকিট কাটলেও, যাত্রার সময় আপনাকে কাউন্টার থেকে মূল টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। অনলাইনে আপনি শুধু টিকিট বুক করতে পারবেন, কিন্তু ট্রেনে চড়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই কাউন্টার থেকে মূল টিকিট নিতে হবে।

সিট সংখ্যা:

অনলাইনে টিকিট কাটার সময় আপনি দেখতে পারবেন যে কতগুলো সিট বিক্রি হয়েছে এবং কতগুলো সিট এখনও খালি আছে। এর ফলে আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী সিট বেছে নিতে পারবেন।

কালোবাজারি রোধ:

সরকার এখন ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি রোধে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এর ফলে অনলাইনে টিকিট পাওয়া এখন অনেক সহজ হয়েছে।

টিকিট যার ভ্রমণ তার:

রেলওয়ে এখন “টিকিট যার ভ্রমণ তার” নীতি অনুসরণ করছে। তাই অন্যের টিকিটে ভ্রমণ করবেন না। যদি আপনি অন্যের টিকিটে ভ্রমণ করেন, তাহলে আপনাকে জরিমানা দিতে হতে পারে।

সার্ভার সমস্যা:

অনেক সময় সার্ভার সমস্যার কারণে অনলাইনে টিকিট কাটতে অসুবিধা হতে পারে। এমন হলে আপনাকে কিছুক্ষণ পর আবার চেষ্টা করতে হবে। সার্ভার ঠিক আছে কিনা, তা দেখে টিকিট কাটার চেষ্টা করুন।

মোবাইল মেসেজ দিয়ে রেজিস্ট্রেশন:

আপনি বাটন মোবাইল থেকেও রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। তবে টিকিট কাটার জন্য আপনার স্মার্টফোন বা কম্পিউটার লাগবে।

অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম সম্পর্কে ২০টি প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ) নিচে দেওয়া হলো:

১. অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য কি কি প্রয়োজন?

উত্তরঃ অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য আপনার একটি সচল মোবাইল নম্বর,ইমেইল আইডি, জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্ম নিবন্ধন নম্বর এবং অনলাইন পেমেন্টের জন্য বিকাশ/রকেট/নগদ অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে।

২. অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কিভাবে কাটব?

উত্তরঃ বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইট (https://eticket.railway.gov.bd/login/en) অথবা রেল সেবা অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন।

৩. রেল সেবা অ্যাপ কোথায় পাব?

উত্তরঃ রেল সেবা অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোর এবং অ্যাপল অ্যাপ স্টোরে পাওয়া যায়।

৪. অনলাইনে টিকিট কাটার সময়সীমা কি?

উত্তরঃ অনলাইনে টিকিট কাটার নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা নেই, তবে যাত্রার কয়েকদিন আগে টিকিট কাটলে ভালো।

৫. আমি কি অন্য কারো জন্য টিকিট কাটতে পারি?

উত্তরঃ হ্যাঁ, আপনি অন্য কারো জন্য টিকিট কাটতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে তার পরিচয়পত্র নম্বর লাগবে।

৬. একজন যাত্রী সর্বোচ্চ কয়টি টিকিট কাটতে পারবে?

উত্তরঃ একজন যাত্রী সর্বোচ্চ চারটি টিকিট কাটতে পারবেন।

৭. অনলাইনে কাটা টিকিটের মূল্য কিভাবে পরিশোধ করব?

উত্তরঃ আপনি বিকাশ, রকেট, অথবা অন্য কোনো অনলাইন পেমেন্ট পদ্ধতির মাধ্যমে টিকিটের মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন।

৮. অনলাইনে টিকিট কাটার পর কি টিকিট প্রিন্ট করতে হবে?

উত্তরঃ অনলাইনে টিকিট কাটার পর ই-টিকেট ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিতে পারেন। তবে, যাত্রার দিন স্টেশনে গিয়ে টিকেট কাউন্টার থেকে মূল টিকেট সংগ্রহ করতে হবে।

৯. আমি যদি টিকিট কাটতে গিয়ে কোনো সমস্যায় পড়ি তাহলে কি করব?

উত্তরঃ আপনি বাংলাদেশ রেলওয়ের হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন।

১০. অনলাইনে টিকিট বাতিল করার নিয়ম কি?

উত্তরঃ অনলাইনে টিকিট বাতিল করার নিয়মাবলী বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা আছে।

১১. টিকিট বাতিল করলে কত টাকা ফেরত পাওয়া যায়?

উত্তরঃ টিকিট বাতিলের ক্ষেত্রে রিফান্ড পলিসি অনুযায়ী টাকা ফেরত দেওয়া হয়।

১২. আমি কি মোবাইল দিয়ে অনলাইনে টিকিট কাটতে পারি?

