ডিপফেক প্রযুক্তি সবসময়ই মানুষকে বিশেষভাবে আকর্ষণ করে। বর্তমান টেকনোলজির দুনিয়ায় ডিপফেক প্রযুক্তি তো সবার কাছে হট টপিক। বাজারে এর সরবরাহও কম নয়।
আরো পড়ুন: ডার্ক ওয়েব কতটা ভয়াবহ?
বর্তমানে এমন সব ডিপফেক প্রযুক্তি অনলাইনে পাওয়া যায় যা রীতিমত ভয়ংকর। এজন্যই ভয়ংকর বললাম কারন সেগুলো দিয়ে আপনি বা যে কেউ ভয়ানক ক্রিমিনাল কাজ করে ফেলতে পারে। কারন এগুলো দিয়ে এমন সব ভিডিও বা ছবি বানানো যায় যা আসল নাকি নকল তা বোঝার কোন উপায় নেই। বিশেষ করে রাজনীতিতে এর ভয়াবহ প্রভাব ইতোমধ্যে পড়া শুরু হয়েছে। যদিও ব্যক্তি জীবনও এর বাইরে নয়। তবে আপনি চাইলে বন্ধুদের সাথে এগুলো মজা করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন। এখন আপনাদের মনে হয়ত প্রশ্ন জাগতে পারে তা ডিপফেক প্রযুক্তি আসলে কি?
ডিপফেক প্রযুক্তি
ডিপফেক প্রযুক্তি হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) কে কাজে লাগিয়ে ভুয়া ভিডিও বা ছবি তৈরি করার একটি সিস্টেম। এই ডিপফেক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এমন এমন সব ভিডিও বা ছবি তৈরি করা সম্ভব যেখানে মানুষ এমন সব কথা বলছে বা এমন কাজ করছে যা তারা প্রকৃতপক্ষে কখনো বলে নি বা করে নি।
ডিপফেক ভিডিও বা ছবি তৈরি করতে AI এর দুটি শাখা ব্যবহার করা হয়:
- মেশিন লার্নিং: এটি AI এর অন্যতম একটি শাখা। যেখানে একটি কম্পিউটারকে ডেটা থেকে শুরু করে সকল কিছু শেখানো হয় বা বলতে পারেন গেলানো হয়। ডিপফেক তৈরির ক্ষেত্রে এই মেশিন লার্নিং ব্যবহার করে কম্পিউটারকে মানুষের মুখ, কণ্ঠস্বর এবং শরীরের ভাষা সম্পর্কে শেখানো হয়। মেশিন লার্নিং পদ্ধতিটি আসলে আরো ব্যাপক। যা কোন আর্টিকেল এর মাধ্যমে আসলে সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ করা সম্ভব না। তবে মুল কথা এটুকুই। অপরটি হলো
- ডিপ লার্নিং: এটি মেশিন লার্নিং ব্যবস্থার একটি উন্নত রূপ। যেখানে কম্পিউটারকে আরও বেশি পরিমানে জটিল ডেটা শেখানো হয়। ডিপফেক তৈরির ক্ষেত্রে মূলত এই ডিপ লার্নিং ব্যবহার করেই কম্পিউটারকে আরও বাস্তবসম্মত ও গ্রহনযোগ্য ভুয়া ভিডিও তৈরি করতে শেখানো হয়। যা দেখে আমাদের বোঝার উপায় থাকে না যে ভিডিওটি বা ছবিটি আসল নাকি নকল।
আজ আমি আপনাদের সাথে সেই সব ডিপফেক প্রযুক্তি বা এপস গুলো নিয়ে আলোচনা করবো যেগুলো আমাদের জন্য খুব বেশি ক্ষতিকর নয় এবং আপনি এই সকল এপসগুলো আপনার গবেষণার কাজেও ব্যবহার করতে পারেন। তো চলুন শুরু করা যাক।
DeepSwap.ai
ডিপ সোয়াপ হলো ডিপফেক প্রযুক্তি এর এমন একটি ধরন যেখানে একটি কোন একজনের মুখের ভিডিওতে অন্য একজনের মুখ লাগানো হয়। ডিপ সোয়াপ কাজ করার জন্য প্রথমে এর একটি মডেলকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় যেখানে মুখের সঠিক আকার এবং এক্সপ্রেশন সম্পর্কে বোঝানো হয় বা প্রশিক্ষন দেয়া হয়। তারপরে এই মডেল ব্যবহার করে মুখের একটি ভিডিও থেকে মুখের অংশগুলি গ্রহণ করা হয় যা একটি নির্দিষ্ট ব্যক্তির মুখের সাথে সামঞ্জস্য রক্ষা করে কাজটি করা হয়। এরপর এই মডেল ব্যবহার করে সে মুখের আকৃতি এবং অভিব্যক্তি মডিফাই করে অন্যান্য ছবি বা ভিডিওর সাথে মিলিয়ে নকল একটি ভিডিও বানানো হয়।
ডিপ সোয়াপ প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা তথ্য তৈরি করা যেতে পারে। যেমন পলিটিকাল ভিডিও বা আইনী বিষয়ে জনগণের কাছে মিথ্যা তথ্য প্রচার করা অথবা একজন ব্যক্তির সাথে ভয়ঙ্কর কাজের চিত্র তৈরি করে সেই ব্যাক্তির সাথে প্রতারণা করা। অর্থাত এটা নিশ্চয় বুঝতে পারছেন যে, এই এপ ব্যবহার করে সমাজে বেশ ভালোই ঝামেলা পাকানো সম্ভব। আমার অনুরোধ থাকবে আপনারা মোটেও এমনটি করবেন না।
ডিপ সোয়াপ কিভাবে ব্যবহার করবেন?
