এনআইডি একাউন্ট লক হলে করণীয় কি? এ বিষয়টি নিয়ে অনেকেই ধোয়াশায় থাকেন। আমার আজকের এই আর্টিকেলটি পড়লে আশা করি এনআইডি একাউন্ট লক হলে করণীয় সম্পর্কে ভালো ধারনা পাবেন।
আরো পড়ুন: এনআইডি কার্ডের জন্য আবেদন।
এনআইডি একাউন্ট লক হলে করণীয়
এনআইডি একাউন্ট লক হলে করণীয় কি বা জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড সম্পর্কিত যেকোনো সেবা পেতে বাংলাদেশ সরকারের Nid Service ওয়েব সাইটে অ্যাকাউন্ট নিবন্ধন করতে হয়। NID Card / জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড বা জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন, রি-ইস্যু অথবা অনলাইনে নতুন ভোটার হতে হলে একাউন্টে প্রবেশ করতে হয়। কিন্তু nid account locked হওয়ার কারণে লগইন করা যায় না।
এএনআইডি একাউন্ট লক হলে করণীয় এবং কি কি কারণে nid account locked bd হয়ে থাকে এ বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করবো। তাছাড়া আপনার এনআইডি একাউন্ট সুরক্ষিত রাখার জন্য কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে সেটাও জানিয়ে দেওয়া হবে।
এনআইডি একাউন্ট লক হলে করণীয়
এনআইডি একাউন্ট লক হলে করণীয় কি এবিষয়ে আলোচনায় যাওয়ার আগে জেনে নেয়া যাক NID Account Locked হওয়ার কারণসমূহ কি কি?
NID Account Locked হওয়ার কারণসমূহ:
NID Account বা জাতীয় পরিচয় পত্র এর একাউন্টটি লক হবার কয়েকটি কারণ রয়েছে। অনেক সময় নিজের ভুলের কারণে অথবা অন্য কারো ভুলের কারণে আপনার এনআইডি অ্যাকাউন্ট লক হয়ে যেতে পারে। প্রধানত দুটি কারণে NID Account / national Identity Card Locked হতে দেখা যায়-
- অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করার সময় ভুল তথ্য প্রদান করা বা ভুল ঠিকানা প্রদান করা।
- অ্যাকাউন্ট এ লগইন করার সময় বার বার সঠিক পাসওয়ার্ড প্রদান করতে ব্যার্থ হওয়া।
তাছাড়া মৃত ব্যক্তির একাউন্ট নির্বাচন কমিশন সিস্টেম হতে লক করা থাকে। মৃত ব্যক্তির আইডি কার্ডের নাম্বার এবং জন্ম তারিখ দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে গেলে প্রতিবার একই পেজ রিফ্রেশ হবে, কিন্তু এক্ষেত্রে Account Locked এমন ওয়ার্নিং দেখাবে না।
তাছাড়া যারা মানসিক প্রতিবন্ধি তাদের এনআইডি একাউন্ট লক করা থাকে। তবে এই লক এবং আমাদের সাধারণ মানুষের ভুলের কারনে সাময়িক সময়ের জন্য একাউন্ট লক সম্পূর্ণ আলাদা। আমাদের একাউন্ট সাধারণত ইনভেলিড এক্টিভিটির জন্য এবং হ্যাকারদের হাত থেকে সুরক্ষা করার করা হয়।
ভুল ঠিকানার জন্য NID Account Locked
NID সেবা পেতে হলে এনআইডি অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। একাউন্ট রেজিস্ট্রেশনের এক পর্যায় আইডি কার্ডের ঠিকানা যাচাই করতে হয়। ঠিকানা যাচাই করার জন্য জেলা, উপজেলা এবং থানার নাম বাছাই করতে হয়। এখানে কোন প্রকার ভুল ঠিকানা দিলে সেই একাউন্টটি লক করে দেয়া হয়।
তাই NID Account এ প্রবেশের সময় খুব সতর্কতার সহিত বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানার তথ্য দিতে হবে। ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্রটি করার সময় স্থায়ী এবং বর্তমান ঠিকানা যেটা দেয়া ছিলো আর একাউন্ট রেজিস্ট্রেশনের সময় প্রদত্ত ঠিকানার সাথে পুনরায় ইনপুটকৃত ঠিকানা যদি ম্যাচ না করে তাহলে একাউন্ট লক হয়ে যেতে পারে।
ভুল পাসওয়ার্ডের জন্য অ্যাকাউন্ট লক
একাউন্ট নিবন্ধন করার পর যেন একই কাজ পুনরায় করতে না হয় তার জন্য একাউন্টে পাসওয়ার্ড সেট করে রাখা হয়। পাসওয়ার্ড সেট করার আইডিয়াটা খুবই ভালো তবে পাসওয়ার্ড ভুলে যাওয়া একটি বিশাল সমস্যা। পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ না করার কারনে কেউ কেউ পাসওয়ার্ড ভুলে যায়। এর ফলে লগইন করার সময় ভুল পাসওয়ার্ড দিয়ে চেষ্টা করে।
