ডিপসিক: ভবিষ্যতের AI এর এক ঝলক

Last Updated On:

ডিপসিক

ডিপসিক (Deep Seek) কি? আপনি যদি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) সম্পর্কে একটু হলেও জানেন, তাহলে ডিপসিক নামটি আপনার কানে আসতেই পারে। ডিপসিক হলো একটি উদীয়মান AI কোম্পানি যা বিশ্বব্যাপী AI গবেষণায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এই কোম্পানিটি বিশেষ করে বড় ভাষা মডেল (LLM) বিকাশের ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়ে গেছে।

আরো পড়ুনঃ চ্যাটজিপিটি: সম্ভাবনার অনন্ত দুয়ার

ডিপ সিক: DeepSeek

ডিপসিক
ডিপসিক

আজকের বিশ্বে, AI প্রযুক্তি আমাদের জীবনের প্রায় সব ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যসেবা পর্যন্ত, AI এর ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। এ জাতীয় কোম্পানিগুলো এই প্রযুক্তিকে আরও উন্নত করে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সাহায্য করছে।

ডিপসিকের বিকাশ করা LLM গুলো অনেক কাজে ব্যবহার করা যায়, যেমন:

  • ভাষা অনুবাদ: বিভিন্ন ভাষার মধ্যে খুব সঠিকভাবে অনুবাদ করা।
  • টেক্সট তৈরি: বিভিন্ন ধরনের লেখা, যেমন নিবন্ধ, কবিতা, ইমেইল ইত্যাদি স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি করা।
  • কোড লেখা: কম্পিউটার প্রোগ্রামের কোড স্বয়ংক্রিয়ভাবে লেখা।
  • তথ্য অনুসন্ধান: বিশাল পরিমাণ তথ্যের মধ্য থেকে নির্দিষ্ট তথ্য খুঁজে বের করা।

ডিপসিক কোন দেশের?

এটি একটি চীনা কোম্পানি। চীন বর্তমানে AI গবেষণায় বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ দেশ।

এটা কতটা শক্তিশালী?

এর শক্তি মূলত তার বড় ভাষা মডেল (LLM) গুলোর কারণে। এই মডেলগুলো বিশাল পরিমাণ তথ্যের উপর প্রশিক্ষিত হয় এবং তাই তারা মানুষের ভাষা বুঝতে এবং তৈরি করতে অসাধারণ দক্ষ।

ডিপসিকের শক্তির কিছু উদাহরণ:

  • ভাষা অনুবাদ: এর মডেলগুলো বিভিন্ন ভাষার মধ্যে খুব সঠিকভাবে অনুবাদ করতে পারে।
  • টেক্সট তৈরি: এটি বিভিন্ন ধরনের লেখা, যেমন নিবন্ধ, কবিতা, ইমেইল ইত্যাদি স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি করতে পারে।
  • কোড লেখা: কম্পিউটার প্রোগ্রামের কোড স্বয়ংক্রিয়ভাবে লেখা।
  • তথ্য অনুসন্ধান: বিশাল পরিমাণ তথ্যের মধ্য থেকে নির্দিষ্ট তথ্য খুঁজে বের করা।
  • সৃজনশীল কাজ: গল্প লেখা, কবিতা রচনা, এমনকি সঙ্গীত রচনা করতেও এটি ব্যবহার করা যেতে পারে।

ডিপসিকের শক্তি মাপার বিভিন্ন উপায়:

  • প্যারামিটারের সংখ্যা: একটি মডেলে কতগুলো প্যারামিটার আছে, তা তার জটিলতা এবং শক্তির একটি পরিমাপ হতে পারে।
  • প্রশিক্ষণের তথ্যের পরিমাণ: একটি মডেল কত পরিমাণ তথ্যের উপর প্রশিক্ষিত হয়েছে, তা তার জ্ঞানের পরিধি নির্ধারণ করে।
  • বিভিন্ন টাস্কে পারফরম্যান্স: বিভিন্ন কাজে একটি মডেল কত ভালো পারফর্ম করে, তা তার সামগ্রিক শক্তির একটি পরিমাপ হতে পারে।