১. প্রথমে ০২টি ভিডিওর প্রয়োজন:
- এর মধ্যে একটি হলো “উৎস” ভিডিও অর্থাত যে মুখটিকে নকল করা হবে।
- আর একটি হলো “লক্ষ্য” ভিডিও অর্থাত মুখটিকে যেভাবে বা যেমন করে সোয়াপ করা হবে।
২. এরপর AI অ্যালগরিদম ব্যবহার করে উভয় ভিডিও বিশ্লেষণ করা হয়।
৩. AI তার সংরক্ষনাগারে থাকা অ্যালগরিদম ব্যবহার করে নিম্নলিখিতগুলি কাজ গুলো করে:
- উৎস ভিডিওতে থাকা মুখের অবস্থান, অভিব্যক্তি এবং ত্বকের টেক্সচার গ্রহন করে।
- লক্ষ্য ভিডিওতে মুখের অবস্থান, অভিব্যক্তি এবং ত্বকের টেক্সচার প্রয়োগ করে।
৪. AI অ্যালগরিদম লক্ষ্য ভিডিওতে উৎস ভিডিওর মুখের একটি বাস্তবসম্মত সোয়াপ তৈরি করে।
Lensa AI
ডিপফেক প্রযুক্তির আরো একটি সাম্প্রতিকতম অ্যাপ হলো Lensa ai এপ। যা আপনার বা অন্য কারোর AI পোর্ট্রেট তৈরি করার জন্য ভাইরাল হয়েছে।এটা ঠিক ডিপফেক নয় এই অর্থে যে এটি আপনার মুখ অন্য মানুষের শরীরে বা ভিডিওতে রাখবে। যাইহোক, Lensa AI-তে কয়েকটি সেলফি থেকে আপনার ফটোরিয়ালিস্টিক পোর্ট্রেট তৈরি করার অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে। আরও কী, অ্যাপটি সুপারহিরো, অ্যানিমে এবং আরও অনেক কিছু সহ একাধিক শৈলীতে প্রতিকৃতি তৈরি করে।
লেন্সা এআই বাজারে নতুন এসেছে। এটাকে প্রকৃতপক্ষে ডিপফেক এপ বলা যায় না। এটা শুধু একজনের মুখ অন্য একজনের মুখের উপর জাস্ট বসিয়ে দেয়। Lensa AI যে কারো সামান্য কয়েকটি সেলফি (২০-২৫ টি) থেকে অসাধারণ ফটোরিয়ালিস্টিক পোর্ট্রেট তৈরি করে দিতে পারে।
বিভিন্ন শিল্পীদের কাজ এর উপর প্রশিক্ষন নেয়া: লেন্সা এআই কে বিভিন্ন শিল্পীদের কাজের উপর প্রশিক্ষিত করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে চিত্রশিল্পী, ভাস্কর এবং ফটোগ্রাফারসহ বিশ্বের নামকরা অনেক গুনি শিল্পীরা।
মানুষের মুখ এর উপর প্রশিক্ষন গ্রহণ: লেন্সা এআইকে বিভিন্ন মানুষের মুখের উপর প্রশিক্ষিত করা হয়। যা এটিকে মুখের বৈশিষ্ট্য সনাক্ত করতে এবং মুখের অভিব্যক্তি গুলো বুঝতে সাহায্য করে। যার উপর ভিত্তি করেই সে তার কাজ সম্পন্ন করে থাকে।
GANs: লেন্সা এআই GANs (Generative Adversarial Networks) নামক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আরেকটি শাখা ব্যবহার করে। GANs লেন্সা এআই কে বাস্তবসম্মত আর্ট তৈরি করতে সাহায্য করে।
লেন্সা এআই কিভাবে ব্যবহার করবেন?
