দলিল সম্পর্কে খুটিনাটি জানার জন্য আমার এই আর্টিকেলটি পড়ে দেখতে পারেন। আশা করি আপনার অনেক অজানা তথ্য পেয়ে যাবেন এই আর্টিকেলটিতে।
আরো পড়ুন- অনলাইনে জমির খাজনা দেওয়ার নিয়ম।
তো কথা না বাড়িয়ে চলুন মূল কাজ শুরু করা যাক।
দলিল সম্পর্কে খুটিনাটি
দলিল কি?
দলিল হল লিখিত তথ্য যা কোন ঘটনা, চুক্তি, বা লেনদেনের প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এটি আইনি কার্যকারিতা বহন করে এবং বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে, যেমন:
- মালিকানা প্রমাণ: জমি, সম্পত্তি, বা অন্যান্য সম্পদের মালিকানা প্রমাণ করার জন্য।
- চুক্তি পূরণ: চুক্তির শর্তাবলী পূরণ করা হয়েছে তা প্রমাণ করার জন্য।
- ঋণের প্রমাণ: ঋণের পরিমাণ, শর্তাবলী এবং পরিশোধের ইতিহাস প্রমাণ করার জন্য।
- আইনি কার্যকলাপ: আদালতে মামলা দायर করা, মামলা লড়াই করা, বা আইনি সিদ্ধান্ত পেতে।
- ঐতিহাসিক তথ্য: অতীতের ঘটনা বা ব্যক্তিদের সম্পর্কে তথ্য প্রদানের জন্য।
দলিলের প্রকারভেদ:
দলিল বিভিন্ন ধরণের হতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:
- রাজনৈতিক দলিল: সরকারি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জারি করা দলিল, যেমন জন্ম সনদ, মৃত্যু সনদ, ভোটার আইডি, ইত্যাদি।
- ব্যক্তিগত দলিল: ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক তৈরি করা দলিল, যেমন চুক্তি, রসিদ, চিঠি, ইত্যাদি।
- আইনি দলিল: আদালত কর্তৃক জারি করা দলিল, যেমন ওয়ারেন্ট, সমন, রায়, ইত্যাদি।
- ঐতিহাসিক দলিল: অতীতের ঘটনা বা ব্যক্তিদের সম্পর্কে তথ্য ধারণকারী দলিল, যেমন প্রাচীন পাণ্ডুলিপি, চিঠি, ডায়েরি, ইত্যাদি।
দলিলের গুরুত্ব:
দলিল গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি :
- আইনি প্রমাণ প্রদান করে: কোন বিষয়ে আইনি বিরোধ দেখা দিলে দলিল প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
- অধিকার রক্ষা করে: দলিল ব্যবহার করে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তাদের অধিকার রক্ষা করতে পারে।
- স্মৃতি ধরে রাখে: ঐতিহাসিক দলিল অতীতের ঘটনা ও ব্যক্তিদের সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনে সহায়তা করে।
দলিল সংরক্ষণ:
দলিলগুলি সাবধানে সংরক্ষণ করা উচিত কারণ এগুলি হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হয়ে গেলে গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে। দলিল সংরক্ষণের জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করা যেতে পারে:
- শুষ্ক এবং ঠান্ডা জায়গায় সংরক্ষণ করুন: আর্দ্রতা এবং তাপমাত্রা দলিল নষ্ট করতে পারে।
- আলো থেকে দূরে রাখুন: সূর্যের আলো দলিলের রঙ ফ্যাকিয়ে দিতে পারে এবং এটিকে ভঙ্গুর করে তুলতে পারে।
- একটি নিরাপদ জায়গায় সংরক্ষণ করুন: আগুন, চুরি, বা অন্যান্য বিপদ থেকে দলিল রক্ষা করার জন্য একটি নিরাপদ জায়গায় সংরক্ষণ করুন।
