অনলাইনে এমআরপি থেকে ই পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম সম্পর্কে আজ বিস্তারিত আলোচনা করবো । কোন প্রকার দালাল ছাড়াই একটি মাত্র ফরম পূরণ করে সাথে গুরুত্বপূর্ণ কাগজাদি দাখিল করার মাধ্যমে কিভাবে
আরো পড়ুন: ই পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন।
আপনি আপনার পুরনো এমআরপি পাসপোর্ট থেকে ই পাসপোর্ট রিনিউ করতে পারবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো আজকের এই আর্টিকেলে।
পাসপোর্ট রিনিউ
পাসপোর্ট রিনিউ বলতে বোঝায় আপনার বর্তমান পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে বা নষ্ট/চুরি হয়ে গেলে নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা।
কখন পাসপোর্ট রিনিউ করতে হবে:
- মেয়াদ শেষ হলে: যখন আপনার পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়, তখন নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে হবে। মেয়াদ শেষ হওয়ার ৬ মাস আগে থেকেই রিনিউ করার জন্য আবেদন করা যেতে পারে।
- নষ্ট/চুরি হলে: যদি আপনার পাসপোর্ট নষ্ট বা চুরি হয়ে যায়, তাহলে দ্রুত পাসপোর্ট অফিসে জানিয়ে নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে হবে।
- তথ্য পরিবর্তন: যদি আপনার পাসপোর্টে দেওয়া তথ্য পরিবর্তন হয়, যেমন নাম, ঠিকানা, বৈবাহিক অবস্থা ইত্যাদি, তাহলেও পাসপোর্ট- রিনিউ করতে হবে।
বর্তমানে/২০২৪ সালে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও বলা যায় জাতীয় সমস্যা হল পাসপোর্ট- রিনিউ সমস্যা। কেন আমি এটাকে সমস্যা বলছি এটা বলতে গেলে প্রথমে আলোচনা করতে হবে দালাল এর সম্পর্কে। আর দালালের সমস্যাটা যে কি আমরা সবাই কম বেশি বুঝি। আপনারা যারা দালাল ছাড়াই পাসপোর্ট- রিনিউ করতে চান তারা আমার এই আর্টিকেলটি বিস্তারিত পড়লে অনেকটা ক্লিয়ার হয়ে যাবেন। যে কিভাবে আপনারা আপনাদের পুরনো পাসপোর্ট- রিনিউ করবেন।
সাধারণত একটি পাসপোর্ট -রিনিউ করা এবং একটি পাসপোর্ট নতুন ভাবে আবেদন করা বা পাসপোর্ট রি ইস্যু করার প্রতিটি কাজই সেম। আপনার যদি পাসপোর্ট নবায়ন করার প্রয়োজন পড়ে তাহলে আপনি এই পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করতে পারেন।
শুরুতেই একটি কথা বলা দরকার আর সেটা হলো পাসপোর্ট -রিনিউ করার পূর্বে অবশ্যই আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র বা এনআইডি কার্ড না থাকলে সেটি করে নিবেন। এটি করা বাধ্যতামূলক এবং আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ ডিজিটাল করে নিতে হবে। যদি কোন ডকুমেন্টে এ কোন রকম ভুল থাকে তাহলে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করে নিবেন।দেখতে পারেন
পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম
- পাসপোর্ট -রিনিউ করার জন্য প্রথমত অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
- তারপর অনলাইনে বা অফলাইনে পাসপোর্ট -রিনিউ করার ফি প্রদান করতে হবে।
- এবং নিকটস্থ পাসপোর্ট অফিসে আবেদনের প্রিন্ট কপি সহ প্রয়োজনীয় কাগজ সাবমিট করতে হবে।
- এই ধাপে এসে আপনাকে বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান এবং পাসপোর্ট ডেলিভারি স্লিপ সংগ্রহ করতে হবে।
- নির্ধারিত তারিখে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে।
