জমির মৌজা ম্যাপ: কিভাবে খুঁজে বের করবেন ও ডাউনলোড করবেন?

Last Updated On:

জমির মৌজা ম্যাপ

সূচিপত্র

জমির মৌজা ম্যাপ: কিভাবে খুঁজে বের করবেন ও ডাউনলোড করবেন?

জমির মৌজা ম্যাপ জমি ক্রয়-বিক্রয় অথবা জমি চিহ্নিতকরণের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দলিল। মৌজা ম্যাপ জমির মালিকানার প্রমাণ হিসেবেও বিবেচিত হয়।

আরো পড়ুনঃ জমির স্ট্যাম্প লেখার নিয়ম: সম্পূর্ণ গাইডলাইন

জমির মৌজা ম্যাপ কি?

মৌজা ম্যাপ হলো কোনো জমির নকশা। এই ম্যাপ দেখে আপনি আপনার জমির সঠিক অবস্থান এবং সীমানা জানতে পারবেন। মৌজা ম্যাপ বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে, যেমন: সিএস, এসএ এবং আরএস ম্যাপ।

সিএস

মৌজা ম্যাপ হলো জমির মালিকানার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণপত্র। এই ম্যাপগুলো জমির পরিচয় বহন করে এবং আইনি জটিলতা থেকে রক্ষা করে। বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের মৌজা ম্যাপ প্রচলিত আছে, তার মধ্যে সিএস, এসএ এবং আরএস ম্যাপ উল্লেখযোগ্য। এই ম্যাপগুলোর বৈশিষ্ট্য নিচে উল্লেখ করা হলো:

সিএস ম্যাপ (Cadastral Survey Map)

  • এটি সবচেয়ে পুরনো ম্যাপ, যা ব্রিটিশ আমলে তৈরি করা হয়েছিল।
  • এই ম্যাপ ১৮৮৮ সাল থেকে ১৯৪০ সালের মধ্যে তৈরি করা হয়েছে।
  • এই ম্যাপে জমির সীমানা, দাগ নম্বর এবং মালিকের নাম উল্লেখ করা আছে।
  • এই ম্যাপ এখনো অনেক জমির ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।

এসএ ম্যাপ (State Acquisition Survey Map)

  • এটি পাকিস্তান আমলে তৈরি করা হয়েছিল।
  • এই ম্যাপ ১৯৫৬ সাল থেকে ১৯৬২ সালের মধ্যে তৈরি করা হয়েছে।
  • এই ম্যাপে জমির মালিকানা এবং সীমানা বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা আছে।
  • এই ম্যাপ অনেক জমির ক্ষেত্রে সিএস ম্যাপের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়।

আরএস ম্যাপ (Revisional Survey Map)

  • এটি বর্তমান সময়ে তৈরি করা হচ্ছে।
  • এই ম্যাপে জমির সর্বশেষ অবস্থা এবং মালিকানার তথ্য উল্লেখ করা আছে।
  • এই ম্যাপ আগের ম্যাপগুলোর তুলনায় বেশি নির্ভুল এবং আধুনিক।
  • এই ম্যাপ বর্তমানে অনেক জমির ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে।

ম্যাপগুলোর মধ্যে পার্থক্য

বৈশিষ্ট্যসিএস ম্যাপএসএ ম্যাপআরএস ম্যাপ
সময়কাল১৮৮৮-১৯৪০১৯৫৬-১৯৬২বর্তমান সময়
নির্ভুলতাতুলনামূলকভাবে কমতুলনামূলকভাবে বেশিসবচেয়ে বেশি
ব্যবহারএখনো অনেক জমিতে ব্যবহৃতসিএস ম্যাপের পরিবর্তে ব্যবহৃতবর্তমানে অনেক জমিতে ব্যবহৃত

জমির মৌজা ম্যাপে প্রতিটি অংশের নিজস্ব কাজ রয়েছে। এই অংশগুলো জমির পরিচয় এবং মালিকানার তথ্য বহন করে। নিচে মৌজা ম্যাপের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলোর বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হলো:

১. দাগ নম্বর (Plot Number):

  • দাগ নম্বর হলো মৌজা ম্যাপের ক্ষুদ্রতম একক।
  • প্রতিটি জমির একটি নিজস্ব দাগ নম্বর থাকে।
  • এই নম্বর দিয়ে জমিকে সহজে শনাক্ত করা যায়।

২. খতিয়ান নম্বর (Khatian Number):

  • খতিয়ান নম্বরে জমির মালিকের তথ্য থাকে।
  • খতিয়ানে জমির মালিকের নাম, ঠিকানা এবং জমির পরিমাণ উল্লেখ করা থাকে।
  • একটি খতিয়ানে একাধিক দাগ নম্বর থাকতে পারে।