আরো পড়ুন: এনআইডি সার্ভিস এর কাস্টমার কেয়ার।
পাসওয়ার্ড দিয়ে সংরক্ষিত এনআইডি একাউন্টে পর পর ৩ বার ভুল পাসওয়ার্ড লিখে লগইন করার চেষ্টা করলে একাউন্ট লক করে দেয়া হয়। অস্বাভাবিক কর্মকাণ্ড বিবেচনায় সিকিউরিটি সিস্টেম সাময়িক সময়ের জন্য Account Locked করে রাখে। ভোটার আইড‘র একাউন্ট লক হয়ে গেলে বিচলিত হওয়ার কোন কারণ নেই। কেননা এটি প্রকৃতপক্ষে একটি নিরাপত্তা সিস্টেম যা ব্যবহারকারীর নিরাপত্তার জন্যই করা হয়েছে এবং বেশ কয়েকটি উপায়ে লক হয়ে যাওয়া এনআইডি অ্যাকাউন্ট আনলক করা যায়। তো চলুন এবার দেখে নেওয়া যাক এনআইডি একাউন্ট লক হলে করণীয় কি এ বিষয়ে।
এনআইডি একাউন্ট লক হলে করণীয়
NID Account Locked হয়ে গেলে প্রথমেই অ্যাকাউন্টটি আনলক করার চেষ্টা করতে হবে এবং পরবর্তীতে যাতে Account টি আর Lock হয়ে না যায় তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। লক হয়ে যাওয়া একাউন্ট কিভাবে Unlock করা যায় তার কয়েকটি উপায় নিন্মে উল্লেখ করা হলো।
অটোমেটিক পদ্ধতি
- হেল্প সেন্টার 105 নাম্বারে কল দিয়ে
- নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করে
কোন একটি এনআইডি অ্যাকাউন্ট লক হবার পর সেটি ৭ দিন পর অটোমেটিকলি আনলক হয়ে যায়। তবে এখানে শর্ত আছে। শর্ত হচ্ছে লক হযে যাবার পরবর্তী সাতদিন আর একাউন্টে প্রবেশ করার চেষ্টা করা যাবে না। তার মানে হচ্ছে একাউন্ট ব্লক বিষয়টি টেম্পোরারি যা ৭ দিনের জন্য হয়ে থাকে। তবে যাদের আইডি কার্ড জরুরী ভিত্তিতে সংশোধন কিংবা ডাউনলোড করা প্রয়োজন তারা চাইলে সাত (০৭) দিন অপেক্ষা না করেও সাথেসাথে অথবা খুবই কম সময়ের মধ্যে NID Account Unlock করিয়ে নিতে পারবেন।সেটা কিভাবে? সেটি হলো-
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের এনআইডি বিভাগের কাস্টমার কেয়ার নাম্বার ১০৫ এ ফোন করে লক হয়ে যাওয়া অ্যাকাউন্ট আনলক করা যায়। কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধিকে আপনার সমস্যার কথাটি বুঝিয়ে বললে তারা আপনার অ্যাকাউন্টটি আনলক করে দিবে।
নির্বাচন কমিশন অফিসে উপস্থিত হয়ে আপনার একাউন্টটি লক হয়ে যাওয়ার কারণ উল্লেখ করে সেটি সমাধানের জন্য যোগাযোগ করতে হবে। নির্বাচন অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আপনার একাউন্ট কিনা সেটা নিশ্চিত হয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে এনআইডি বা জাতীয় পরিচয় পত্র এর অ্যাকাউন্ট আনলক করে দিবে।
NID অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখার উপায়
এনআইডি / জাতীয় পরিচয়পত্র সুরক্ষিত রাখার জন্য এবং পরবর্তীতে যাতে অ্যাকাউন্টটি আর লক হয়ে না যায় তার জন্য আপনার একাউন্টে একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড সেট করতে হবে। এনআইডির একাউন্টে পাসওয়ার্ড সেট করার সময় কোন User name না দিলে আপনার এন আইডি নাম্বার কে অটোমেটিক ইউজার নেম হিসেবে নিয়ে নেবে। তাই পাসওয়ার্ড সেট করার সময় একটি ইউনিক Username এবং Password দিবেন।
User Name না থাকলে যেহেতু NID Number কেই User Name হিসেবে কাউন্ট করে নেয় সেজন্য আপনার এনআইডি কার্ডের নাম্বারটি জানা থাকলে যে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে আপনার একাউন্টটি লক করে দিতে পারে। সুতরাং NID অ্যাকাউন্টটি সুরক্ষিত রাখার জন্য একটি ইউনিক ইউজার নেম এবং শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। কারো সাথে আপনার ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড শেয়ার করবেন না। এছাড়া বিস্তারিত জানতে
Leave a Comment