উপরোক্ত পদ্ধতি গুলো আপনি যদি সম্পূর্ণভাবে করতে পারেন তাহলে আপনার পাসপোর্ট নবায়ন হয়ে যাবে। বিদেশ থেকে পাসপোর্ট নবায়ন অথবা রিনিউ করতে হলে সেই দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশের হাই কমিশন বা এম্বাসিতে একটি ফরম পূরণ করে জমা দিতে হবে।
যেহেতু বর্তমানে প্রত্যেকটি পাসপোরই মূলত ই-পাসপোর্ট হয়ে থাকে তাই আপনার যদি পুরনো এমআরপি (MRP) পাসপোর্ট থেকে থাকে সেটি ই-পাসপোর্টে রূপান্তরিত হয়ে যাবে বা কনভার্ট হয়ে যাবে। আবার আপনি যদি পাসপোর্ট সংশোধন করেন সেক্ষেত্রেও ই পাসপোর্ট দেয়া হয়। আর অনেকেই এমআরপি পাসপোর্ট এর মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তাদের পুরনো পাসপোর্ট ই-পাসপোর্টে রুপান্তর করার জন্য পাসপোর্ট -রিনিউ এবং রি ইস্যু করেন। আপনার পুরনো পাসপোর্ট এর মেয়াদ যদি শেষ হয়ে যায় এবং আপনি যদি পুনরায় সেটি রিনিউ করতে চান তাহলেও আপনাকে ই-পাসপোর্ট দেয়া হবে।
অনলাইনে ই পাসপোর্ট রিনিউ করার পদ্ধতি
প্রথম ধাপ- প্রথমে আপনাকে epassport.gov.bd এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে Apply Online for e Passport / Re Issue তে ক্লিক করতে হবে এবং আপনি কোন জেলা থেকে বা কোন দেশ থেকে পাসপোর্ট -রিনিউ বা রি-ইস্যু করতে চাচ্ছেন সেটি উল্লেখ করে আপনার ব্যক্তিগত ইনফরমেশন দিয়ে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিবেন ।
অ্যাকাউন্ট তৈরি করার পরে আপনার অ্যাকাউন্টটি যে ইমেল দিয়ে তৈরি করেছেন অবশ্যই সেই ইমেইলে একাউন্ট ভেরিফিকেশন করে নিন।
এরপর উক্ত একাউন্টে লগইন করার পরে নিচের ছবির মত একটি অপশন দেখতে পাবেন. সেখানে Apply For a New Passport ক্লিক করতে হবে। এরপরে Type সিলেক্ট করবেন এবং পরবর্তী ধাপগুলো অনুসরণ করুন।
দ্বিতীয় ধাপ- এই পর্যায়ে এসে আপনার ভোটার আইডি কার্ড/জাতীয় পরিচয় পত্র বা জন্ম নিবন্ধনের সাথে মিল রেখে ব্যক্তিগত তথ্য এবং স্থায়ী ও অস্থায়ী ঠিকানা প্রদান করতে হবে।
তৃতীয় ধাপ- এই ধাপটিতে এসে পাসপোর্ট -রিনিউ বা পাসপোর্ট নবায়ন করার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয় একটি ধাপে ধাপে অবশ্যই বেশ সতর্কতার সহিত নিয়ে সম্পূর্ণ করবেন।
চতুর্থ ধাপ- এই পর্যায়ে এসে ID Document তিনটি অপশন দেখতে পাবেন। Yes I have a machine readable passport MRP এবং yes I have an electronic passport। এখানে আপনাকে আপনার পূর্ববর্তী পাসপোর্টের ধরনটি বাছাই করতে বলা হবে অর্থাৎ আপনার যদি এমআরপি পাসপোর্ট পূর্বেই হয়ে থাকে তাহলে প্রথম অপশনটি বাছাই করবেন এবং পূর্ববর্তী ই পাসপোর্ট যদি থেকে থাকে তাহলে দ্বিতীয় অপশন টি বাছাই করবেন।
৫ম ধাপ- এবার ঠিক নিচের ছবির মত একটি অপশন দেখতে পাবেন। যেখানে লেখা থাকবে Select Reissue Reason. এখান থেকে আপনাকে EXPIRED অপশন টি বাছাই করতে হবে। আর যদি আপনার পাসপোর্টটির মেয়াদ থাকা সত্ত্বেও এমআরপি থেকে ই-পাসপোর্টে রূপান্তর করতে চান তাহলে CONVERSATION TO E PASSPORT অপশন টি বাছাই করবেন।
৬ষ্ঠ ধাপ- নিচে আপনার পূর্ববর্তী পাসপোর্ট এর নাম্বার এবং পাসপোর্ট এর মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ এবং পাসপোর্টটি কত তারিখে ইস্যু করা হয়েছিল সেটি উল্লেখ করুন। সাথে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বারটি দিতে হবে। আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র করে নিতে হবে।