উত্তরঃ হ্যাঁ, আপনি মোবাইল দিয়েও অনলাইনে টিকিট কাটতে পারেন।

১৩. অনলাইনে টিকিট কাটার জন্য কি কোনো বাড়তি চার্জ লাগে?

উত্তরঃ অনলাইনে টিকিট কাটার জন্য কোনো বাড়তি চার্জ লাগে না। তবে, অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করার জন্য কিছু চার্জ লাগতে পারে।

১৪. আমি যদি আমার ই-টিকিট হারিয়ে ফেলি তাহলে কি করব?

উত্তরঃ আপনি আপনার প্রোফাইলে লগইন করে ই-টিকিট পুনরায় ডাউনলোড করতে পারবেন।

১৫. ট্রেনের সময়সূচি কিভাবে জানব?

উত্তরঃ ট্রেনের সময়সূচি জানতে আপনি বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইটে যেতে পারেন অথবা রেল সেবা অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন।

১৬. আমি কিভাবে জানব যে কোন ট্রেনে সিট খালি আছে?

উত্তরঃ অনলাইনে টিকিট কাটার সময় আপনি দেখতে পারবেন যে কোন ট্রেনে সিট খালি আছে।

১৭. ওয়েবসাইটে লগইন করতে সমস্যা হলে কি করব?

উত্তরঃ আপনি আপনার পাসওয়ার্ড রিসেট করার চেষ্টা করতে পারেন অথবা হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন।

১৮. আমি যদি টিকিট কাটার সময় ভুল তথ্য দেই তাহলে কি করব?

উত্তরঃ আপনি হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করে আপনার সমস্যা জানাতে পারেন।

১৯. অনলাইনে টিকিট কাটার সবচেয়ে ভালো সময় কখন?

উত্তরঃ অনলাইনে টিকিট কাটার নির্দিষ্ট কোনো ভালো সময় নেই। তবে, ঈদের সময় বা বিশেষ ছুটির আগে টিকিট কাটলে ভালো।

২০. আমি কিভাবে নিশ্চিত হব যে আমার টিকিটটি নিশ্চিত হয়েছে?

উত্তরঃ টিকিট কাটার পর আপনাকে একটি কনফার্মেশন মেসেজ এবং ই-মেইল পাঠানো হবে। এর মাধ্যমে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন যে আপনার টিকিটটি নিশ্চিত হয়েছে।

Tags

You might Also Enjoy.....

অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন যাচাই

Read More
গর্ভবতী ভাতা

গর্ভবতী ভাতা: মাতৃত্বকালীন আর্থিক সহায়তার অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া

Read More
জন্ম নিবন্ধন করার নিয়ম

জন্ম নিবন্ধন করার নিয়ম: একটি সম্পূর্ণ গাইড

Read More

Leave a Comment

Join Us

Recommended Posts

অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম

অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম (How to Buy Train Tickets Online)

অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন যাচাই

গর্ভবতী ভাতা

গর্ভবতী ভাতা: মাতৃত্বকালীন আর্থিক সহায়তার অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া

জন্ম নিবন্ধন করার নিয়ম

জন্ম নিবন্ধন করার নিয়ম: একটি সম্পূর্ণ গাইড

জমির মৌজা ম্যাপ

জমির মৌজা ম্যাপ: কিভাবে খুঁজে বের করবেন ও ডাউনলোড করবেন?

কিমি

কিমি Kimi: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নতুন দিগন্ত

জমির স্ট্যাম্প লেখার নিয়ম

জমির স্ট্যাম্প লেখার নিয়ম: সম্পূর্ণ গাইডলাইন

About this site

সাইটটি মূলত টেকনোলজি রিলেটেড। নিত্য নতুন টেকনোলজি সম্পর্কে এখানে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। 

 

 

 

 

 

Top Rated Posts

প্রতিবন্ধী ভাতার আবেদন

প্রতিবন্ধী ভাতার আবেদন

জমির খাজনা চেক

জমির খাজনা চেক

পড়া মনে রাখার উপায়

পড়া মনে রাখার উপায়

জমির মালিকানা বের করার উপায়

জমির মালিকানা বের করার ‍উপায়

Recommended Posts

গুগল বার্ড কি?

গুগল বার্ড কি? গুগল বার্ড এর আদ্যোপান্ত।

ডিপফেক প্রযুক্তি

ডিপফেক প্রযুক্তি: সেরা ১২ টি ডিপফেক অ্যাপস। 

ডিপ ওয়েব

ডিপ ওয়েব: ডার্ক ওয়েব বনাম ডিপ ওয়েব।

ডেভিন

ডেভিন : প্রযুক্তির নতুন বিস্ময়।