খতিয়ানঃ দলিল সম্পর্কে খুটিনাটি
মৌজা ভিত্তিক এক বা একাধিক ভূমি মালিকের ভূ-সম্পত্তির বিবরণ জরিপকালে যে ভূমি রেকর্ড প্রস্তুত করা হয় সেই ভূমি রেকর্ডকে খতিয়ান বলে। এতে ভূমি মালিক বা ভূমি মালিকদের নাম ও প্রজার নাম, জমির দাগ নং, পরিমাণ, প্রকৃতি, খাজনার হার প্রভৃতি উল্লেখ থাকে। বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের খতিয়ানের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
দলিলের খুটিনাটি
তন্মধ্যে সিএস, এসএ এবং আরএস খতিয়াল উল্লেখযোগ্য। যে কোন খতিয়ান প্রস্তুত করা হয় সংশ্লিষ্ট এলাকার মৌজা ভিত্তিক।
সি এস খতিয়ানঃ দলিল সম্পর্কে খুটিনাটি
১৯১০-১৯২০ সনের মধ্যে সরকারি আমিনগণ দেশের প্রতিটি ভূমিখণ্ড পরিমাপ করে উহার আয়তন, অবস্থান ও ব্যবহারের প্রকৃতি নির্দেশক মৌজা নকশা এবং প্রতিটি ভূমিখন্ডের মালিক দখলকারের বিররণ সংবলিত যে খতিয়ান তৈরি করেন তা সকলের নিকট সিএস খতিয়ান নামে পরিচিত।
এস এ খতিয়ানঃ দলিল সম্পর্কে খুটিনাটি
১৯৫০ সালের জমিদারি অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন পাসের পর সরকার জমিদারি অধিগ্রহণ করেন। তৎপর সরকারি জরিপ কর্মচারীরা সরেজমিনে মাঠে না গিয়ে সিএস খতিয়ান সংশোধন করে যে খতিয়ান প্রস্তুত করেন তা আমাদের দেশে এসএ খতিয়ান নামেও পরিচিত। বাংলা ১৩৬২ সালে এই খতিয়ান প্রস্তুত হয় বলে এ দেশের বেশির ভাগ মানুষের এ খতিয়ানকে ৬২ র খতিয়ান নামেও চিনে থাকে।
আর এস খতিয়ানঃ দলিল সম্পর্কে খুটিনাটি
1970 সালে পাকিস্তান আমলের প্রস্তুতকৃত এস এ খতিয়ানে বিভিন্ন ভুল পরিলক্ষিত হয়। এ সমস্ত ভুল সংশোধন করার লক্ষ্যে ভূমি জরিপ কার্যক্রম চালু হয়। উক্ত কার্যক্রম চলাকালে যে খতিয়ান প্রস্তুত করা হয় তাহাই আর এইচ খতিয়ান নামে পরিচিত। দেখা যায় যে, এসএ জরিপের আলোকে প্রস্তুতকৃত খতিয়ান প্রস্তুতের সময় জরিপ কর্মচারীরা সরেজমিনে তদন্ত করেনি। তাতে অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতি রয়ে গেছে। ওই ত্রুটি-বিচ্যুতি দূর করার জন্য বাংলাদেশ সরকার দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরেজমিনে ভূমি মাপ-ঝোঁক করে পুনরায় খতিয়ান প্রস্তুত করার উদ্যোগ নিয়েছেন। আর এই খতিয়ান বর্তমানে আরএস খতিয়ান নামে পরিচিত।
বি এস খতিয়ান- দলিল সম্পর্কে খুটিনাটি
.১৯৯৮ সাল থেকে বর্তমান সাল বা সময় পর্যন্ত চলমান ভূমি জরিপ থেকে প্রস্তুতকৃত নথিকে বি এস খতিয়ান বলা হয়। ১৯৯৮ সালে ঢাকা মহানগর ভূমি জরিপ এর মাধ্যমে এই খতিনের উদ্ভব হয়। বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমি জরিপ চালু আছে এবং এই ভূমি জরিপের মাধ্যমে বিএস নামক খতিয়ান প্রস্তুত করা হয়। যেহেতু বর্তমানে সমস্ত খতিয়ানই বিএস খতিয়ান নামে পরিচিত তাই জমি সংক্রান্ত যে কোন তথ্য পাওয়ার জন্য বি এস খতিয়ান অনুসন্ধান করে এই খতিয়ানের বিভিন্ন তথ্য দেখতে পারেন।
দলিল” কাকে বলে?