পরবর্তী ধাপে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ও পারিবারিক তথ্য প্রদান করতে হবে।
৭ম ধাপ- এই পর্যায়ে এসে আপনাকে PASSPORT OPTION টি বাছাই করতে হবে। পাসপোর্ট টি আসলে কত পৃষ্ঠার ও কত বছর মেয়াদী রূপান্তর বা নবায়ন করতে চান সেটি ঠিক করে বা চুজ করে দিতে হবে। এখানে দুইটা অপশন দেয়া থাকবে। আপনাকে যে কোন একটি অপশন বাছাই করে নিতে হবে। পাসপোর্ট এর এই দুটি ধরনের ফি দুই রকমের সেটা আপনি নিজে দেখতে পাবেন।
৮ম ধাপ- এই ধাপে এসে আপনাকে Delivery Option and Appointment বাছাই করতে হবে। এটি হলো আপনার পাসপোর্টটির ডেলিভারির ধরন। সাধারণত Regular Delivery এর ক্ষেত্রে বেশি সময় লাগে এবং এক্সপ্রেস ডেলিভারিতে আপনি বেশি টাকা খরচ করে খুব দ্রুত পাসপোর্ট টি ডেলিভারি পেতে পারেন।
৯ম ধাপ- এবার আপনি আবেদনপত্র প্রিন্ট / আপনার সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য এবং যা যা পূরণ করেছেন সব একটি ফরমেটে দেখতে পাবেন এবং সেটি আপনাকে ডাউনলোড করে A4 কাগজে প্রিন্ট করে নিতে হবে। এখানে আপনার অনলাইনে আবেদন করার প্রক্রিয়া শেষ এবার আপনাকে যেতে হবে পাসপোর্ট ফি প্রদান করার প্রক্রিয়ায়।
পাসপোর্ট রিনিউ ফি
৪৮ পৃষ্ঠা ৫ বছর মেয়াদ সহ পাসপোর্ট | ৪৮ পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদ সহ পাসপোর্ট | ৬৪ পৃষ্ঠা এবং ৫ বছর মেয়াদ সহ পাসপোর্ট | ৬৪ পৃষ্ঠা এবং ১০ বছর মেয়াদ সহ পাসপোর্ট |
নিয়মিত বিতরণ: ৪,০২৫ টাকা | নিয়মিত বিতরণ: ৫,৭৫০ টাকা | নিয়মিত বিতরণ: ৬,৩২৫ টাকা | নিয়মিত বিতরণ: ৮,০৫০ টাকা |
জরুরী বিতরণ: ৬,৩২৫ টাকা | জরুরী বিতরণ: ৮,০৫০ টাকা | জরুরী বিতরণ: ৮,৬২৫ টাকা | জরুরী বিতরণ: ১০,৩৫০ টাকা |
অতীব জরুরী বিতরণ: ৮,৬২৫ টাকা | অতীব জরুরী বিতরণ: ১০,৩৫০ টাকা | অতীব জরুরী বিতরণ: ১২,০৭৫ টাকা | অতীব জরুরী বিতরণ: ১৩,৮০০ টাকা |
পাসপোর্ট রিনিউ ফি প্রদান প্রক্রিয়া
আপনি চাইলে অনলাইনেও পেমেন্ট করতে পারবেন। তবে এই সার্ভিসটি সবসময় এভেইলেবেল থাকবে এমনটা নয়। আপনি ব্যাংকে গিয়েও নির্ধারিত ফি প্রদান করতে পারবেন এবং সেখান থেকে একটি জমা রশিদ সংগ্রহ করবেন। বাংলাদেশের যেসকল ব্যাংকের মাধ্যমে পাসপোর্ট -রিনিউ বা নবায়ন ফি প্রদান করতে পারবেন সেগুলো হলো-
SONALI BANK, BANK ASIA, TRUST BANK, DHAKA BANK, ONE BANK, PREMIER BANK, A-CHALLAN
এছাড়াও অনলাইন এ চালানের মাধ্যমে ফি পরিশোধ করতে পারবেন এ জন্য এই লিংকে প্রবেশ করে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর ও পাসপোর্ট ফি বাছাই করুন। এরপরের জমা দেওয়ার পরিমাণ এবং আপনার টাকা জমা দেওয়ার গেটওয় সিলেক্ট করে টাকা জমা দিন।
পাসপোর্ট রিনিউ আবেদন ফরম জমা দেয়ার প্রক্রিয়া
- অনলাইন আবেদন কপি A4 কাগজে প্রিন্ট করে নিবেন
- মূল জাতীয় পরিচয় পত্র বা এনআইডি কার্ড এবং জন্ম নিবন্ধন সাথে রাখবেন
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করবেন
- রিনিউ অথবা রি ইস্যুর ক্ষেত্রে অবশ্যই মূল পাসপোর্ট টি সাথে রাখবেন
- হারানো পাসপোর্ট হলে জিডি কপি সাথে রাখুন