- প্রথমে অ্যাপটিতে আপনার একটি ছবি আপলোড করতে হবে।
- এরপর আপনাকে বিভিন্ন শৈলী এবং রূপের মধ্যে থেকে আপনার পছন্দ অনুযায়ী শৈল্পিক কর্মটি বেছে নিবেন।
- এরপর লেন্সা এআই আপনার ছবির উপর আপনার বেছে নেওয়া শৈলী বা রূপ প্রয়োগ করবে।
- কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই লেন্সা এআই আপনার ছবির একটি শৈল্পিক রুপ প্রদান করবে।
লেন্সা এআই হলো একটি মজাদার এবং সৃজনশীল অ্যাপ। যা আপনাকে আপনার ছবি দিয়ে আকর্ষণীয় শিল্প কর্ম বানিয়ে দিতে পারে। যদিও অ্যাপটি সাধারণ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার জন্য বিনামূল্যে। আপনি যদি প্রতিকৃতি তৈরি করার চেষ্টা করেন তবে আপনাকে প্রতিটি সেটের জন্য অর্থ প্রদান করতে হবে বা অ্যাপটির প্রিমিয়াম সংস্করণে সদস্যতা নিতে হবে। LensaAI স্পষ্টতই এমন কয়েকটি অ্যাপের মধ্যে একটি যা প্রায় প্রতিবারই সত্যিই চিত্তাকর্ষক ফলাফল নিয়ে আসে এবং আপনি নিঃসন্দেহে এটির সাথে আসা ফটোগুলি আপনি বেশ উপভোগ করবেন।
ডিপফেকস ওয়েব
ডিপফেকস ওয়েব এমন একটি পরিষেবা যা আপনাকে সরাসরি ওয়েবে ডিপফেক ভিডিও তৈরি করার অনুমোদন দেয়৷ এটি মুখের ডেটা সংগ্রহ করে কাজ করে। এটি করার জন্য অর্থাত মুখের ডেটা সংগ্রহ করার জন্য ডিপ লার্নিং পদ্ধতি ব্যবহার করে। ডিপফেকস ওয়েব ভিডিও এবং মখের ছবিগুলো থেকে শিখতে এবং প্রশিক্ষণ নিতে প্রায় 4 ঘন্টা পর্যন্ত সময় নিতে পারে। এবং প্রশিক্ষিত মডেলকে ব্যবহার করে মুখগুলি অদলবদল করতে আরও 30 মিনিট সময় লাগে৷
তবে বিনামূল্যের সংস্করণটি ডিপফেক ভিডিওটি আউটপুট করতে প্রায় 5 ঘন্টার মত সময় নিবে। যেখানে প্রিমিয়াম সংস্করণটি মাত্র 1 ঘন্টার মধ্যে ভিডিওটি বানিয়ে দিতে পারে।এটি শক্তিশালী ক্লাউড জিপিইউ ব্যবহার করে। এটি সমস্ত ডেটা রেন্ডার করতে কয়েক ঘন্টা পর্যন্ত সময় নিতে পারে।
রিফেস এআই (Reface AI)
রিফেস এআই হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহার করে মুখ পরিবর্তনের জন্য তৈরি একটি অ্যাপ্লিকেশন। এটি আপনার মুখকে যেকোনো জায়গায় বসিয়ে ভিডিও এবং জিআইএফ (GIF)এ বানাতে সাহায্য করে। এর মাধ্যমে আপনি আপনার প্রিয় চরিত্রের ভূমিকা গ্রহণ করতে পারেন।কোন মজার দৃশ্যে আপনার মুখ বসিয়ে হাসিখুশি মিমস তৈরি করতে পারেন। এছাড়াও আপনি আপনার ফটোগুলিকে কার্টুনে পরিণত করতে পারেন এবং আপনার স্মৃতিগুলিকে একটি নতুন উপায়ে জীবন্ত করে তুলতে পারেন। যা দেখে বোঝার কোন উপায় থাকবে না এটি সত্যি নাকি মিথ্যে।
রিফেস এআই কিভাবে কাজ করে?
