অনলাইন ইনকাম অনেকেই খুবই কঠিন মনে করে। এটা আসলে অতটাও কঠিন নয়। যতটা আমরা মনে করি। আবার যতটা সহজ মনে হয় ততটা সহজও না। মোট কথা চেষ্ট করলে আপনি ২-৩ মাসের মধ্যেই ইনকাম করার মত পর্যায়ে চলে যেতে পারবেন। তবে এটা নির্ভর করে আপনি কোন সেক্টর নিয়ে কাজ করেছেন তার উপর।
অনলাইন ইনকাম
আজ আমি আপনাদের সাথে এ বিষয়টি নিয়েই আলোচনা করবো। অনলাইন ইনকাম বা অনলাইন থেকে ইনকাম করার উপায় এ বিষয়টি নিয়ে আমরা প্রায় সকলেই কখনো না কখনো অনলাইনে সার্চ করেছি। প্রায় সকলের মনেই কখনো না কখনো অনলাইন থেকে ইনকাম করার ইচ্ছা জেগেছে। সেটা কাউকে দেখে অথবা কোন সংবাদ বা তথ্য দেখে। এই আধুনিক যুগে অনলাইনের কল্যানে এমন সব কর্মসংস্থান এর ক্ষেত্র সৃষ্টি হয়েছে যা আজ থেকে ২০ বছর আগেও মানুষ কল্পনাও করতে পারত না।
আরো পড়ুন- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে ইনকাম করা যায়।
আর এখন তো মানুষ ঘরে বসেই ‘অনলাইন থেকে ইনকাম’ করতে পারেন যা আগে চিন্তা করাই যেত না। শারীরিকভাবে অক্ষম লোকজনের জন্য যা কল্পনাতীত কিন্তু এখন এসকল মানুষেরাও তার বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে ‘অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম‘ করতে পারে। বিজ্ঞানের নিত্য নতুন কল্যানে বিশ্ব এখন অনেক এগিয়ে গেছে। বর্তমানে দেশে দেশে এমন সব কাজের সৃষ্টি হয়েছে যেগুলো অনলাইন ছাড়া সম্ভবই নয়। ‘অনলাইনে আয় করা নিশ্চিত উপায় ২০২৪’ সম্পর্কে জানতে এই লেখাটি সম্পূর্ণ পড়ুন। অনলাইন ইনকাম বা অনলাইন থেকে আয় করার উপায় আর্টিকেলে আজকে আমি ৩০ টি ‘অনলাইন থেকে ইনকাম করার উপায়’ নিয়ে আলোচনা করবো। আপনারা আপনাদের যোগ্যতা ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে এখান থেকে যেকোনো একটি উপায়ে ‘অনলাইন ইনকাম’ করতে পারবেন।
(১) ব্লগিং করে ইনকাম | অনলাইন ইনকাম
অনলাইন থেকে টাকা ইনকামের সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হলো ব্লগিং করে ইনকাম। আপনারা যারা ‘অনলাইন থেকে ইনকাম করার উপায়’ বিষয়ে আর্টিকেল খুঁজতে এসে এই লেখাটি পড়ছেন, আপনাদের বলি এটাও কিন্তু এক প্রকার ব্লগিং। আপনারাও চাইলে ‘ব্লগিং করে অনলাইনে টাকা ইনকাম‘ করতে পারবেন। এর জন্য প্রথমেই প্রয়োজন হবে একটি ওয়েবসাইটের। সেটা ব্লগস্পট হতে পারে আবার ওয়ার্ডপ্রেস বা অন্য যেকোনো কিছু হতে পারে। যেখানে আপনি আপনার পছন্দ অনুসারে বিভিন্ন লেখা নিয়মিতভাবে পোস্ট করতে পারবেন। এখানে একটি কথা বলে রাখা ভালো আর তা হল যে বিষয়ে আপনার আগ্রহ বেশি সেই বিষয়েই লেখালেখি করবেন। এতে করে আপনার পারফরমেন্স ভালো হবে। যত বেশি মানুষ আপনার লেখা পড়ার জন্য আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ/ভিজিট করবে তত বেশি টাকা উপার্জন করবেন।
ব্লগিং করার জন্য কি অনেক শিক্ষিত হতে হয়?