উপরোক্ত নচি গুলো নিয়ে আপনার নিকটস্থ বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে চলে যাবেন এবং সেখানে ডকুমেন্টগুলো জমা করবেন সাথে আপনার বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান করবেন। তাদের দেওয়া একটি ডেলিভারি স্লিপ সংগ্রহ করবেন। পাসপোর্ট- রিনিউ করার নিয়ম সম্পর্কে আর কোন তথ্য জানা না থাকলে ভিজিট করতে পারেন ই পাসপোর্ট এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।
পাসপোর্ট নবায়ন বা রিনিউ করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসসমূহ:
- মুল পরিচয় পত্র এবং জন্ম নিবন্ধন ফটোকপি
- অ্যাপোয়েন্টমেন্ট থাকলে সেটা সহ অনলাইন আবেদন কপি
- ব্যাংক থেকে প্রদত্ত ফি জমা রশিদ/ চালান কপি
- ইউটিলিটি বিলের ফটোকপি
- পূর্ববর্তী পাসপোর্ট এবং ডাটা পেজের প্রিন্ট কপি
- সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে GO/NOC (থাকলে)
- ১৮ বছরের কুম বয়ষ হলে পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID)
- ১৫ ছরের কুম বয়ষ হলে পিতা-মাতার পাসপোর্ট সাইজ ছবি অথবা বৈধ অভিভাবকের পাসপোর্ট সাইজ ছবি ।
- ৬ ছরের কুম বয়ষ হলে পাসপোর্ট সাইজ ছবি ও 3R সাইজের (সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড) ম্যাট পেপারে ল্যাব প্রিন্ট রঙ্গিন ছবি।
পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম সংক্রান্ত প্রশ্ন ও উত্তর
পাসপোর্ট- রিনিউ করতে কতদিন লাগবে
আপনি যখন অনলাইনে আবেদন করে কাগজপত্র বা ডকুমেন্টস সব কিছুু পাসপোর্ট অফিসে জমা দিবেন ঠিক সেদিন থেকে শুরু করে ডেলিভারির জন্য রেগুলার হলে ১৫ থেকে ২০ দিন এবং এক্সপ্রেস হলে হলে সর্বোচ্চ ৭ দিন সময় লাগবে।
কতদিন আগে পাসপোর্ট রিনিউ করতে হবে
যেহেতু পাসপোর্ট রিনিউ করার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই তাই আপনি যে কোন সময় পাসপোর্ট রিনিউ করতে পারেন। আবার যদি আপনি বিদেশে অবস্থান করেন অথবা বিদেশের ভিসা এপ্লাই করেন তাহলে আপনার পাসপোর্ট এর মেয়াদ শেষ হওয়ার 6 মাস আগেই পাসপোর্ট রিনিউ করে নিবেন। কেননা পাসপোর্ট এর মেয়াদ ছয় মাস না থাকলে কোন এম্বাসি ভিসা প্রদান করে না।
পাসপোর্ট রিনিউ জরিমানা কত
দীর্ঘদিন ধরে মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট রি-ইস্যু করাতে জরিমানা নেওয়া হতো। বর্তমানে জরিমানা ছাড়াই পাসপোর্ট রি-ইস্যু বা রিনিউ করা যায়।
আমি জন্ম নিবন্ধন দিয়ে পাসপোর্ট করেছি এখন সেটা দিয়ে রিনিউ করা যাবে কিনা?
আপনার বয়স যদি ২০ বছরের নিচে হয় অর্থাত কেউ যদি অপ্রাপ্ত বয়স্ক হয় তাহলে জন্ম নিবন্ধন দিয়ে পাসপোর্ট রিনিউ করতে পারবেন আর যদি আপনি প্রাপ্তবয়স্ক অর্থাৎ ২০ বছরের উপরে হন তাহলে অবশ্যই আপনাকে ভোটার আইডি কার্ড নিবন্ধন করতে হবে এটি বাধ্যতামূলক। এরপর আপনাকে ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে পাসপোর্ট রিনিউ করতে হবে।
পাসপোর্ট রিনিউ করলেও পুলিশ ভেরিফিকেশন হয়?
পাসপোর্ট রিনিউ করার ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশন এর দরকার হয় না। এটি নতুন পাসপোর্ট তৈরি বা পাসপোর্টের ভুল সংশোধন করার ক্ষেত্রে দরকার হয়।
পাসপোর্ট রিনিউ করতে কি ভোটার আইডি কার্ড বাধ্যতামূলক?
20 বছরের বয়স এর কম হলে পাসপোর্ট রিনিউ করতে ভোটার আইডি কার্ড বাধ্যতামূলক নয়। তবে 20 বছরের উপরে হলে অর্থাত প্রাপ্তবয়স্ক হলে অবশ্যই আপনার ভোটার আইডি কার্ড বাধ্যতামূলক।
Leave a Comment