৩. সীট নম্বর (Sheet Number):

  • সীট নম্বর হলো মৌজা ম্যাপের একটি অংশ।
  • একটি মৌজা ম্যাপে একাধিক সীট থাকতে পারে।
  • সীট নম্বর দিয়ে ম্যাপের নির্দিষ্ট অংশ খুঁজে বের করা যায়।

৪. মৌজা (Mouza):

  • মৌজা হলো একটি গ্রামের প্রশাসনিক একক।
  • প্রতিটি গ্রামের নিজস্ব মৌজা ম্যাপ থাকে।

৫. উপজেলা (Upazila):

  • উপজেলা হলো জেলার একটি প্রশাসনিক অংশ।
  • প্রতিটি উপজেলার অধীনে একাধিক মৌজা থাকে।

৬. জেলা (District):

  • জেলা হলো বিভাগের একটি প্রশাসনিক অংশ।
  • প্রতিটি জেলার অধীনে একাধিক উপজেলা থাকে।

৭. বিভাগ (Division):

  • বিভাগ হলো বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামোর সর্বোচ্চ স্তর।
  • প্রতিটি বিভাগের অধীনে একাধিক জেলা থাকে।

মৌজা ম্যাপের এই অংশগুলো জমির মালিকানা এবং অবস্থানের তথ্য জানতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জমি ক্রয়-বিক্রয় বা অন্য কোনো আইনি কাজে এই তথ্যগুলো প্রয়োজন হয়।

জমির মৌজা ম্যাপ কিভাবে বের করবো?

অনলাইনে মৌজা ম্যাপ খোঁজার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উৎস। এছাড়াও, কিছু অন্যান্য সরকারি ওয়েবসাইটেও মৌজা ম্যাপ পাওয়া যায়। অনলাইনে মৌজা ম্যাপ দেখার জন্য নিম্নলিখিত তথ্যগুলো প্রয়োজন:

  • জেলা
  • উপজেলা
  • মৌজা নাম
  • খতিয়ান নম্বর
  • দাগ নম্বর

অনলাইন থেকে জমির মৌজা ম্যাপ বের করার পদ্ধতি

অনলাইনে মৌজা ম্যাপ দেখার জন্য এই ধাপগুলো অনুসরণ করুন:

১. প্রথমে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে যান: https://land.gov.bd/

জমির মৌজা ম্যাপ
জমির মৌজা ম্যাপ দেখার ওয়েবসাইট।

 

২. “মৌজা ম্যাপ” অপশনে ক্লিক করুন। এটি সাধারণত ওয়েবসাইটের মেনুবারে বা হোমপেজের কোথাও থাকে।

জমির মৌজা ম্যাপ
জমির মৌজা ম্যাপ

 

উল্লিখিত অপশনে ক্লিক করার পর নিচের ছবিটি আসবে। তারপর আমার দেখানো নিয়মে সামনে এগোতে থাকুন।

জমির মৌজা ম্যাপ
জমির মৌজা ম্যাপ

 

৩. একটি নতুন পেজ খুলবে যেখানে আপনাকে কিছু তথ্য দিতে হবে। প্রথমে আপনার জমির বিভাগ নির্বাচন করুন। বাংলাদেশ আটটি বিভাগে বিভক্ত, আপনার জমি যে বিভাগে অবস্থিত সেটি নির্বাচন করুন।

৪. এরপর আপনার জেলা নির্বাচন করুন। প্রতিটি বিভাগে অনেকগুলো জেলা রয়েছে, আপনার জমি যে জেলায় অবস্থিত সেটি নির্বাচন করুন।

৫. এরপর আপনার উপজেলা নির্বাচন করুন। প্রতিটি জেলায় অনেকগুলো উপজেলা রয়েছে, আপনার জমি যে উপজেলায় অবস্থিত সেটি নির্বাচন করুন।

৬. এরপর আপনার মৌজা নির্বাচন করুন। প্রতিটি উপজেলায় অনেকগুলো মৌজা রয়েছে, আপনার জমি যে মৌজায় অবস্থিত সেটি নির্বাচন করুন।

৭. এবার আপনার জমির খতিয়ান নম্বর লিখুন। খতিয়ান নম্বর হলো জমির মালিকানার দলিল নম্বর।

৮. এরপর আপনার জমির দাগ নম্বর লিখুন। দাগ নম্বর হলো জমির প্লট নম্বর।

৯. সবশেষে “খুঁজুন” বাটনে ক্লিক করুন।

কিছুক্ষণের মধ্যেই আপনার জমির মৌজা ম্যাপ স্ক্রিনে প্রদর্শিত হবে। আপনি চাইলে এটি ডাউনলোড বা প্রিন্ট করতে পারবেন।

যদি আপনার জমির খতিয়ান নম্বর বা দাগ নম্বর জানা না থাকে, তাহলে আপনি আপনার নিকটস্থ ভূমি অফিসে যোগাযোগ করে এই তথ্যগুলো সংগ্রহ করতে পারবেন।

জমির মৌজা ম্যাপ বের করার জন্য কি কি প্রয়োজন?