ডিপ সিকের শক্তির সীমাবদ্ধতা:

  • বাস্তব বিশ্বের জ্ঞানের অভাব: এর মডেলগুলো প্রশিক্ষণের তথ্যের উপর নির্ভর করে। যদি প্রশিক্ষণের তথ্যে কোনো বিষয় সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্য না থাকে, তাহলে মডেলটি সেই বিষয়ে ভুল তথ্য দিতে পারে।
  • নৈতিক দিক: AI মডেলগুলোকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে এবং এগুলোর ব্যবহারের নৈতিক দিকগুলি এখনও একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
  • ব্যাখ্যার অভাব: ডিপ লার্নিং মডেলগুলো কীভাবে সিদ্ধান্ত নেয়, তা বোঝা খুব কঠিন।

ডিপসিক কিভাবে ব্যবহার করতে হয়?

মডেলগুলো সাধারণত API (Application Programming Interface) এর মাধ্যমে ব্যবহার করা হয়। ডেভেলপাররা এই API ব্যবহার করে তাদের নিজস্ব অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে পারে।

ডিপসিক (deepseek): অন্যান্য এআই থেকে কেন এত বিশেষ?

ডিপসিক, গুগলের তৈরি একটি অত্যন্ত শক্তিশালী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেল, যা অন্যান্য এআই মডেলের তুলনায় বেশ কিছু দিক থেকে অনন্য।

  • গভীর শিক্ষার অগ্রগতি: গভীর শিক্ষার (Deep Learning) ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। এটি বিশাল পরিমাণ ডেটা বিশ্লেষণ করে এবং নিজেই শিখতে সক্ষম। এর ফলে, ডিপসিক জটিল সমস্যার সমাধান করতে পারে, যেমন চিত্র স্বীকৃতি, ভাষা অনুবাদ এবং খেলা খেলা।
  • বাস্তব বিশ্বের সমস্যার সমাধান: বাস্তব বিশ্বের জটিল সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম। উদাহরণস্বরূপ, এটি চিকিৎসা বিজ্ঞানে রোগ নির্ণয় করতে, আবহাওয়া পূর্বাভাস দিতে এবং নতুন ওষুধ আবিষ্কার করতে ব্যবহৃত হতে পারে।
  • অনুবাদ ও ভাষা সম্পর্কিত কাজ:একাধিক ভাষায় অনুবাদ করতে পারে এবং ভাষার মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে। এটি ভাষা শিক্ষা এবং আন্তর্জাতিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটি বিপ্লব ঘটাতে পারে।
  • সৃজনশীল কাজ:  শুধুমাত্র তথ্য বিশ্লেষণ করে না, এটি নতুন ধারণা তৈরি করতে এবং সৃজনশীল কাজ করতেও সক্ষম। এটি কবিতা লিখতে, সঙ্গীত রচনা করতে এবং চিত্র আঁকতে পারে।
  • অবিরত শিক্ষা:  নতুন তথ্য এবং অভিজ্ঞতা থেকে ক্রমাগত শিখতে থাকে। এর ফলে, এটি সময়ের সাথে সাথে আরও বুদ্ধিমান হয়ে উঠতে থাকে।

সারসংক্ষেপে, গভীর শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি এবং এটি বাস্তব বিশ্বের জটিল সমস্যার সমাধান করতে, সৃজনশীল কাজ করতে এবং ক্রমাগত শিখতে সক্ষম একটি অত্যন্ত শক্তিশালী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল।

কিছু উদাহরণ:

  • চিকিৎসা: রোগ নির্ণয়, ওষুধ আবিষ্কার
  • অর্থনীতি: বাজারের পূর্বাভাস, ঝুঁকি মূল্যায়ন
  • পরিবেশ: আবহাওয়া পূর্বাভাস, জলবায়ু পরিবর্তন মডেলিং
  • শিল্প: চিত্রকলা, সঙ্গীত রচনা, ভিডিও গেম ডিজাইন

ডিপসিকের ভবিষ্যৎ

ভবিষ্যতে এ জাতীয় AI কোম্পানিগুলো আরও উন্নত মডেল বিকাশ করবে যা মানুষের জীবনকে আরও সহজ করে তুলবে। উদাহরণস্বরূপ, AI ভবিষ্যতে ডাক্তারদের রোগ নির্ণয় করতে সাহায্য করতে পারে, গবেষকদের নতুন ওষুধ আবিষ্কার করতে সাহায্য করতে পারে এবং শিক্ষার্থীদের শিখতে সাহায্য করতে পারে।

ডিপসিক (deepseek) সম্পর্কিত ১৫টি FAQ:

1. ডিপসিক কি?

ডিপসিক হল একটি উদীয়মান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) কোম্পানি যা বিশ্বব্যাপী AI গবেষণায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এই কোম্পানিটি বিশেষ করে বড় ভাষা মডেল (LLM) বিকাশের ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়ে গেছে।

2. এটা কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?

ডিপসিকের বিকাশ করা LLM গুলো অনেক কাজে ব্যবহার করা যায়, যেমন ভাষা অনুবাদ, টেক্সট তৈরি, কোড লেখা, তথ্য অনুসন্ধান ইত্যাদি। এটি AI প্রযুক্তিকে আরও উন্নত করে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সাহায্য করছে।

3. ডিপসিক এবং অন্যান্য AI মডেলের পার্থক্য কি?

ডিপসিক ছাড়াও, অনেক বড় টেক কোম্পানিই নিজস্ব AI মডেল বিকাশ করছে। উদাহরণস্বরূপ, ওপেন এআই এর চ্যাট জিপিটি এবং গুগলের জেমিনি। প্রতিটি মডেলের নিজস্ব সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে এবং বিভিন্ন কাজের জন্য ভিন্ন ভিন্ন মডেল উপযুক্ত হতে পারে।

4. এটা কোন দেশের?

এটা একটি চীনা কোম্পানি। ডিপসিক একটি চীনা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স কোম্পানি যার প্রতিষ্ঠা হয়েছিল দক্ষিণ-পূর্ব চীনের শহর হাংঝুতে।ডিপসিকের প্রতিষ্ঠাতা লিয়াং ওয়েনফেং। চীন বর্তমানে AI গবেষণায় বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ দেশ।

5. এটা কতটা শক্তিশালী?

এর মডেলগুলো অত্যন্ত শক্তিশালী এবং বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যায়। তবে, কোনো একটি মডেলকে “সবচেয়ে শক্তিশালী” বলা কঠিন, কারণ শক্তিশালী বলতে কী বোঝায় তা নির্ভর করে ব্যবহারের ক্ষেত্রের উপর।

6.  কিভাবে ব্যবহার করতে হয়?

ডিপ সিক API ব্যবহারের ধাপ:

  1. অ্যাকাউন্ট তৈরি: প্রথমে আপনাকে ডিপ সিকের প্ল্যাটফর্মে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আপনি API কী এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য পাবেন।
  2. API কী জেনারেট করা: অ্যাকাউন্ট তৈরি করার পর আপনাকে একটি API কী জেনারেট করতে হবে। এই কী আপনার অ্যাপ্লিকেশনকে ডিপ সিকের সার্ভারের সাথে সংযুক্ত করতে সাহায্য করবে।
  3. ডকুমেন্টেশন পর্যালোচনা: ডিপ সিক প্রদত্ত ডকুমেন্টেশন খুব ভালোভাবে পড়ুন। এই ডকুমেন্টেশনে আপনি API এর বিভিন্ন ফাংশন, প্যারামিটার এবং ব্যবহারের নির্দেশাবলী পাবেন।
  4. কোড লেখা: আপনার পছন্দের প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করে আপনি ডিপ সিকের API কল করার জন্য কোড লিখবেন। এই কোডে আপনি API কী, ইনপুট ডেটা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করবেন।
  5. টেস্টিং: আপনার কোডটি লেখার পর ভালোভাবে টেস্ট করুন। নিশ্চিত হোন যে কোডটি ডিপ সিকের API এর সাথে সঠিকভাবে যোগাযোগ করছে এবং আপনার প্রত্যাশিত ফলাফল দিচ্ছে।