রিফেস এআই তার কাজ সমাধা করার জন্য ডিপ লার্নিং নামক একটি AI প্রযুক্তি ব্যবহার করে। এই প্রযুক্তি রিফেস এআইকে মুখের বৈশিষ্ট্যগুলি সনাক্ত করতে এবং মুখের ভাব অনুকরণ করতে শেখানোর জন্য প্রচুর পরিমাণে ডেটা গ্রহণ, সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণ করতে সাহায্য করে।
রিফেস এআই ব্যবহার করার জন্য:
- অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড: রিফেস এআই অ্যান্ড্রয়েড এবং iOS উভয় ডিভাইসের জন্য ব্যবহারযোগ্য।
- অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন: আপনি আপনার ইমেইল অ্যাড্রেস বা Google/Facebook অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন।
- যে কোন একটি ছবি বা ভিডিও আপলোড করুন: আপনি আপনার মোবাইল ফোন থেকে আপনার পছন্দমতো যে কোন একটি ছবি বা ভিডিও আপলোড করুন। এছাড়া চাইলে অনলাইন থেকে যে কোন ভিডিও বা ছবির URL ব্যবহার করতে পারেন।
- এবার আপনার মুখটি স্থাপন এর কাজ করুন: এখাানে আপনাকে তেমন কিছুই করতে হবে না। রিফেস এআই স্বয়ংক্রিয়ভাবেই আপনার মুখটি সনাক্ত করে নিবে। তবে যদি আপনি চান তাহলে আপনি ম্যানুয়ালিও এটিকে সামঞ্জস্য করে দিতে পারেন।
- টেমপ্লেট নির্বাচন করুন: রিফেস এআই এ বিভিন্ন ধরণের টেমপ্লেট পেয়ে যাবেন। যেমন ভিডিও, জিআইএফ, এবং মেম।
- আপনার সৃষ্টি সংরক্ষণ করুন এবং শেয়ার করুন: আপনি আপনার সৃষ্টি আপনার ফোনে সংরক্ষণ করতে পারেন এবং এটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতে পারেন।
রিফেস এআই-এর কিছু বৈশিষ্ট্য:
- মুখ অদল-বদল: আপনার মুখ যেকোনো ভিডিও বা জিআইএফ-এ স্থাপন করতে পারবেন।
- রিভাইভ: আপনার ফটোগুলিকে অ্যানিমেট এবং মুখগুলিকে কথা ও নাচাতে পারবেন।
- অবতার: আপনার মুখের অভিব্যক্তি অনুকরণ করে ব্যক্তিগতকৃত অবতার তৈরি করুন।
- মীম তৈরি করা: উন্নত সরঞ্জাম ব্যবহার করে মজার মজার মীমস তৈরি করতে পারবেন।
ইনস্টল করুন : অ্যান্ড্রয়েড / আইওএস – (ফ্রি, অ্যাপ–মধ্যস্থ কেনাকাটা সহ)
MyHeritage
মাই হেরিটেজ হলো আরেকটি ভাইরাল ডিপফেক অ্যাপ।অ্যাপটির গভীর নস্টালজিয়া বৈশিষ্ট্যটি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। কারণ এটি আপনাকে পুরানো ফটোগুলিকে অ্যানিমেট করার সুবিধা দেয়৷
মাই হেরিটেজ ব্যবহার করার নিয়ম
অ্যাপ ইনস্টল করুন: আপনার ডিভাইসের অ্যাপ স্টোর বা গুগল প্লে স্টোর থেকে “MyHeritage” অ্যাপটি সনাক্ত করুন এবং ইনস্টল করুন।
অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন বা সাইন ইন করুন: অ্যাপটি ইনস্টল করার পর আপনার MyHeritage অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন বা ইতিমধ্যে থাকা অ্যাকাউন্টে সাইন ইন করুন।
প্রোফাইল তৈরি করুন: আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন করার পর নতুন প্রোফাইল তৈরি করতে বা ইতিমধ্যে থাকা প্রোফাইল ব্যবহার করুন।
আপনার পরিবারের তথ্য সংগ্রহ করুন: MyHeritage অ্যাপের মাধ্যমে আপনি আপনার পরিবারের তথ্য যোগ করতে পারেন, যেমন ব্যক্তিগত তথ্য, পরিবারের সদস্যদের ছবি ইত্যাদি।
DNA টেস্ট করুন (ঐচ্ছিক): MyHeritage প্ল্যাটফর্মে আপনি আপনার DNA টেস্ট করতে পারেন এবং আপনার কৌলিক সন্তান এবং পরিবারের ইতিহাস সম্পর্কে আরও বেশি জানতে পারেন।