যে কোন লিখিত বিবরণ আইনগত সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণযোগ্য তাকে দলিল বলা হয়। তবে রেজিস্ট্রেশন আইনের বিধান মোতাবেক জমি ক্রেতা এবং বিক্রেতা সম্পত্তি হস্তান্তর করার জন্য যে চুক্তিপত্র সম্পাদন ও রেজিস্ট্রি করেন সাধারন ভাবেতাকে দলিল বলে।
খানাপুরি” কাকে বলে?
জরিপের কাজ করার সময় মৌজার নক্সা তৈরির করার পর খতিয়ান প্রস্তুতকালে খতিয়ান ফর্মের প্রতিটি কলাম জরিপ সংশ্লিষ্ট কর্মচারী কর্তৃক পূরণ করার যে পক্রিয়া সেই প্রক্রিয়াকে খানাপুরি বলে।
নামজারি কাকে বলে ?
ক্রয়সূত্রে বা উত্তরাধিকার সূত্রে অথবা অন্য যেকোন বৈধ সূত্রে জমির নতুন মালিক হলে নতুন মালিকের নাম সরকারি খতিয়ানে খতিয়ানভুক্ত করার প্রক্রিয়াকে নামজারী বলা হয়।
“তফসিল” কাকে বলে?
জমির পরিচয় বহন করে অর্থাত জমির যাবতীয় বিষয় বিষয় সম্বলিত এমন বিস্তারিত বিবরণকে “তফসিল” বলে। একটি তফসিলে, জমির মৌজার নাম, নাম্বার, খতিয়ার নাম্বার, দাগ নাম্বার, জমির চৌহদ্দি, জমির পরিমাণ সহ ইত্যাদি তথ্য সন্নিবেশ থাকে।
দাগ নাম্বার কাকে বলে? / কিত্তা কি ?
দাগ শব্দের অর্থ ভূমি অর্থাত দাগ নাম্বারকে আপনি ভূমি নাম্বারও বলতে পারেন-। ভূমির ভাগ বা ভূমির অংশ বা পরিমাপ করা হয়েছে এবং যে সময়ে পরিমাপ করা হয়েছিল সেই সময়ে ক্রম অনুসারে প্রদত্ত ওই পরিমাপ সম্পর্কিত নম্বর। যখন ভূমি জরিপ ম্যাপ প্রস্তুত করা হয় তখন মৌজা নক্সায় ভূমির সীমানা চিহ্নিত বা সনাক্ত করার লক্ষ্যে প্রতিটি ভূমির ভিন্ন ভিন্ন খন্ডকে আলাদা আলাদা নাম্বার দেয়া হয়। আর এই নাম্বারকেই মূলত দাগ নাম্বার বলে। একেকটি দাগ নাম্বারে ভিন্ন ভিন্ন পরিমাণের ভূমি থাকতে পারে। মূলত, ভূমির দাগ নাম্বার অনুসারে যে কোন মৌজার অধীনে ভূমি মালিকের সীমানা, খূটিঁ বা আইল (আপনার এলাকার ভাষায় পড়তে পারেন) দিয়ে সরেজমিন প্রর্দশন করা হয়। দাগকে কোথাও কিত্তা বলা হয়।
“ছুটা দাগ” কাকে বলে?