ডিপ সিক API দিয়ে কী কী করা যায়?

  • চিত্র স্বীকৃতি: ডিপ সিকের চিত্র স্বীকৃতি মডেল ব্যবহার করে আপনি কোনো ছবিতে কী আছে তা শনাক্ত করতে পারেন।
  • ভাষা অনুবাদ: ডিপ সিকের ভাষা অনুবাদ মডেল ব্যবহার করে আপনি একটি ভাষা থেকে অন্য ভাষায় অনুবাদ করতে পারেন।
  • স্বাভাবিক ভাষা প্রক্রিয়াকরণ: ডিপ সিকের NLP (Natural Language Processing) মডেল ব্যবহার করে আপনি মানুষের ভাষা বুঝতে এবং তা বিশ্লেষণ করতে পারেন।
  • পূর্বাভাস: ডিপ সিকের পূর্বাভাস মডেল ব্যবহার করে আপনি ভবিষ্যৎ ঘটনা পূর্বাভাস করতে পারেন।

উদাহরণ:

  • একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইটে ডিপ সিকের চিত্র স্বীকৃতি মডেল ব্যবহার করে পণ্যের ছবি অনুযায়ী পণ্য সার্চ করা যেতে পারে।
  • একটি চ্যাটবটে ডিপ সিকের NLP মডেল ব্যবহার করে ব্যবহারকারীর প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যেতে পারে।
  • একটি স্বাস্থ্যসেবা অ্যাপে ডিপ সিকের মডেল ব্যবহার করে রোগ নির্ণয় করা যেতে পারে।

মনে রাখবেন:

  • ডিপ সিকের API ব্যবহার করার জন্য কিছুটা প্রোগ্রামিং জ্ঞান থাকা জরুরি।
  • ডিপ সিকের বিভিন্ন মডেলের জন্য বিভিন্ন ধরনের ইনপুট ডেটা প্রয়োজন হয়।
  • ডিপ সিকের API এর ব্যবহার নির্ভর করে আপনার প্রয়োজনের উপর।

আপনি কি আরও বিস্তারিত জানতে চান? আপনি যদি কোনো নির্দিষ্ট মডেল বা ব্যবহারের ক্ষেত্রে আরও জানতে চান, তাহলে আমাকে জানাতে পারেন।

কিছু জনপ্রিয় ডিপ লার্নিং ফ্রেমওয়ার্ক যা ডিপ সিকের মতো মডেল তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়:

  • TensorFlow
  • PyTorch
  • Keras

আপনি এই ফ্রেমওয়ার্কগুলো ব্যবহার করে নিজেই ডিপ লার্নিং মডেল তৈরি করতে পারেন।

7. এর ভবিষ্যৎ কি?

এ জাতীয় এআই মডেলের ভবিষ্যৎ অত্যন্ত উজ্জ্বল। এই মডেলগুলো ক্রমাগত উন্নত হচ্ছে এবং আমাদের জীবনের প্রায় সব ক্ষেত্রেই বিপ্লব ঘটাতে যাচ্ছে।

ভবিষ্যতে এ জাতীয় এপর মতো এআই কী কী করতে পারে?

  • চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিপ্লব: এআই ডাক্তারদের রোগ নির্ণয় করতে, চিকিৎসা পরিকল্পনা তৈরি করতে এবং নতুন ওষুধ আবিষ্কার করতে সাহায্য করবে। এটি জিনোমিক ডেটা বিশ্লেষণ করে ব্যক্তিগতকৃত চিকিৎসা সম্ভব করে তুলবে।
  • শিক্ষায় বিপ্লব: এআই শিক্ষার্থীদের শিখতে সাহায্য করবে। এটি ব্যক্তিগতকৃত শিক্ষা, ভাষা শিক্ষা এবং অনলাইন কোর্সের মাধ্যমে শিক্ষাকে আরও আকর্ষণীয় এবং কার্যকর করে তুলবে।
  • অর্থনীতিতে বিপ্লব: এআই অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে, যেমন ব্যাংকিং, বীমা এবং বিনিয়োগ, বিপ্লব ঘটাবে। এটি ঝুঁকি মূল্যায়ন, ধারণার অনুমোদন এবং বাজারের পূর্বাভাস করতে সাহায্য করবে।
  • পরিবেশ সংরক্ষণে বিপ্লব: এআই পরিবেশ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এটি জলবায়ু পরিবর্তনের পূর্বাভাস, দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং নতুন শক্তি উৎস আবিষ্কার করতে সাহায্য করবে।
  • সৃজনশীল কাজে বিপ্লব: এআই সঙ্গীত রচনা, চিত্রকর্ম এবং সাহিত্য রচনা করতে সক্ষম হবে। এটি নতুন ধরনের শিল্প এবং বিনোদনের সৃষ্টি করবে।
  • স্বয়ংচালিত গাড়ি: এআই স্বয়ংচালিত গাড়ির বিকাশকে ত্বরান্বিত করবে, যা যাতায়াতকে আরও নিরাপদ এবং দক্ষ করে তুলবে।

এটার  ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ:

  • নৈতিকতা: এআই-এর উন্নয়নে নৈতিক বিষয়গুলো বিবেচনা করা জরুরি। এআই-কে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে, এটি কীভাবে সিদ্ধান্ত নেবে এবং এটি কীভাবে মানুষের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করবে, এসব বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশিকা প্রয়োজন।
  • গোপনীয়তা: এআই ব্যবহার করে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণ করা হয়। তাই, ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
  • বৈষম্য: এআই-এর মধ্যে বৈষম্যের সম্ভাবনা রয়েছে। যদি এআইকে বৈষমিক ডেটা দিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, তাহলে এটি বৈষমিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

8. এটা ব্যবহার করে কোন কোন কাজ করা যায়?

এটা ব্যবহার করে বিভিন্ন কাজ করা যায়, যেমন:

  • ভাষা অনুবাদ
  • টেক্সট তৈরি
  • কোড লেখা
  • তথ্য অনুসন্ধান
  • ভিডিও সম্পাদনা
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • এবং আরও অনেক কিছু।

9. এটা ব্যবহারের সুবিধা কি?

এটা ব্যবহারের অনেক সুবিধা রয়েছে, যেমন:

  • কাজের গতি বাড়ায়
  • মানবিক ভুল কমায়
  • নতুন ধরনের কাজ সম্পন্ন করে
  • ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত করে

10. এটা ব্যবহারের অসুবিধা কি?

এটা ব্যবহারের কিছু অসুবিধাও রয়েছে, যেমন:

  • ব্যয়বহুল হতে পারে
  • প্রশিক্ষণের জন্য বিশেষ দক্ষতা প্রয়োজন
  • গোপনীয়তা সম্পর্কিত উদ্বেগ থাকতে পারে

11. এটা কিভাবে অন্যান্য AI মডেল থেকে আলাদা?

অন্যান্য AI মডেল থেকে আলাদা হতে পারে তার স্থাপত্য, প্রশিক্ষণের তথ্য এবং ব্যবহারের ক্ষেত্রের কারণে।

12.  ভবিষ্যতের জন্য কোন কোন চ্যালেঞ্জ রয়েছে?