পরিবারের ইতিহাস সংগ্রহ করুন: MyHeritage অ্যাপের মাধ্যমে আপনি আপনার পরিবারের ইতিহাস সংগ্রহ করতে পারেন। যেমন পুর্বপুরুষদের বিয়ের রেকর্ড, সন্তান ও পরিবারের সদস্যদের জন্ম এবং মৃত্যুর তথ্য ইত্যাদি।
অ্যাপ ফিচার ব্যবহার করুন: MyHeritage অ্যাপের মাধ্যমে আপনি আপনার পরিবারের তথ্যের অনুসন্ধান করতে পারেন। আভিজ্ঞতা সংগ্রহ করতে পারেন। আপনার পরিবারের ইতিহাস নিয়ে ছবি ব্যবহার করতে পারেন এবং অন্যান্য ফিচার ব্যবহার করতে পারেন।
এই ধরণের অ্যাপ ব্যবহার করতে আপনার ইন্টারনেট সংযোগ ও একটি MyHeritage অ্যাকাউন্টের প্রয়োজন। আপনি সরাসরি অ্যাপ বা ওয়েব ভিত্তিক MyHeritage প্ল্যাটফর্মে আক্সেস পাবেন।
DeepFaceLab
DeepFaceLab হল মূলত একটি উইন্ডোজ প্রোগ্রাম যা আপনাকে ডিপফেক ভিডিও তৈরি করতে দেয।এটি প্রাথমিকভাবে কম্পিউটার ভিশনের গবেষক এবং শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি করা হয়েছিল। তবে আপনি যদি ডিপফেক ভিডিও বানাতে চান বা এ সম্পর্কে জানতে চান তাহল আপনি অবশ্যই এই টুলটি ব্যবহার করে দেখতে হবে। যেহেতু DeepFaceLab বেশিরভাগ গবেষকদের জন্য একটি উন্নত টুল সেহেতু এটির ইন্টারফেসটি সাধারন ব্যবহারকারীদের জন্য ব্যবহার বান্ধব নয় এবং আপনাকে ডকুমেন্টেশন থেকে এর ব্যবহার শিখতে হবে। সুতরাং এটি ব্যবহার করা একটু কষ্টসাধ্য।তাছাড়া এটি ব্যবহার করার জন্য ডেডিকেটেড হাই-এন্ড GPU সহ একটি শক্তিশালী পিসি দরকার। সহজ কথায় আপনি যদি কম্পিউটার ভিশনে বিশেষজ্ঞ হন তাহলে ডিপফেক ভিডিও আপনার জন্য ডিপফেসল্যাব একটি দুর্দান্ত হাতিয়ার হতে পারে।
গভীর শিল্প (DeepArt)
ডিপ আর্ট হল আরেকটি ভাইরাল অ্যাপ। এটিও প্রকৃতপক্ষে কোন ডিপফেক ভিডিও অ্যাপ নয়। এটি প্রাচীন শিল্প কাঠামো এবং পেইন্টিংয়ের উপর ভিত্তি করে ডিপফেক ছবি তৈরি করে দিতে পারে। যদিও এমন অনেক অ্যাপ রয়েছে যেগুলির এই একই বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তবে ডিপ আর্টের (DeepArt) এর অনন্য দিকটি হল এটি যে কোনও ফটোকে শিল্পকর্মে পরিণত করতে AI ব্যবহার করে। যার ফলে প্রাপ্ত ছবিটি এক অন্য লেভেলে চলে যায়।
অত্যন্ত উন্নত অ্যালগরিদমকে ব্যবহার করে মানুষের মস্তিষ্ক থেকে একে অনুপ্রাণিত করা হয়েছে এবং শৈল্পিক চিত্রগুলি পুনরায় তৈরি করতে জনপ্রিয় শিল্পকর্মের শৈলীগত উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে। ডিপ আর্ট বিভিন্ন শিল্পীর শৈল্পিক কাজ দ্বারা প্রশিক্ষিন প্রদান করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ভিনসেন্ট ভ্যান গঘ, লিওনার্দো দা ভিঞ্চি, মাইকেলেঞ্জেলো, পিকাসোসহ আরো জগত বিখ্যাত শিল্পিরা। আপনি যদি আর্ট এ কিছু চেষ্টা করতে চান তাহলে ডিপ আর্ট নিয়ে কাজ করতে পারেন।
ফেসসোয়াপ লাইভ
ফেসোয়াপ লাইভ কাজ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহার করে। এআই আপনার মুখের বৈশিষ্ট্যগুলি সম্পর্কে প্রথমে নিজে নিজে প্রশিক্ষন নেয়। তারপর সে মুখের বিভিন্ন অংশ ব্যবহার করে এবং সেগুলি অন্য মুখের উপর ম্যাপ করে। এটি নাক, মুখ এবং চোয়ালের মতো জিনিসগুলিও অন্তর্ভুক্ত করে।
ফেসোয়াপ লাইভ কিভাবে ব্যবহার করবেন?