ব্লগিং করার জন্য আহামরি শিক্ষিত হতে হবে না। আপনি যদি ওয়েবসাইট তৈরি করার সম্পর্কে সম্মুখ জ্ঞান রাখেন ও যে কোন বিষয় নিয়ে লেখালিখি করতে পারেন তাহলে আপনিও একজন ব্লগার হতে পারেন। আর এখন তো ব্লগিং করা আরো সহজ। কারণ বাজারে এখন এমন সব প্রযুক্তি আছে যাদের সাহায্যে আপনি খুব সহজেই আর্টিকেল বা ব্লগ লিখে ফেলতে পারেন। এছাড়াও বিভিন্ন ওয়েবসাইট আছে যেখানে আপনি খুব সহজেই ব্লগিং করতে পারবেন। ব্লগ কি ও ব্লগিং করে কিভাবে টাকা ইনকাম করতে হয় সে সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে এই আর্টকেলটি পড়ে দেখতে পারেন।
( ২) ফেসবুক থেকে আয় | অনলাইন ইনকাম
আপনি যদি আপনার আশেপাশে একটু খোজ নেন তাহলে দেখবেন অনেকেই আজকাল ফেসবুক থেকে ইনকাম করছে। তাও আবার খুবই সহজে। তারা খুব বেশি যে শিক্ষিত তাও না। ফেসবুক থেকে ইনকাম করার উপায়’ নিয়ে আমার এই আর্টিকেলটি পড়তে পারেন। আপনি যদি ফেসবুক ব্যবহারে পারদর্শী হন এবং পাশাপাশি ভালো মানের ভিডিও তৈরি করতে পারেন তাহলে আপনিও ‘ফেসবুক থেকে ইনকাম‘ করতে পারবেন। এখন প্রত্যেকের হাতে হাতে মোবাইল। খুব কম মানুষই পাওয়া যাবে যারা স্মার্টফোন ব্যবহার করে অথচ ফেসবুক ব্যবহার করে না।
অনলাইন ইনকাম
ফেসবুক শুধু চ্যাটিং করার মাধ্যম নয়। এখন এটা একটি বিশাল মার্কেট প্লেসে পরিণত হয়েছে। এখানে বিভিন্ন পণ্যের মার্কেটিং করা হয়। আপনিও চাইলে এখানে আপনার পণ্যের মার্কেটিং করতে পারেন। অথবা বিনোদনমূলক ভিডিও তৈরি করে আপনার পেজে পোস্ট করতে পারেন। প্রাথমিক দিকে হয়তো আপনার এত বেশি ফলোয়ার নাও হতে পারে। এর ফলে আপনি আপনার প্রচেষ্টা থামাবেন না। আপনি আপনার কাজে লেগে থাকুন দেখবেন সাফল্য আসবেই।
(৩) ছবি বিক্রি করে ইনকাম | অনলাইন ইনকাম
ছবি ও ছবির ফুটেজ বিক্রি করে অনলাইন থেকে কিভাবে ইনকাম তা নিয়ে ভাবছেন? যদি আপনি অনলাইনে আপনার তোলা কোনো ছবি বিক্রি করতে চান, তাহলে তার জন্য আছে বিভিন্ন ধরণের ইমেজ শেয়ারিং বা স্টক ইমেজ সাইট। এই সাইটগুলোতে আপনি আপনার ছবি বিক্রয় করবার জন্য আপলোড করতে পারবেন। কিন্তু ছবিগুলো অবশ্যই হতে হবে ভালো মানের এবং হাই রেজুলেশনের। এই ধরণের ওয়েবসাইটগুলোতে কাজ করতে হলে প্রথমে আপনাকে ওই ওয়েবসাইটে একাউন্ট খুলতে হবে, অতঃপর আপনার তোলা ছবিগুলো আপলোড দিতে হবে।
এরপর আপনার ছবির কোয়ালিটি, রেজুলেশন ইত্যাদি বিষয়য়াদি যাচাই-বাছাই করার পর আপনার প্রোফাইলটি ওই ওয়েবসাইট অনুমোদন করবে। আপনার প্রোফাইল অনুমোদিত হলে পর আপনি সেখানে আপনার তোলা ছবি আপলোড দিতে পারবেন। তবে এডমিন আগে আপনার আপলোড করা প্রত্যেকটি ছবি যাচাই করবে, এরপর ছবি গুলো আপলোড হবে এবং অন্যান্যরা আপনার ছবি দেখতে পারবে। ছবির মাধ্যমে টাকা ইনকাম করার কিছু ওয়েবসাইট:
- GettyImages
- Dreamstime
- Shutterstock
- Fotolia
- iStock
অনেক বড় বড় মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি আছে যারা নানান কারণে বিভিন্ন ধরণের ছবি সংগ্রহ করে থাকে। এগুলো তারা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে। তাই তখন তারা এই ধরনের ওয়েবসাইট থেকে ছবি ক্রয় করে নিয়ে তাদের কাজে ব্যবহার করে। ফটোগ্রাফারদের এই ওয়েবসাইটগুলো প্রতি সেলের জন্য সাধারণত ৩০ থেকে ৭০% কমিশন দিয়ে থাকে।
(৪) অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে যেভাবে আয় করবেন | অনলাইন থেকে আয় করার উপায় ২০২৪
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে ইনকাম করবেন? ওয়েবসাইট তৈরি করে তারপর সেখান থেকে অনলাইন ইনকাম (Online Income) করার একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কী?
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বিষয়টি একটি উদাহরণের মাধ্যমে আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো। মনে করুন “ক” হলো একটি কোম্পানি। যে প্রচুর প্রোডাক্ট উতপাদন করে। এখন আপনি তাদের এই পন্য বিক্রি করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করতে পারেন। এই সাহায্যের বিনিময়ে আপনাকে যে অর্থ দেয়া হবে তাই অ্যাফিলিয়েট। ধরুন আপনার একটি ওয়েবসাইট আছে। সেখানে প্রতিদিন অনেক ভিজিটর আসে। ভিজিটর মানে অনেক মানুষজন আসে আপনার লেখা পড়ার জন্য। এখন আপনি আপনার সেই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন কোম্পানির পণ্যের গুনাগুন বর্ণনা করতে পারেন। সেগুলোর রিভিউ দিতে পারেন। যাতে মানুষজন সেই পন্য বা সেবাগুলো ক্রয় করে। যত মানুষ আপনার রিভিউ বা প্রচারের মাধ্যমে ঐ পন্যটি কিনবে আপনি তত বেশি টাকা পাবেন।