 ভবিষ্যতের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেমন:

  • নৈতিকতা এবং জবাবদিহিতা
  • গোপনীয়তা
  • নিরাপত্তা
  • বৈষম্য

13. এটা কিভাবে সমাজকে প্রভাবিত করবে?

সমাজকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এটি কর্মসংস্থানের বাজারকে পরিবর্তন করতে পারে, নতুন ধরনের ব্যবসা সৃষ্টি করতে পারে এবং মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে পারে।

14. এটা  শিখতে কোন কোন সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়?

এ জাতীয় AI মডেল শিখতে বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়, যেমন:

  • TensorFlow
  • PyTorch
  • Keras
  • এবং আরও অনেক কিছু।

মনে রাখবেন: এই FAQ গুলো একটি সাধারণ ধারণা দেওয়ার জন্য। AI একটি দ্রুত বিকাশশীল ক্ষেত্র এবং তথ্যগুলি নিয়মিত আপডেট হতে থাকে।

উপসংহার

ডিপ সিক AI জগতে একটি উদীয়মান শক্তিঘর। এই কোম্পানিটি AI প্রযুক্তির উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ভবিষ্যতে এ জাতীয় কোম্পানিগুলোর কারণে আমরা আরও উন্নত এবং স্মার্ট একটি বিশ্বে বাস করব।

Tags

You might Also Enjoy.....

অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম

অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম (How to Buy Train Tickets Online)

Read More

অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন যাচাই

Read More
গর্ভবতী ভাতা

গর্ভবতী ভাতা: মাতৃত্বকালীন আর্থিক সহায়তার অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া

Read More

2 responses to “ডিপসিক: ভবিষ্যতের AI এর এক ঝলক”

  1. […] আরো পড়ুনঃ ডিপসিক: ভবিষ্যতের AI এর এক ঝলক […]

  2. […] আরো পড়ুনঃ ডিপসিক: ভবিষ্যতের AI এর এক ঝলক […]

Leave a Comment

Join Us

Recommended Posts

অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম

অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম (How to Buy Train Tickets Online)

অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন যাচাই

গর্ভবতী ভাতা

গর্ভবতী ভাতা: মাতৃত্বকালীন আর্থিক সহায়তার অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া

জন্ম নিবন্ধন করার নিয়ম

জন্ম নিবন্ধন করার নিয়ম: একটি সম্পূর্ণ গাইড

জমির মৌজা ম্যাপ

জমির মৌজা ম্যাপ: কিভাবে খুঁজে বের করবেন ও ডাউনলোড করবেন?

কিমি

কিমি Kimi: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নতুন দিগন্ত

জমির স্ট্যাম্প লেখার নিয়ম

জমির স্ট্যাম্প লেখার নিয়ম: সম্পূর্ণ গাইডলাইন

About this site

সাইটটি মূলত টেকনোলজি রিলেটেড। নিত্য নতুন টেকনোলজি সম্পর্কে এখানে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। 

 

 

 

 

 

Top Rated Posts

প্রতিবন্ধী ভাতার আবেদন

প্রতিবন্ধী ভাতার আবেদন

জমির খাজনা চেক

জমির খাজনা চেক

পড়া মনে রাখার উপায়

পড়া মনে রাখার উপায়

জমির মালিকানা বের করার উপায়

জমির মালিকানা বের করার ‍উপায়

Recommended Posts

গুগল বার্ড কি?

গুগল বার্ড কি? গুগল বার্ড এর আদ্যোপান্ত।

ডিপফেক প্রযুক্তি

ডিপফেক প্রযুক্তি: সেরা ১২ টি ডিপফেক অ্যাপস। 

ডিপ ওয়েব

ডিপ ওয়েব: ডার্ক ওয়েব বনাম ডিপ ওয়েব।

ডেভিন

ডেভিন : প্রযুক্তির নতুন বিস্ময়।