ভূমি জরিপকালে প্রাথমিক অবস্থায় নকশা প্রস্তুত অথবা সংশোধনের সময় নকশার প্রতিটি ভূমি এককে যে নাম্বার দেওয়া হয় সে সময় যদি কোন নাম্বার ভুলে বাদ পড়ে যায তাহলে সেই বাদ পড়া দাগকে ছুটা দাগ বলে। আবার প্রাথমিক পর্যায়ে যদি দুটি দাগ একত্রিত করে নকশা পুন: সংশোধন করা হয় তখন যে দাগ নাম্বার বাদ যায় তাকেও ছুটা দাগ বলে।
পর্চা কীঃ / “পর্চা” কাকে বলে?
ভূমি জরিপকালে চূড়ান্ত খতিয়ান প্রস্তত করার পূর্বে ভূমি মালিকদের নিকট খসড়া খতিয়ানের যে অনুলিপি ভুমি মালিকদের প্রদান করা করা হয় তাকে “মাঠ পর্চা” বলে। এই মাঠ পর্চা রেভিনিউ/রাজস্ব অফিসার কর্তৃক তসদিব বা সত্যায়ন হওয়ার পর যদি কারো কোন আপত্তি থাকে তাহলে তা শোনানির পর খতিয়ান চুড়ান্তভাবে প্রকাশ করা হয়। আর চুড়ান্ত খতিয়ানের অনুলিপিকে “পর্চা” বলে।
চিটা কাকে বলে?
একটি ক্ষুদ্র ভূমির পরিমাণ, রকম ইত্যাদির পূর্ণ বিবরণ চিটা নামে পরিচিত। বাটোয়ারা মামলায় প্রাথমিক ডিক্রি দেয়ার পর তাকে ফাইনাল ডিক্রিতে পরিণত করার আগে অ্যাডভোকেট কমিশনার সরেজমিন জমি পরিমাপ করে প্রাথমিক ডিক্রি মতে, সম্পত্তি পক্ষদের মাঝে বুঝায়ে দেন। তখন তিনি যে খসড়া ম্যাপ প্রস্তুত করেন তা চিটা বা চিটাদাগ নামে পরিচিত।
দখলনামা কাকে বলে?
দখল হস্তান্তরের সনদপত্র। সার্টিফিকেট জারীর মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি কোনো সম্পত্তি নিলাম খরিদ করে নিলে সরকার পক্ষ সম্পত্তির ক্রেতাকে দখল বুঝিয়ে দেয়ার পর যে সনদপত্র প্রদান করেন তাকে দখলনামা বলে। সরকারের লোক সরেজমিনে গিয়ে ঢোল তবলা পিটিয়ে, লাল নিশান উড়িয়ে বা বাঁশ গেড়ে বৈধ বা সংশ্লিষ্ট মালিককে দখল প্রদান করেন। আবার কোনো ডিক্রিজারির ক্ষেত্রে কোনো সম্পত্তি নিলাম বিক্রয় হলে আদালত ওই সম্পত্তির ক্রেতাকে দখল দখলের দলিল বুঝিয়ে দিয়ে যে সার্টিফিকেট প্রদান করেন তাকেও দখলনামা বলা হয়। যিনি সরকার অথবা আদালতের অথবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে কোনো সম্পত্তির দখলনামা প্রাপ্ত হন, ধরে নিতে হবে যে, দখলনামা প্রাপ্ত ব্যক্তির সংশ্লিষ্ট সম্পত্তিতে দখল আছে।
খাজনা” ককে বলে?