সহজ কথায় এটাই হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। যদি আপনার ভালো মানের একটি ওয়েবসাইট থেকে থাকে এবং সেটায় ভালো সংখ্যক ভিজিটর আসে, তাহলে আপনি চাইলেই যে কোনো প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে অ্যাফিলিয়েট লিংক বসিয়ে প্রোডাক্ট সেল করে অনলাইন ইনকাম করতে পারবেন। এ্যমাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বাংলাদেশে অনেক জনপ্রিয় একটি ‘অনলাইনে ইনকাম করার উপায়’। এই অ্যাফিলিয়েট ওয়েবসাইটগুলো এ্যমাজনের বিভিন্ন পণ্যের গুণাগুণ গুলো তুলে ধরে সেটা সেল করবার চেষ্টা করে। এবং পণ্য বিক্রি হলেই পেয়ে যাবেন কমিশন! আপনার অনলাইন প্লাটফর্ম যেমন ধরনেরই হোক না কেন, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম করা সম্ভব। ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল, ফেসবুক পেইজ, এমনকি ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমেও অ্যাফিলিয়েট অনলাইন ইনকাম করা সম্ভব।
(৫) ড্রপশিপিং ব্যবসা করে অনলাইনে টাকা ইনকাম | অনলাইন থেকে ইনকাম করার উপায় ২০২৪
আপনারা যারা ‘অনলাইনে টাকা ইনকাম ২০২৪’ করতে চাচ্ছেন। তারা ড্রপশিপিং ব্যবসা করতে পারেন। এই ব্যবসায় বড় পুঁজি লাগে না। এটাতে প্রয়োজন আপনার ধৈর্য ও সময়। এই ড্রপশিপিং ব্যবসায় শপিফাই shopify খুবই সাহায্যকারী। shopify এর সাহায্যে লক্ষ লক্ষ মানুষ তার জীবিকার ব্যবস্থা করেছে। অনলাইনে ড্রপ শিপিং ব্যবসা যদি করতে টাকা ইনকাম করতে হলে আপনাকে আগে বুঝতে হবে ড্রপশিপিং ব্যবসা কী? ড্রপ শিপিং ব্যবসা হচ্ছে একটি বিনা পুঁজির ব্যবসা। অন্যের দোকানের প্রোডাক্ট বিজ্ঞাপন আপনি আপনার দোকানে কিছুটা মূল্যবৃদ্ধি করে সাজিয়ে রাখবেন। খদ্দের আপনার দোকানে এসে সেই পণ্য দেখে অর্ডার দেবে।
আপনি সে পণ্যটি অর্ডার দেবেন মূল বিক্রয় প্রতিষ্ঠানকে এবং ডেলিভারির ঠিকানা হিসেবে দিয়ে দিবেন কাস্টমারের ঠিকানা। তারপর কাস্টমার পেমেন্ট করলে মূল বিক্রেতাকে অর্থাত মুল প্রতিষ্ঠানকে মূল্য পরিশোধ করে বাকি যে টাকা থাকবে সেটাই আপনার লাভ। সংক্ষেপে বললে ড্রপ শিপিং ব্যবসা হচ্ছে এক প্রকার ব্রোকার জাতীয় ব্যবসা। এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই অনলাইন ইনকাম করতে পারবেন। এর সুবিধা হচ্ছে, এখানে ইনকাম করতে হলে আপনার কোনো বাস্তবিক দোকানের প্রয়োজন হবে না। ইন্টারনেটের সাহায্যে আপনি ভার্চুয়াল দোকান তৈরি করবেন।
(৬) রিভিউ করে অনলাইন ইনকাম | অনলাইন থেকে আয় করার উপায় ২০২৪
আপনি যদি কোন বিষয়র গুণগত মান সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখেন তাহলে নিশ্চয় ওই জিনিসটা সম্পর্কে রিভিউ খুব সহজেই দিতে পারবেন। আবার অনলাইনে এমন কিছু ওয়েবসাইট আছে যারা বিশেষ কিছু জিনিসের রিভিউ সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করে থাকে। যেমন ধরুন সংগীত বা কবিতা। আপনি যদি ভালো সঙ্গীতজ্ঞ হন এবং সংগীতের ব্যাপারে আপনার ভালো জানাশোনা থাকে বা কবিতা সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকে তাহলে আপনিও উল্লিখিত বিষয় সম্পর্কে রিভিউ দিয়ে অনলাইন ইনকাম করতে।
শুধুমাত্র গান নয়, আপনি বিভিন্ন পণ্যের রিভিউ দিতে পারবেন। যেমন ধরুন বই কিংবা ইলেকট্রিক ডিভাইস। আপনার দেওয়া ইতিবাচক রিভিউ শুনে অন্যান্য কাস্টমার আকর্ষিত হবে ওই পণ্যটি ক্রয় করতে। আপনার রিভিউ গুলো ক্রয় করে এমন কিছু ওয়েবসাইটের নাম উল্লেখ হলো, যেমন musicxray, current.us , radioearn.
(৭) ওয়েবসাইট তৈরি করে অনলাইনে টাকা আয় | অনলাইন থেকে আয় করার উপায় ২০২৪
আজকাল বিভিন্ন কাজের জন্য ওয়েবসাইটের প্রয়োজন হয়। তাই আপনি যদি ওয়েবসাইট তৈরি করে রাখেন তাহলে এটিই আপনার জন্য হতে পারে আপনার জন্য একটি ‘অনলাইন ইনকাম করার উপায়’। আপনি ফ্রিল্যান্সার হয়ে অন্যের জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করে ‘অনলাইন ইনকাম’ করতে পারেন, কিংবা নিজে ওয়েবসাইট তৈরি করে সেটা সেল করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইটে যদি ভালো ট্রাফিক অর্থাৎ ভালো সংখ্যক ভিজিটর থাকে, তাহলে আপনি ওয়েবসাইটের দামটাও বেশি পাবেন।
তাছাড়া আপনি ওয়েবসাইটে গুগল এডস্ ব্যবহার করে ‘অনলাইনে টাকা ইনকাম’ করতে পারবেন। একটি সাধারণ ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য বেশি কিছু দরকার হয় না। শুধু ডোমেইন ও হোস্টিং হলেও ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। এর জন্য আপনাকে প্রথমে একটি হোস্টিং ক্রয় করতে হবে এবং একটি ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এরপর ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। ওয়েব সাইট তৈরির জন্য বিশেষ এক কোড রয়েছে। যা চাইলে আপনি কিছুদিনের মধ্যেই শিখতে পারবেন। এভাবেই আপনি অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
(৮) ইনস্টাগ্রাম থেকে যেভাবে ইনকাম করবেন | অনলাইন থেকে আয় করার উপায় ২০২৪
তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলো খুবই সক্রিয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোর মধ্যে instagram খুবই জনপ্রিয়। অনেকেই আছেন ইনস্টাগ্রামে ছবি আপলোড দিতে পছন্দ করেন। আপনি যদি ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন এবং আপনার ফলোয়ার সংখ্যা যদি অনেক হয় তাহলে আপনিও instagram এ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ইনস্টাগ্রামে কীভাবে টাকা ইনকাম করা যায়?