- আপনাকে অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে।
- একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। তারপরে,
- আপনি যে মুখ ব্যবহার করতে পারেন তার একটি ছবি আপলোড করতে পারেন। অ্যাপটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার মুখের বৈশিষ্ট্যগুলি চালু করবে এবং সেগুলি পরীক্ষা ম্যাপ করবে।
- আপনি ইচ্ছ করলে আপনার মুখের অভিব্যক্তি পরিবর্তন করতে পারেন এবং অন্য মুখও পরিবর্তন করতে পারেন। আপনি এখানে ভয়েসও যোগ করতে পারেন।
ফেসোয়াপ লাইভ বিনামূল্যে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে কিছু বৈশিষ্ট্যের জন্য একটি প্রিমিয়াম সাব স্ক্রিপশন প্রয়োজন।
ফেসোয়াপ লাইভ ব্যবহার করার জন্য এখানে কিছু টিপস:
- ভালো আলোতে একটি ছবি ব্যবহার করুন।
- আপনার মুখের সমস্ত বৈশিষ্ট্য দৃশ্যমান তা নিশ্চিত করুন।
- আপনার মুখের অভিব্যক্তি পরিবর্তন করার সময় স্থির ব্যবস্থা নিশ্চিত করুন।
ফেসম্যাজিক
আরেকটি এআই-ভিত্তিক এবং ভাইরাল এপ হলো ফেসম্যাজিক এপ। FaceMagic ব্যবহার করে আপনি ভিডিও এবং ছবিতে আপনার পছন্দের মুখগুলি ব্যবহার করতে পারেন৷ এই অ্যাপের ইন অ্যাপ ফিড আপনাকে মুখ অদলবদল করার জন্য সুবিধা দেয়। তবে আপনার কাছে আপনার নিজের ফটো এবং ছবিগুলিকে ফেস সোয়াপ অবজেক্ট হিসাবে ব্যবহার করার সুয়োগ থাকবে এই এপটিতে। তাছাড়া আপনি বিনামূল্যে FaceMagic ব্যবহার শুরু করতে পারেন। তবে আপনি যদি নিজের সুবিধামত এটি ব্যবহার করে কাজ করতে চান এবং আনলিমিটেড কাজ করতে চান তাহলে আপনার এই এপটির প্রিমিয়াম সংসক্রনটি ব্যবহার করতে হবে। আর্ এটি করতে আপনার টাকা দিতে হবে।
অবতারীকরণ (Avatarify)
তালিকার পরে আমাদের কাছে রয়েছে Avatarify এপ। এটি একটি AI ফেস অ্যানিমেটর যা মুখের সংকেত ব্যবহার করে এবং তারপরে সেগুলিকে সন্নিবেশিত করে কাজ করে৷ Avatarify উপরে বর্ণিত ডিপফেক অ্যাপগুলির মতো একই নীতিতে কাজ করে তবে বুট করার জন্য এটির একটি বিস্তৃত সংগ্রহ রয়েছে।এটি ক্লাসিক অডিও থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক এমনকি আঞ্চলিক গানের সাথে সিঙ্ক করে আরও উন্নতমানের মাথা নড়াচড়ার কাজ করে দিতে পারে। এমনকি এটি ব্যবহার করে আপনি ডিপফেক এর উদ্দেশ্যে বিভিন্ন মীমও ব্যবহার করতে পারেন।
এমনকি Avatarify-এর একটি লাইভ মুডও রয়েছে। যা ব্যবহারকারীদের মুখ এবং ভয়েস রেকর্ড করতে দেয় এবং রিয়েল টাইমে Avatarify উপরে ওভারলেও করতে দেয়। তারপরে আপনি এটি রেকর্ড করতে পারেন এবং আপনার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম জুড়ে কনটেন্টটি শেয়ার করতে পারেন। যদিও এখানেও একটি অর্থপ্রদানের ব্যবস্থা রয়েছে যা ওয়াটারমার্কগুলিকে সরিয়ে দেয়।
ফেসপ্লে
ফেসপ্লে আমাদের তালিকার আরেকটি দুর্দান্ত ডিপফেক অ্যাপ। এটি অনেকটা রিফেস অ্যাপের মতো। অ্যাপটি বেশ কিছু ভিডিও, ছবি এবং GIF টেমপ্লেট ব্যবহার করার সুয়োগ দেয়।এটাকে বিনামূল্যে ব্যবহার করারও সুয়োগ আছে তবে কিছু টেমপ্লেট এর জন্য অর্থপ্রদান করতে হয় অথবা এর সদস্যতা নিতে হয়। অ্যাপটি ব্যবহার করার জন্য আপনাকে যা করতে হবে তা হল
- প্রথমে এপটি প্লেস্টোর থেকে ডাউনলোড/ইনস্টল করুন।
- আপনার ছবি আপলোড করুন
- একটি টেমপ্লেট নির্বাচন করুন। ব্যস আপনার কাজ শেষ। এবার অ্যাপটি কোনো জটিল পদক্ষেপ ছাড়াই এমন কিছু আপনাকে তৈরি করে দিবে যা দেখে আপনি অবাগ না হয়ে পারবেন না।
ডিপব্রেন
DeepBrain হল একটি উন্নতমানের ডিপফেক এপস বা সফ্টওয়্যার। অত্যাশ্চর্য ও জাল ভিডিও তৈরি করার সক্ষমতার কারণে ্রএর আলাদা নাম ডাক রয়েছে। ব্যবহারকারীদের মধ্যে এটি বেশ জনপ্রিয়। বর্তমানে এর ব্যবহার ব্যাপক। যারা উন্নত AI কৌশলগুলি ব্যবহার করে ডিপব্রেইন ঐ সকল ব্যবহারকারীদের জন্য একটি জনপ্রিয় এপ।
ডিপব্রেন কীভাবে কাজ করে তার কিছু নির্দিষ্ট উদাহরণ:
- স্ক্যান থেকে ডেটা বিশ্লেষণ: ডিব্রেন এআই অ্যালগরিদম তৈরি করে মেইডের স্ক্যান থেকে ডেটা ব্যবহার করে। এই তথ্যের সন্ধান এবং কার্যকারিতা সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে।
- এআই অ্যালগরিদম: ডিপব্রেন হার্ট এর স্ক্যান থেকে তথ্য বিশ্লেষণ করার জন্য এআই অ্যালগরিদম ব্যবহার করে। এই অ্যালগরিদমগুলি হার্ট এর কার্যকলাপকে অনুকরণ করতে পারে।
- বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োগ: ডিপব্রেন বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে রোগীর রোগ নির্ণয়, মিল-কম্পিউটার ইন্টারফেস এবং কৃত্রিম সাধারণ বুদ্ধিমত্তা।
Deepfakes এর কোন সুবিধা আছে কি?