সরকার প্রতি বছর প্রজার নিকট থেকে বা ভূমি মালিকদের নিকট থেকে ভূমি ব্যবহারের জন্য যে কর আদায় করেন তাকে খাজনা বলে।
জমাবন্দি–
জমাবন্দি হলো জমি সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল যা জমিদারি আমলে ব্যবহৃত হত। বর্তমানেও এটি কিছু পরিমাপে ব্যবহৃত হয়।
জমাবন্দির প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হল:
জমি মালিকের নাম: জমি মালিকের নাম, ঠিকানা এবং জমির পরিমাণ উল্লেখ থাকে।
জমির ধরণ: জমির ধরণ, যেমন কৃষি জমি, বসতবাড়ির জমি, বা অন্যান্য জমি উল্লেখ থাকে।
খাজনার পরিমাণ: জমির জন্য প্রযোজ্য খাজনার পরিমাণ উল্লেখ থাকে।
জমির খতিয়ান নম্বর: জমির খতিয়ান নম্বর উল্লেখ থাকে।
অন্যান্য তথ্য: জমির সীমানা, দখলকারীর নাম, ইত্যাদি তথ্য উল্লেখ থাকতে পারে।
জমাবন্দির ব্যবহার:
জমি মালিকানা প্রমাণ: জমাবন্দি জমি মালিকানার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
খাজনা পরিশোধ: জমির খাজনা পরিশোধের জন্য জমাবন্দি ব্যবহার করা হয়।
জমি সংক্রান্ত মামলা: জমি সংক্রান্ত মামলায় জমাবন্দি প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
জমি বিক্রি বা হস্তান্তর: জমি বিক্রি বা হস্তান্তরের সময় জমাবন্দি ব্যবহার করা হয়।
বর্তমানে জমাবন্দি:
জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হলেও জমাবন্দি এখনও কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
গ্রামীণ এলাকায়: গ্রামীণ এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিবাদ সমাধানে জমাবন্দি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সরকারি রেকর্ড: জমাবন্দি সরকারি রেকর্ড হিসেবে সংরক্ষণ করা হয় এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য তথ্য সরবরাহ করে।
দাখিলা–
DCR (Duplicate Carbon Receipt)
কবুলিয়ত–
ফরায়েজ-
ওয়ারিশ-
হুকুমনামা কাকে বলে?
.
জমা খারিজ কিঃ
প্রজার কোন জোতের কোন জমি হস্তান্তর বা বন্টনের কারনে মূল খতিয়ান থেকে কিছু জমি নিয়ে নুতন জোত বা খতিয়ান খোলাকে জমা খারিজ বলা হয়। অর্থাত জমা খারিজ অর্থ দাড়ায় যৌথ জমা বিভক্ত করে আলাদা করে খতিয়ান সৃষ্টি করা। অন্য কথায় মূল খতিয়ান থেকে কিছু জমির অংশ নিয়ে নতুন জোত বা খতিয়ান সৃষ্টি করাকে জমা খারিজ বলে।
.
“মৌজা” কাকে বলে?
যখন CS (ক্যাডষ্টাল সার্ভে) জরিপ করা হয় তখন থানা ভিত্তিক এক বা একাধিক গ্রাম, ইউনিয়ন, পাড়া, মহল্লা আলাদা করে বিভিন্ন এককে ভাগ করে ক্রমিক নাম্বার দিয়ে চিহ্তি করা হয়েছে। বিভক্তকৃত প্রত্যেকটি একককে মৌজা বলে। এক বা একাদিক গ্রাম বা পাড়া নিয়ে একটি মৌজা গঠিত হয়।
.
“আমিন” কাকে বলে?
আমিন বলতে আমরা সাধারণভাবে বুঝি যার জমি মাপঝোপের কাজ করে থাকেন। ভূমি জরিপের মাধ্যমে জমির নক্সা ও খতিয়ান প্রস্তত করা ও ভূমি জরিপ কাজে নিজুক্ত কর্মচারীকে আমিন বলে।
.
“কিস্তোয়ার” কাকে বলে?
ভূমি জরিপকালে চতুর্ভুজ ও মোরব্বা প্রস্তত করার পর সিকমি লাইনে চেইন চালিয়ে সঠিকভাবে খন্ড খন্ড ভূমির বাস্তব ভৌগলিক চিত্র অঙ্কনের মাধ্যমে নকশা প্রস্তুতের পদ্ধতিকে কিস্তোয়ার বলে।
.
“সিকস্তি” কাকে বলে?
Leave a Comment