মূলত আপনি সরাসরি ইনস্টাগ্রাম থেকে টাকা পাবেন না। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আপনার মাধ্যমে তাদের পণ্যের প্রচারণা। যেমন ধরুন কোনো ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস কিংবা ইউটিউব চ্যানেল অথবা বই, ফুড আইটেম ইত্যাদি। আপনি তাদের পণ্যের প্রমোশন করলে আপনার ফলোয়ার সংখ্যা অনুযায়ী তারা আপনাকে টাকা পেমেন্ট করবে। তবে এর জন্য প্রয়োজন আপনার অনেক সংখ্যক ফলোয়ার। ফলোয়ার বৃদ্ধির জন্য আপনি ভালো ভালো স্থানের ছবি দিতে পারেন। অথবা ভালো ভালো জিনিস শেয়ার করতে পারেন।
(৯) কনটেন্ট রাইটিং অনলাইনে টাকা ইনকাম | অনলাইন ইনকাম।
আমরা অনেকেই আছি যারা লেখালেখি করতে বেশ ভালোবাসি কিন্তু আপনি কি জানেন যে লেখালেখি করেও ‘অনলাইন ইনকাম’ করা যায়। আপনি যদি লেখালেখিতে বেশ পারদর্শী হন, তাহলে অনলাইনে এমন অনেক প্ল্যাটফর্ম আছ যেগুলোতে লেখালেখি করে টাকা ইনকামের জন্য আপনার জন্য একটি উপায়’ হতে পারে। আর্টিকেল লিখে আয় করতে চাইলে নিজেই ডোমেইন হোস্টিং ক্রয় করে ব্লগ সাইট তৈরি করে লিখতে পারেন। অথবা ওয়ার্ডপ্রেস বা টাম্বলার প্ল্যাটফর্মে বিনামূল্যে কনটেন্ট লেখা যায়।
আপওয়ার্ক, ফাইভারসহ বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মে কনটেন্ট লেখকদের অনেক চাহিদা আছে। ইংরেজিতে লেখার দক্ষতা থাকলে ওই ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মগুলোতে কাজ পাওয়া আপনার জন্য অনেক সহজ হবে। কাজের মানের ভিত্তিতে প্রতি ১০০০ ওয়ার্ডের জন্য কনটেন্ট বা আর্টিকেল রাইটাররা ৫ থেকে ৫০ ডলার পর্যন্ত পেয়ে থাকে।
(১০) ডাটা এন্ট্রি করে আয় | অনলাইন ইনকাম।
একটা সময় ছিল যখন খাতা/কাগজে অফিসের বিভিন্ন তথ্য গুলো সংরক্ষণ করা লাগতো। এভাবে তথ্য সংরক্ষণ করা খুবই সময়সাপেক্ষ ও অনিরাপদও ছিল বটে কিন্তু এই ডিজিটাল যুগে তথ্য সংগ্রহ এখন অনেকটাই সহজ হয়ে গেছে। কম সময়ের মধ্যে তথ্য বা ডাটা গুলো সংরক্ষণ করা যায়।
ডাটাগুলোকে একটি কম্পিউটার কোনো সফটওয়্যারের সাহায্যে সংযোজন বা আপডেট করাকে বলা হয় ডেটা এন্ট্রি। যাদের দ্রুতগতিতে টাইপিং করার দক্ষতা আছে, তারা এই ধরণের কাজের মাধ্যমে ‘অনলাইনে টাকা ইনকাম’ করতে পারবেন। এই কাজের চাহিদা অনেক বেশি। চাইলে আপনি এভাবে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ইন্টারনেটের এই ধরনের কাজের জন্য অনেক ফ্রিল্যান্সিং সাইট রয়েছে যেমন: Fiverr, Freelancer, Guru যেখানে আপনারা ডাটা এন্ট্রির সাথে সম্পৃক্ত কাজ পাবেন।
(১১) ই কমার্স ব্যবসা কিভাবে করবেন | অনলাইন ইনকাম।
ব্যবসা করা এখন আগের চেয়ে আরো অনেক বেশি সহজ হয়ে গেছে। মানুষজন তার কর্মব্যস্ত জীবনে মার্কেটে গিয়ে জিনিসপত্র কেনাকাটা এখন অনেক সময় সম্ভব হয়ে ওঠে না। আর এই সুযোগেই তৈরি হয়েছে অনলাৈইন মার্কেটের সূচনা। মানুষজন এখন অনলাইনে জিনিসপত্র কেনাকাটা করে। এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে অনলাইনে ই- কমার্স ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসাটির সম্ভাবনা দারুন। এখানে কোন দোকান ভাড়া লাগে না। অল্প পুঁজিতেই এই ব্যবসা করে ‘অনলাইন থেকে ইনকাম’ করা যায়। ফেসবুক অথবা ওয়েবসাইট খুলেও এ ব্যবসা করা যায়। যদি ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রি করেন তাহলে আপনার ব্যবসা বেশ দ্রুতই জনপ্রিয়তা লাভ করবে।
(১২) ইউটিউব ভিডিও তৈরি করে টাকা ইনকাম করুন | অনলাইন ইনকাম।
বর্তমানে ভিডিও শেয়ার করার জন্য সবচেয়ে বড় মাধ্যম হলো ইউটিউব। বর্তমানে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ ইউটিউব ব্যবহার করে। অর্থাত বুঝতই পারছেন এর ভিজিটর কত বেশি। এটার মাধ্যমে খুব সহজে বিজ্ঞাপন তৈরি করে সেটি কোটি মানুষের কাছে প্রচার করা যায়। আর সেই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে সাধারণ মানুষেরাও অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবে। আপনিও চাইলে youtube এ ভিডিও তৈরির মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারেন। এর জন্য প্রয়োজন হবে একটি ইউটিউব একাউন্ট থাকা। সেখানে আপনি যদি মানসম্মত ভিডিও দেন এবং সেই ভিডিও লোকজনেরা দেখে তাহলে আপনিও অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