হ্যাঁ, ডিপফেক প্রযুক্তির বিভিন্ন ধরনের বৈধ অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে। যা ব্যবহার করে নানা উপকারও করা সম্ভব। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, যখন অভিনেতারা নিজেরাই কিছু অনিবার্য কারণে সংশ্লিষ্ট কাজটি করতে সক্ষম না হন তখন এটি সুসংহত কাহিনীর সাথে সামজস্য রেখে চলচ্চিত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে।
ডিপফেকগুলি এতটাই দৃঢ়প্রত্যয়ী যে তারা নায়ক/নায়িকাদের যৌবনের চরিত্রগুলি পর্যন্ত দেখাতে পারে বা যারা মারা গেছে তাদের প্রতিস্থাপন করতে পারে। যাইহোক শুধুমাত্র সময়ই বলে দেবে যে এই প্রযুক্তি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তার পথ তৈরি করে এবং CGI কৌশলগুলিকে প্রতিস্থাপন করে কিনা।
ফ্যাশন খুচরা শিল্পও এই প্রযুক্তি থেকে ব্যাপকভাবে উপকৃত হতে পারে কারণ এটি কার্যত গ্রাহকদের সাজানোর উপায় খুঁজছে।
ডিপফেক ছবি বা ভিডিও সনাক্ত করার নিয়ম
ডিপফেক কনটেন্ট কি সনাক্ত করা সম্ভব? হ্যাঁ সম্ভব। যদিও কাচা হাতের তৈরি ডিপফেকগুলি খুব সহজেই ধরা যায়। উচ্চ মানের ডিপফেকগুলি লক্ষ্য সহজে চিহ্নিত করা কঠিন। প্রযুক্তির ক্রমাগত অগ্রগতির কারণেই এগুরো সনাক্ত করা কঠিন। তবে এমন অনেকগুলি লক্ষণীয় লক্ষণ রয়েছে যা ডিপফেকগুলিকে ধরিয়ে দিতে সাহায্য করে। যেমন,
- ঝাপসা ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট।
- অপ্রাকৃত চোখের নড়াচড়া বা শরীরের আকৃতি এবং চুল এর নাড়াচড়া।
- ডিজিটাল ব্যাকগ্রাউন্ড এ নয়েজ থাকা।
- রোবোটিক-শব্দযুক্ত কণ্ঠস্বর।
- অস্বাভাবিক ত্বকের রং।
- খারাপ ঠোঁট-সিঙ্কিং।
- বিশ্রী শরীর এবং/অথবা মাথার অবস্থান।
- ভুল জায়গায় ছায়া থাকা।
- কম চোখের পলক পড়া অথবা বেশি পলক পড়া।
ডিপফেক প্রযুক্তি রুখতে কি কি করা হচ্ছে?