  • জমির মালিকের নাম
  • জমির ঠিকানা
  • জমির পরিমাণ
  • জেলা
  • উপজেলা
  • মৌজা নাম
  • খতিয়ান নম্বর
  • দাগ নম্বর

মৌজা সার্টিফাইড কপির জন্য আবেদন

মৌজা ম্যাপের সার্টিফাইড কপি হল মৌজা ম্যাপের একটি অফিসিয়াল অনুলিপি। এই কপি পাওয়ার জন্য আপনাকে কিছু ফি দিতে হবে এবং নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।

জমির মৌজা ম্যাপ এর জন্য কেন সার্টিফাইড কপি প্রয়োজন?

  • আইনি বৈধতা: সার্টিফাইড কপি একটি আইনি দলিল, যা জমির মালিকানা প্রমাণে সহায়ক।
  • সরকারি কাজে ব্যবহার: জমি সংক্রান্ত বিভিন্ন সরকারি কাজে (যেমন: নামজারি, খারিজ) সার্টিফাইড কপি প্রয়োজন হয়।
  • ঋণ গ্রহণে সুবিধা: ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার সময় জমির মালিকানার প্রমাণ হিসেবে সার্টিফাইড কপি জমা দিতে হয়।
  • মৌজা ম্যাপের সার্টিফাইড কপি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দলিল, যা জমির মালিকানা প্রমাণে সহায়ক। এই কপি সাধারণত বিভিন্ন সরকারি এবং আইনি কাজে ব্যবহৃত হয়। সার্টিফাইড কপি পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়, যা নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

    জমির মৌজা ম্যাপ সার্টিফাইড কপি কি?

    সার্টিফাইড কপি হলো মৌজা ম্যাপের একটি অফিসিয়াল অনুলিপি, যাতে সরকারি কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর এবং সিল থাকে। এই কপি আইনিভাবে স্বীকৃত এবং জমির মালিকানার প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

    কেন সার্টিফাইড কপি প্রয়োজন?

    • আইনি বৈধতা: সার্টিফাইড কপি একটি আইনি দলিল, যা জমির মালিকানা প্রমাণে সহায়ক।
    • সরকারি কাজে ব্যবহার: জমি সংক্রান্ত বিভিন্ন সরকারি কাজে (যেমন: নামজারি, খারিজ, ভূমি অধিগ্রহণ) সার্টিফাইড কপি প্রয়োজন হয়।
    • ঋণ গ্রহণে সুবিধা: ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার সময় জমির মালিকানার প্রমাণ হিসেবে সার্টিফাইড কপি জমা দিতে হয়।
    • মামলা-মোকদ্দমায় ব্যবহার: জমি সংক্রান্ত কোনো মামলায় সার্টিফাইড কপি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে বিবেচিত হয়।

    • সার্টিফাইড কপির জন্য আবেদনের প্রক্রিয়া

      সার্টিফাইড কপির জন্য আবেদন করার দুটি প্রক্রিয়া রয়েছে: অনলাইন এবং অফলাইন।

      ১. অনলাইনে আবেদন

      • ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে যান: প্রথমে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন: https://land.gov.bd/
      • “মৌজা ম্যাপ” অপশনে ক্লিক করুন: ওয়েবসাইটে “মৌজা ম্যাপ” অপশনটি খুঁজে বের করে ক্লিক করুন।
      • জমির তথ্য নির্বাচন করুন: আপনার জমির বিভাগ, জেলা, উপজেলা এবং মৌজা নির্বাচন করুন।
      • খতিয়ান ও দাগ নম্বর লিখুন: আপনার জমির খতিয়ান নম্বর এবং দাগ নম্বর লিখুন।
      • “খুঁজুন” বাটনে ক্লিক করুন: আপনার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মৌজা ম্যাপ প্রদর্শিত হবে।
      • “সার্টিফাইড কপির জন্য আবেদন” অপশনে ক্লিক করুন: মৌজা ম্যাপের নিচে অথবা পাশে “সার্টিফাইড কপির জন্য আবেদন” অপশনটি থাকবে, সেখানে ক্লিক করুন।
      • প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করুন: আপনার নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, ইমেইল (যদি থাকে) এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করুন।
      • ফি পরিশোধ করুন: অনলাইনে বিভিন্ন মাধ্যমে (যেমন: ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড, মোবাইল ব্যাংকিং) ফি পরিশোধ করুন।
      • আবেদন জমা দিন: আবেদনপত্র এবং ফি পরিশোধের রশিদ আপলোড করে আবেদন জমা দিন।