কোনো একটি ইউটিউব চ্যানেলে যদি 1000 সাবস্ক্রাইবার হয় তাহলে সেই চ্যানেলটি মনিটাইজ করা যায় তবে আপনি যখন এই লেখাটি পড়ছেন তখন হয়ত সাবস্ক্রাইব এর শর্তটি পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে। যাই হোক, এরপর আপনার ভিডিওর ভিজিটর এবং কত ঘন্টা ভিউ হয়েছে ও সেখানে প্রদত্ত এ্যাড এর উপর ভিত্তি করে আপনাকে টাকা প্রদান করা হয়। আপনার ভিডিও যত মান-সম্মত হবে এবং দর্শকেরা উপভোগ করবে ততই আপনার চ্যানেল গ্রো আপ করবে। তাই আপনারা চাইলে youtube এর মাধ্যমে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
(১৩) বিভিন্ন মিউজিক বিক্রি করে আয় | অনলাইন ইনকাম।
আপনাদের অনেকেই আছেন যারা বাদ্যযন্ত্র ভালো বাজাতে পারে। এছাড়া অনেকেই আছেন যারা কম্পিউটারের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের মিউজিক তৈরি করেন। আপনি জানলে অবাক হবেন যে এই মিউজিক বিক্রি করেও আপনি অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি রয়েছে যারা তাদের প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য অথবা কিছু ইউটিউবার বা টিভি চ্যানেল তাদের ভিডিওর ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক অথবা বিভিন্ন শর্ট ফিল্ম অথবা টিভি নাটকের জন্যও মিউজিক প্রয়োজন হয়। এ সকল ক্ষেত্রে তারা ক্রয়কৃত মিউজিক ব্যবহার করে। এতে করে কপিরাইট ইস্যু থেকে দূরে থাকা যায়। ভালো মিউজিকের বিপুল চাহিদা রয়েছে অনলাইনে। আর এই চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে আপনি ‘অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
(১৪) ইংরেজি শেখানোর মাধ্যমে উপার্জন | অনলাইন ইনকাম।
একটা সময় দক্ষিণ এশিয়া অর্থাৎ ভারতবর্ষ, আফগানিস্তান, ইরান এবং মধ্য এশিয়ার অনেক দেশগুলোতে ফারসি ভাষার প্রচলন ছিল। সেই সময় রাষ্ট্রীয় কাজকর্ম ফার্সি ভাষার মাধ্যমে সম্পন্ন করা হতো। কিন্তু বর্তমানে আন্তর্জাতিকভাবে ইংরেজি ভাষা ব্যবহৃত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক, কূটনৈতিক যোগাযোগের ভাষা হয়ে উঠেছে ইংরেজি। এই জন্য এই ভাষার অনেক কদর বিশ্বজুড়ে।
আপনি যদি ইংরেজি ভাষায় পারদর্শী হন তাহলে আপনিও অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি অনলাইনে ইংরেজি ভাষা শিক্ষা দেওয়ার কোর্স করাতে পারবেন। এর ফলে একদিক থেকে দেশের শিক্ষার্থীরা অনলাইনে বসে ইংরেজি শিখতে পারবে। অপরদিকে আপনিও কোর্স ফি বাবদ কিছু টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
(১৫) ফুড ব্লগিং করে ইনকাম | অনলাইন ইনকাম।
দিন দিন ভোজন রসিকদের সংখ্যা বেড়েই চলছে পাশাপাশি সবাই অল্প মূল্যে ভালো মানের খাদ্য পেতে চায়। আর তাই ভোজন রসিকেরা বিভিন্ন ফুড ব্লগারের ফুড ব্লগিং ভিডিও দেখে থাকে। ব্লগে যদি কোন রেস্টুরেন্ট সম্পর্কে ইতিবাচক মন্তব্য পাওয়া যায় তাহলে সেখানেই মানুষজন বেশি যায়। ফুড ব্লগিং করলে ইউটিউব কোম্পানি থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। সেই সাথে রেস্টুরেন্ট মালিকেরাও আপনাকে প্রমোশনের জন্য অর্থ দিয়ে থাকে। আপনি উভয় দিক থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এই কাজটা হচ্ছে আনন্দের কাজ। আনন্দ করার পাশাপাশি অর্থ উপার্জনও হয়ে উঠলো আপনার।
(১৬) গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয় | অনলাইন ইনকাম।
বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইন করে বহু মানুষ লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। বর্তমানে দক্ষ গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে কিন্তু সেই চাহিদা মোতাবেক দক্ষ গ্রাফিক্স ডিজাইনার গড়ে উঠছে না। এটা খুবই দক্ষতা পূর্ণ ও জটিল প্রকৃতির কাজ। এটা খুবই দক্ষতা সহিত করতে হয়। আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে ভালো কাজ জেনে থাকেন তাহলে আপনিও এই কাজের মাধ্যমে অনলাইন থেকে হিউজ ইনকাম করতে পারবেন। বিভিন্ন কোম্পানি তাদের বিজ্ঞাপন অথবা লোগো তৈরি করার জন্য বিভিন্ন গ্রাফিক্স ডিজাইনারদেরকে হায়ার করে। এ কাজ শিখে আপনি যেকোনো কোম্পানির হয়ে কাজ করতে পারেন অথবা ফ্রিল্যান্সিংয়ের মতো মুক্তভাবে কাজের অর্ডার নিয়ে কাজ করতে পারেন। দেশে বিদেশে সর্বক্ষেত্রে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করতে পারেন এমন কয়েকটি ওয়েবসাইটের নাম Fiverr, 99designs, Envato market
(১৭) রান্নার ব্লগিং করে ইনকাম | অনলাইন ইনকাম।