- টুইটার এবং ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি ডিপফেককে তো নিষিদ্ধই করে দিয়েছে।
- গবেষণা ল্যাবগুলি ডিপফেকগুলি সনাক্ত করতে ব্লকচেইন এবং ওয়াটারমার্ক ব্যবহার করছে।
- সেন্সিটি এআই এবং ডিপট্রেসের মতো ফিল্টারিং প্রোগ্রামগুলি ডিপফেক সনাক্তকরণে ব্যক্তি এবং সংস্থাগুলিকে সহায়তা করছে৷
- মার্কিন সরকার বিল প্রবর্তন করে ডিপফেকের নেতিবাচক ব্যবহার মোকাবেলা করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে এবং ভার্জিনিয়া, টেক্সাস এবং ক্যালিফোর্নিয়ার মতো রাজ্যগুলি তাদের নিজেদের পদক্ষেপ নিয়েছে।
- সংস্থাগুলি সনাক্তকরণ প্রযুক্তি প্রয়োগ করছে। নতুন সুরক্ষা প্রোটোকল গ্রহণ করছে এবং কর্মীদের হুমকির প্রকৃতি সম্পর্কে শিক্ষিত করছে।
ডিপফেক প্রযুক্তির সম্ভাবনাময় দিকসমূহ
- বিনোদন: ডিপফেক প্রযুক্তি ব্যবহার করে চলচ্চিত্র এবং ভিডিও গেমের জন্য আরও বাস্তবসম্মত ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট তৈরি করা সম্ভব।
- শিক্ষা: ডিপফেক প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের জন্য আরও আকর্ষণীয় এবং ইন্টারেক্টিভ শিক্ষামূলক সামগ্রী তৈরি করা সম্ভব।
- স্বাস্থ্যসেবা: ডিপফেক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডাক্তারদের জন্য রোগীদের প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষা দেওয়ার জন্য আরও বাস্তবসম্মত সিমুলেশন তৈরি করা সম্ভব।
তবে ডিপফেক প্রযুক্তির অপব্যবহারেরও সম্ভাবনা রয়েছে যেমন:
- ভুয়া খবর ছড়ানো: ডিপফেক ব্যবহার করে এমন সব ভিডিও বানানো সম্ভব যা এমনভাবে দেখাবে যে, কেউ এমন কিছু বলছে বা করছে যা তারা আসলে কখনো বলে বা করে নাই।
- খ্যাতি নষ্ট করা: ডিপফেক ব্যবহার করে এমন ভিডিও তৈরি করা সম্ভব যা এমনভাবে দেখাবে যে কেউ এমন কিছু করছে যা তারা আসলে কখনো করে নাই, যার ফলে তাদের খ্যাতি নষ্ট হতে পারে।
- ডিজিটাল জালিয়াতি: ডিপফেক ব্যবহার করে এমন ভিডিও তৈরি করা সম্ভব যা দেখায় যে কোনও ঘটনা আসলে ঘটেছে যা আসলে কখনো ঘটেনি।
ডিপফেক প্রযুক্তি একটি শক্তিশালী হাতিয়ার যা ভালো এবং খারাপ উভয় কাজের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। এই প্রযুক্তির সম্ভাব্য সুবিধা এবং ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন থাকা গুরুত্বপূর্ণ।
সচরাচর জিজ্ঞাস্য
ডিপফেক অ্যাপস সম্পর্কে সাধারণভাবে জিজ্ঞাসিত কিছু প্রশ্নের উত্তর এখানে দেওয়া হল:
ডিপফেক অ্যাপস কি অবৈধ?
মোটেই না। এমন কোন আইন নেই যা সরাসরি ডিপফেক এপ গুলিকে নিষিদ্ধ করে। যতক্ষণ আপনি তাদের অপব্যবহার করছেন না ততক্ষণ আপনি কোনও সমস্যায় পড়বেন না।
বিনামূল্যের কোন ডিপফেক অ্যাপ্লিকেশন আছে কি?
হ্যাঁ, অনেক ডিপফেক অ্যাপ আছে যেগুলো আপনি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারেন। সবচেয়ে জনপ্রিয় কিছুগুলির মধ্যে রয়েছে Reface, Wombo, FaceApp এবং আপনি যদি অনলাইনে একটু খোঁজ করেন তাহলে আশা করি আরো অনেক ফ্রি ডিপফেক প্রযুক্তির এপ পেয়ে যাবেন।
কে গভীর নকল প্রযুক্তি বা ডিপফেক প্রযুক্তি তৈরি করেছে?
ডিপফেক প্রযুক্তির বিকাশ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং মেশিন লার্নিংয়ের অগ্রগতির ফলাফল এবং এটির জন্য কোন একজন একক সত্তা বা ব্যক্তিকে দায়ী করা যায় না। বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তিবিদ, গবেষক এবং এছাড়াও আরো প্রযুক্তি স্পেশেয়ালিস্ট এই প্রযুক্তি বানানোর পিছনে কাজ করেছে। একক কোন ব্যক্তি এটি তৈরি করেনি।
ডিপফেক কনটেন্ট বানানো কি সহজ?
হ্যাঁ, এই টেকনোলজির যুগে ডিপফেক কন্টটেন্ট/ভিডিও/ছবি তৈরি করা মোটেও কঠিন কোন কাজ নয়। ডিপফেক ভিডিও বা ফটো তৈরি করার জন্য আপনাকে কোন বিশেষজ্ঞ হতে হবে না। কারণ অনলাইনে এমন অনেক সহজে ব্যবহারযোগ্য ডিপফেক অ্যাপ পাওয়া যায় যেগুলোর সম্পর্কে ন্যূনতম জ্ঞান থাকলে ডিপফেক যেকোন কনটেন্ট খুব সহজেই বানিয়ে ফেলা যায়।
Leave a Comment