        ২. অফলাইনে আবেদন

        • নিকটস্থ ভূমি অফিসে যান: আপনার এলাকার নিকটস্থ ভূমি অফিসে যান।
        • আবেদনপত্র সংগ্রহ করুন: ভূমি অফিস থেকে মৌজা ম্যাপের সার্টিফাইড কপির জন্য আবেদনপত্র সংগ্রহ করুন।
        • প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করুন: আবেদনপত্রে আপনার নাম, ঠিকানা, জমির তথ্য এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করুন।
        • প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করুন: আপনার পরিচয়পত্র (যেমন: ভোটার আইডি কার্ড, পাসপোর্ট), জমির মালিকানার প্রমাণপত্র (যেমন: খতিয়ান, দলিল) এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করুন।
        • আবেদনপত্র ও কাগজপত্র জমা দিন: পূরণ করা আবেদনপত্র এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ভূমি অফিসে জমা দিন।
        • ফি পরিশোধ করুন: ভূমি অফিসে নির্ধারিত ফি পরিশোধ করুন।
        • রসিদ সংগ্রহ করুন: ফি পরিশোধের পর রশিদ সংগ্রহ করুন।

      • প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

        • আবেদনপত্র
        • পরিচয়পত্র (যেমন: ভোটার আইডি কার্ড, পাসপোর্ট)
        • জমির মালিকানার প্রমাণপত্র (যেমন: খতিয়ান, দলিল)
        • ফি পরিশোধের রশিদ

      • ফি

        মৌজা ম্যাপের সার্টিফাইড কপির জন্য সরকার নির্ধারিত ফি প্রযোজ্য। যেহেতু এটা সবসময় একই রকম থাকেনা তাই উল্লেখ করলাম না।

        সময়

        সার্টিফাইড কপি পেতে সাধারণত কয়েকদিন থেকে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

  • আবেদনপত্র
  • পরিচয়পত্র (যেমন: ভোটার আইডি কার্ড, পাসপোর্ট)
  • জমির মালিকানার প্রমাণপত্র (যেমন: খতিয়ান, দলিল)
  • ফি পরিশোধের রশিদ

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQ)

মৌজা ম্যাপ জমি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দলিল। এটি জমির মালিকানা, অবস্থান এবং সীমানা সম্পর্কিত তথ্য ধারণ করে। মৌজা ম্যাপ সম্পর্কে প্রায়শই কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়। এখানে কয়েকটি সাধারণ প্রশ্ন এবং তাদের উত্তর দেওয়া হলো:

১. জমির মৌজা ম্যাপ কি?

  • মৌজা ম্যাপ হলো কোনো জমির নকশা, যাতে জমির সীমানা, দাগ নম্বর, খতিয়ান নম্বর এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উল্লেখ থাকে।

২. মৌজা ম্যাপ কেন প্রয়োজন?

  • জমি ক্রয়-বিক্রয়, মালিকানা নির্ধারণ, সীমানা চিহ্নিতকরণ এবং আইনি জটিলতা নিরসনে মৌজা ম্যাপ প্রয়োজন।

৩. মৌজা ম্যাপ কোথায় পাওয়া যায়?

  • মৌজা ম্যাপ ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট (https://land.gov.bd/) এবং স্থানীয় ভূমি অফিসে পাওয়া যায়।

৪. মৌজা ম্যাপ কত প্রকার?

  • মৌজা ম্যাপ সাধারণত তিন প্রকার: সিএস, এসএ এবং আরএস ম্যাপ।

৫. সিএস ম্যাপ কি?

  • সিএস ম্যাপ হলো সবচেয়ে পুরনো ম্যাপ, যা ব্রিটিশ আমলে তৈরি করা হয়েছিল।

৬. এসএ ম্যাপ কি?

  • এসএ ম্যাপ পাকিস্তান আমলে তৈরি করা হয়েছিল।

৭. আরএস ম্যাপ কি?

  • আরএস ম্যাপ বর্তমানে তৈরি করা হচ্ছে এবং এটি সবচেয়ে আধুনিক ম্যাপ।

৮. মৌজা ম্যাপ কিভাবে ডাউনলোড করব?

  • ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে মৌজা ম্যাপ ডাউনলোড করা যায়।

৯. মৌজা ম্যাপের সার্টিফাইড কপি কি?

  • সার্টিফাইড কপি হলো মৌজা ম্যাপের একটি অফিসিয়াল অনুলিপি, যা আইনি কাজে ব্যবহার করা যায়।

১০. সার্টিফাইড কপির জন্য কিভাবে আবেদন করব? 

  • সার্টিফাইড কপির জন্য অনলাইনে বা স্থানীয় ভূমি অফিসে আবেদন করা যায়।

১১. মৌজা ম্যাপের দাম কত? –

  • মৌজা ম্যাপের দাম সরকার কর্তৃক নির্ধারিত।

১২. মৌজা ম্যাপ কতদিন পর্যন্ত বৈধ থাকে? –

  • মৌজা ম্যাপের সাধারণত কোনো নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে না, তবে প্রয়োজনে এটি আপডেট করা উচিত।

১৩. দাগ নম্বর কি? –

  • দাগ নম্বর হলো মৌজা ম্যাপের ক্ষুদ্রতম একক, যা দিয়ে জমিকে চিহ্নিত করা হয়।

১৪. খতিয়ান নম্বর কি? –

  • খতিয়ান নম্বরে জমির মালিকের তথ্য থাকে।

১৫. সীট নম্বর কি? –

  • সীট নম্বর দিয়ে ম্যাপের নির্দিষ্ট অংশ খুঁজে বের করা যায়।

১৬. মৌজা কি? –

  • মৌজা হলো একটি গ্রামের প্রশাসনিক একক।

১৭. উপজেলা কি? –

  • উপজেলা হলো জেলার একটি প্রশাসনিক অংশ।

১৮. জেলা কি? –

  • জেলা হলো বিভাগের একটি প্রশাসনিক অংশ।

১৯. বিভাগ কি? –

  • বিভাগ হলো বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামোর সর্বোচ্চ স্তর।

আরও তথ্য:

  • জমির মালিকানা সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন: https://land.gov.bd/
  • আপনি আপনার নিকটস্থ ভূমি অফিসেও যোগাযোগ করতে পারেন।

মনে রাখবেন:

  • জমির মালিকানা সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যায়, সর্বদা অভিজ্ঞ আইনজীবীর পরামর্শ নিন।
  • এই নিবন্ধটি শুধুমাত্র তথ্য প্রদানের উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে।

Tags

You might Also Enjoy.....

অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম

অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম (How to Buy Train Tickets Online)

Read More

অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন যাচাই

Read More
গর্ভবতী ভাতা

গর্ভবতী ভাতা: মাতৃত্বকালীন আর্থিক সহায়তার অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া

Read More

Leave a Comment

Join Us

Recommended Posts

অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম

অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম (How to Buy Train Tickets Online)

অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন যাচাই

গর্ভবতী ভাতা

গর্ভবতী ভাতা: মাতৃত্বকালীন আর্থিক সহায়তার অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া

জন্ম নিবন্ধন করার নিয়ম

জন্ম নিবন্ধন করার নিয়ম: একটি সম্পূর্ণ গাইড

জমির মৌজা ম্যাপ

জমির মৌজা ম্যাপ: কিভাবে খুঁজে বের করবেন ও ডাউনলোড করবেন?

কিমি

কিমি Kimi: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নতুন দিগন্ত

জমির স্ট্যাম্প লেখার নিয়ম

জমির স্ট্যাম্প লেখার নিয়ম: সম্পূর্ণ গাইডলাইন

About this site

সাইটটি মূলত টেকনোলজি রিলেটেড। নিত্য নতুন টেকনোলজি সম্পর্কে এখানে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। 

 

 

 

 

 

Top Rated Posts

প্রতিবন্ধী ভাতার আবেদন

প্রতিবন্ধী ভাতার আবেদন

জমির খাজনা চেক

জমির খাজনা চেক

পড়া মনে রাখার উপায়

পড়া মনে রাখার উপায়

জমির মালিকানা বের করার উপায়

জমির মালিকানা বের করার ‍উপায়

Recommended Posts

গুগল বার্ড কি?

গুগল বার্ড কি? গুগল বার্ড এর আদ্যোপান্ত।

ডিপফেক প্রযুক্তি

ডিপফেক প্রযুক্তি: সেরা ১২ টি ডিপফেক অ্যাপস। 

ডিপ ওয়েব

ডিপ ওয়েব: ডার্ক ওয়েব বনাম ডিপ ওয়েব।

ডেভিন

ডেভিন : প্রযুক্তির নতুন বিস্ময়।