পৃথিবীতে মানুষ বিভিন্ন ধরনের দক্ষতা নিয়ে জন্মায়। কেউ দক্ষতা শিখে সাফল্য অর্জন করে। তেমনি এক পারদর্শিতা হচ্ছে রান্নার কাজ। অনেকেই আছেন যারা ভালো ভালো খাদ্য প্রস্তুত করতে পারে। তারা চাইলেই খাবারের রেসিপি নিয়ে বিভিন্ন ভিডিও বানিয়ে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
এমন অনেক মানুষ আছে যারা রান্নাবান্না করতে জানে না। তারা যেন সরাসরি আপনার ভিডিও দেখে অনেক উপকৃত হতে পারে এমন রান্নার ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতে পারেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ এই ধরনের ভিডিও বানিয়ে তা অনলাইনে আপলোড করে মানুষ হাজার হাজার ডলার উপার্জন করছে। বাংলাদেশেও এই সংখ্যা কম নয়। এদেশে এমন অনেক মানুষ আছে যারা এ ধরনের ভিডিও বানিয়ে অনলাইনে ইনকাম করার উপায় করেছে। তাহলে আপনি কেন এখনো পিছিয়ে থাকবেন? আপনিও এই দক্ষতা কাজে লাগিয়ে অনলাইনে ইনকাম করুন।
(১৮) ইউনিক অথবা আনকমন পণ্য বিক্রয় | অনলাইন ইনকাম।
আজকাল মানুষ খুবই সৌখিন হয়ে গেছে। সবাই ঘর সাজাতে কিংবা খাদ্যদ্রব্যে আনকমন জিনিস খোঁজ করে। আপনি মানুষের এই চাহিদাটিকে পুঁজি করে নিজের একটি ব্যবসা গড়ে তুলুন। যেখানে নান্দনিক সৌন্দর্যের বিভিন্ন বস্তু বিক্রি করবেন। যে জায়গায় যে জিনিসটা নেই সেই জায়গায় সেই জিনিসটার কদর অনেক বেশি। যেমন কক্সবাজারে অনেক সামুদ্রিক মাছ এবং শামুক ঝিনুকের পণ্য সহজলভ্য কিন্তু ঢাকায় এটা এতটা সহজলভ্য নয়।
সহজলভ্য থাকলেও এগুলোর দাম ঢাকায় অনেক বেশি কিন্তু আপনি যদি কক্সবাজারের ঐ পণ্যটি খুবই অল্প দামে কিনে সীমিত লাভে ঢাকার মানুষজনের কাছে বিক্রি করে তাহলে নিশ্চয়ই আপনার বিক্রেতার সংখ্যা বেড়ে যাবে ফলে আপনার ইনকামও বেড়ে যাবে। শুধুমাত্র শামুক ঝিনুক নয় এমন আরো অনেক বস্তু আছে যেগুলো আপনি বিক্রি করতে পারবেন। যেমন ধরুন চিনামাটির বাসনপত্র অথবা খদ্দের কাপড় বা ধরুন সিলেটের অরিজিনাল চা পাতা। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের আয়ুর্বেদিক পন্যও বিক্রি করতে পারেন।
(১৯) সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট মেনেজমেন্ট করে টাকা ইনকাম | অনলাইন ইনকাম।
অন্যের সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট ম্যানেজমেন্ট করেও ইনকাম করা সম্ভব। বিদেশে অবশ্য বিভিন্ন সেলিব্রেটিদের একাউন্ট ম্যানেজমেন্ট করার জন্য লোক নিযুক্ত করা হয়। বাংলাদেশে অবশ্য এমনটা না হলেও ভিন্ন কাজের অ্যাকাউন্ট ম্যানেজমেন্ট করার লোকের চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশের অনেক এমন উদ্যোক্তা রয়েছে যারা ফেসবুকের মাধ্যমে অর্ডার গ্রহণ করে থাকে। মাঝে মাঝে দেখবেন উদ্যোত্তাদেরকে ফেসবুকে বিভিন্ন মানুষের পণ্য সম্পৃক্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। এত কাজ একজন উদ্যোক্তার পক্ষে করা অসম্ভব হয়ে দাড়ায়। তাই এসকল উদ্যোক্তাগণ বিশ্বস্ত মানুষের সন্ধান করে থাকে। সেই সাথে মানুষের সাথে কথোপকথন এর দক্ষতা ও টাইপিং এর দক্ষতার প্রয়োজন রয়েছে। আপনি চাইলে এই ধরনের সোশ্যাল ম্যানেজমেন্ট এর কাজ করে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
(২০) পিওডি সাইট থেকে ইনকাম | অনলাইন ইনকাম।
আপনি যদি কম্পিউটারের মাধ্যমে ডিজাইন করতে জানেন তাহলে আপনার কাজের অভাব হবে না। বাংলাদেশ হাজার হাজার গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছাড়া আছে অনেক টাইলস, সিরামিকের বাসন তৈরীর কারখানা। এ সকল প্রতিষ্ঠানসমূহে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ও দক্ষ ডিজাইন এর প্রয়োজন হয়। আপনি যদি একজন ভালো মানের ও দক্ষ ডিজাইনার হয়ে থাকেন তাহলে আপনি বিভিন্ন ধরনের লোগো, নকশা অংকন করে টাকা অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। যেমন ধরুন প্রতি বছর আমরা বিভিন্ন ডিজাইনের টি-শার্ট দেখে থাকে। এই ডিজাইনগুলো কিন্তু কোনো না কোনো মানুষ করে। আপনিও এমন একজন ডিজাইনার হয়ে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার উপায় করতে পারবেন। তবে ডিজাইনগুলো হতে হবে মান সম্মত। এর জন্য কয়েকটি ওয়েবসাইট রয়েছে যেমন Teespring, cafepress, Zazzle
(২১) গেজেট রিভিউ করে অর্থ ইনকাম | অনলাইন ইনকাম।
তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশ বিভিন্ন ধরনের গেজেট আসছে। এগুলো বেশিরভাগই চীন থেকে আমদানি হয়। এমন এমন আশ্চর্যজনক গেজেট বাজারে এসেছে যেগুলো সম্পর্কে মানুষ কখনো কল্পনাই করতে পারত না। যেমন, বর্তমানে পকেটে রাখা যায় এমন ধরনের ছোট প্রিন্টারও বাজারে এসেছে। এই প্রিন্টারের মার্কেটিং নিশ্চয়ই কেউ না কেউ করেছে। মার্কেটিং করার জন্য গ্রাহকের রিভিউ খুবই দরকার। আপনার একটি ইতিবাচক রিভিউ গ্যাজেটের প্রোমোশনের জন্য অনেক মূল্যবান। আপনি যদি ইউটিউবার হয়ে থাকেন তাহলে আপনি গেজেটের রিভিউ করে ইনকাম করতে পারবেন। প্রাথমিক অবস্থায় ছোট ছোট গ্যাজেট গুলো আপনাকে চিনতে হবে আবার আপনাকে ফলো করে এমন ফলোয়ারের সংখ্যা যদি বৃদ্ধি পায় তাহলে কোম্পানি থেকে আপনাকে ফ্রি গ্যাজেট গুলো দেওয়া হবে। সেই সাথে উপযুক্ত সম্মানী তো রয়েছে
(২২) পরামর্শ দাতা হয়ে টাকা ইনকাম করুন | অনলাইন ইনকাম।
প্রচলিত আছে বাঙালি পরামর্শ ছাড়া কোনো জিনিস ফ্রিতে দেয় না। তবে এই কথাটা বর্তমানে ভুল প্রমাণিত হচ্ছে। পরামর্শও এখন আর ফ্রিতে দেয়া হয় না। আপনার যদি আইন সম্পর্কে বা যে কোন বিষয় সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকে, তাহলে আপনিও আইন বিষয়ে বা যে বিষয়ে ভালো জ্ঞান আছে সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়া বিভিন্ন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী রয়েছে যারা তাদের ব্যবসার প্রসারের জন্য বিভিন্ন এজেন্ট নিযুক্ত করে থাকে। এজেন্টদর কাজ হলো সেই কম্পানির পলিসি সম্পর্কে গ্রাহকদের সামনে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া। আপনি বিভিন্ন কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে পরামর্শদাতা হয়ে অনলাইনে ইনকাম করতে পারেন।
(২৩) কাস্টমার বা ক্লায়েন্ট রেফার করে অনলাইন আয় করা | অনলাইন থেকে আয় করার উপায়
অন্য সাইটে কাস্টমার বা ক্লায়েন্ট রেফার করেও আপনি অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনার যদি ভালো একটি ওয়েবসাইট থাকে এবং সেখানে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিজিটর আসে তাহলে আপনি গুগল এডস্ এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। সেই সাথে আপনি অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান এর পণ্যের জন্য কাস্টমার বা ক্লায়েন্ট রেফার করে অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন।
(২৪) গবেষণা করে আয় | অনলাইন থেকে আয় করার উপায় ২০২৪
গবেষণা করে আয় করা যায় এটা সত্য। কিন্তু আপনি ভাবতে পারেন আপনার মাঝে তো সেই যোগ্যতা নেই গবেষণা করার। এটা অবশ্য ঠিক যে গবেষণা করতে অনেক বেশি লেখাপড়ার প্রয়োজন হয়। কিন্তু কিছু কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলোর জন্য পড়ালেখার চেয়ে উপস্থিত বুদ্ধি থাকতে হয়। যেমন ধরুন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কোনো পণ্য বাজারে আনার আগে মানুষের জনমত যাচাই করার জন্য পরিসংখ্যান চালায়।
আজকাল সাধারণত সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই পরিসংখ্যান এর কাজ চালানো হয়। এ সকল পরিসংখ্যান এর কাজ চালাতে অনেক জনবলের প্রয়োজন হয়। আপনি কোন প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত হয়ে এ ধরনের পরিসংখ্যান এর কাজে সহায়তা করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন অনেক বাংলাদেশী আছে যাদের কোনো কিছু নিয়ে পিএইচডি করার জন্য গবেষণা করার প্রয়োজন হতে পারে। যেমন ধরুন বাংলাদেশে প্রতিবছর কতজন মানুষ বজ্রপাতে মৃত্যুবরণ করে এবং এগুলো থেকে প্রতিরোধের উপায় কি। এ ধরনের বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করার জন্য বিপুল সংখ্যক জনবল প্রয়োজন। আপনি এ ধরনের গবেষণার কাজে সহায়তা করে অনলাইনে ইনকাম করতে পারেন।
(২৫) ট্রাভেল রাইটার হয়েও উপার্জন | অনলাইন আয় করার উপায় ২০২৪
আপনি যদি ভ্রমণ পিপাসু হন তাহলে এটা আপনার জন্য সুবর্ণ একটি সুযোগ। ভ্রমণ করতে গেলে আসলে অনেক টাকার প্রয়োজন হয় কিন্তু আপনি চাইলেই এ কাজ করেই অর্থাত ভ্রমন করেও অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন। নিশ্চয় অবাব হচ্ছেন। চলুন খুলে বলি। আপনি যখন কোথাও ভ্রমণ করবেন তখন আপনার ভ্রমণ বৃত্তান্ত সুন্দর করে গুছিয়ে যদি ব্লগ পোস্ট করেন, তাহলেও আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ট্রাভেল রাইটারদের ইনকামের প্রধান উৎস হচ্ছে বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট ও হোটেল থেকে। আপনি যদি বিশ্বাস হয় হোটেল বা রেস্টুরেন্টের প্রমোশন করেন তাহলে ওই প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা আপনাকে সম্মানী বাবদ কিছু টাকা দেবে। বাংলাদেশের এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে দেখার মতো অনেক সুন্দর জিনিস আছে। কিন্তু সেটার প্রচারণা নাই বিধায় সেখানে পর্যটক খুব কম। আপনি এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
(২৬) অনলাইন কোর্স সেটআপ করে টাকা উপার্জন | অনলাইন থেকে আয় করার উপায় ২০২৪
করোনা মহামারীর পর থেকে অনলাইন ক্লাস এর চাহিদা বেশ বেড়েছে। এখন কেবল স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্যই নয় বরং সবার জন্য বিভিন্ন বিষয়ের উপর বিভিন্ন ধরনের কোর্স রয়েছে। এ সকল কোর্সগুলো অনলাইনেই হয়ে থাকে। যারা চাকরিজীবী তারা সাধারণত স্বশরীরে কোনো প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ক্লাস করার সময় পায় না। তাই তাদের জন্য অনলাইন কোর্স করার একমাত্র ভরসা হলো অনলাইন। আপনি আপনার আগ্রহ অনুসারে ক্লাস করা শুরু করুন ও দক্ষ হয়ে উঠুন। এমনটি আপনি নিজে যে বিষয়ে পারদর্শী সেই বিষয়ে অনলাইনে কোর্স করান এবং ফি বাবদ টাকা ইনকাম করুন।
(২৭) Transcribing অনলাইন আয় করার নিশ্চিত উপায় | অনলাইন থেকে আয় করার উপায় ২০২৪
ইন্টারনেটের কল্যাণে এমন এমন স্থান থেকে কাজের অফার আসে যা আজ থেকে কয়েক বছর আগেও মানুষ কল্পনা করত না। এখন মানুষ ঘরে বসেই নানান ধরনের কাজ করতে পারে। এই Transcribing হচ্ছে এমন একটি কাজ। এটা হল প্রতিলিপি করা অর্থাৎ আপনাকে অডিও ফাইল দেওয়া হবে সেটা দেখে আপনি প্রতিলিপি করবেন। আপনি যদি দ্রুত টাইপ করতে পারেন তাহলে আপনার জন্য এটা একটি সুবর্ণ সুযোগ।
(২৮) ভিডিও এডিটিং করে ইনকাম | অনলাইন থেকে ইনকাম করার উপায় ২০২৪
আজকাল শর্ট ফিল্ম অথবা বিভিন্ন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির বিজ্ঞাপনের জন্য প্রচুর ভিডিও এডিটিং করতে হয়। বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা এসকল ভিডিও এডিটিং এর জন্য মানুষ নিয়োগ দিয়ে থাকেন। তবে এই কাজটা বেশ জটিল একটি কাজ কিন্তু আপনি যদি এই কাজে দক্ষ হয়ে থাকেন, তাহলে এটা আপনার জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। আপনি ভিডিও এডিটিং এর মাধ্যমে মাসে ভালো এমাউন্টের টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
(২৯) ডোনেইম বেচা-কেনার মাধ্যমে ইনকাম | অনলাইন থেকে আয় করার উপায় ২০২৪
অনলাইনে টাকা ইনকাম করার ব্যাপক জনপ্রিয় উপায় হলো ডোমেইন ফ্লিপিং। মানে একটি ডোমেইন নেম কিনে সেটিকে বেশি দামে সেল করা। প্রথমেই আপনাকে ডোমেইন নেম সম্পর্কে প্রচুর গবেষণা করতে হবে। কী ধরণের ডোমেইন নেম এর চাহিদা ও দাম বেশি সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা রাখতে হবে। এরপর আপনাকে আপনার লক্ষ্য অনুযায়ী একটি ডোমেইন নেম কিনতে হবে। আকর্ষণীয় এবং ভালো একটি অর্থ আছে (দেশের মধ্যে হলে সেটা প্রচলিত অর্থে হতে হবে) এমন কিছু নামের ডোমেইন আগেই কিনে রাখবেন। তবে যে সকল ডোমইন এক্সপায়ারড হয়ে গেছে সেসকল ডোমেইন কেনা বেশ লাভজনক। চাইলে আপনি ডোমেইন নেমটি খব তাড়াতাড়ি অনলাইনে বা সরাসরি কারো কাছে বিক্রি করে ফেলতে পারেন, আবার ইচ্ছা করলে অনেকদিন এটাকে নিজের কাছে রেখে দাম বৃদ্ধি পেলে পরে বিক্রি করতে পারেন।
ডোমেইন বেচা-কেনার মার্কেটপ্লেস:
- Flippa
- GoDaddy
- Namecheap auction
- Freemarket
- Sedo
(৩০) পেইড সার্ভের মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম করার উপায় |
অনলাইন থেকে ইনকাম করার উপায় এমন অনেক ধরণের পেইড সার্ভে কোম্পানি আছে, যেখানে আপনি অনলাইন থেকে বেশ ভালো মানের ইনকাম (Online Income) করতে পারবেন। বস্তুত কোনো কোম্পানি থেকে তাদের পণ্য সম্পর্কে বিভন্ন মানুষের মতামত কী, পণ্যাটি সম্পর্কে তাদের মতামত কি, নতুন প্রোডাক্টে কী কী গুন বা সেবা থাকা দরকার, এগুলো জানতে সার্ভে করা হয়।
অনলাইন সার্ভে করার কিছু জনপ্রিয় ওয়েবসাইট আছে। নিচে কয়েকটির নাম উল্লেখ করাক হল
- Opinion Now
- Viewpoint Panel
- Toluna
- ySense
- neobux
- I-say
- Onepoll
- Swagbucks
- Your Surveys
- PrizeRebel
Leave a Comment