এফিলিয়েট মার্কেটিং কি এ সম্পর্কে জানার আগ্রহ অনেকরই। আমরা অনেকেই এটি করে হিউজ ইনকাম করতে চাই। এবং এটি করা সম্ভবও বটে। তো চলুন কথা না বাড়িয়ে আসল কাজ শুরু করি।
আরো জানতে পড়ুন- ফেসবুক থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করতে হয়।
এফিলিয়েট মার্কেটিং কি ? এর উত্তরে বলা যায় এফিলিয়েট মার্কেটিং মূলত একটি ব্যবসায়িক মডেল। যেখানে আপনি কোনো একটি কোম্পানি/ প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা প্রচার করে তা বিক্রি করবেন বা বিক্রিতে সহায়তা করবেন। আর এই বিক্রি করায় সহায়তা করার জন্য সংশ্লিষ্ট কোম্পানি/ প্রতিষ্ঠান আপনাকে কমিশন দিয়ে থাকেন। সহজ কথায় যদি বলি তাহলে যা দাড়ায় সেটা হলো আপনি অন্যের পণ্য আপনার নিজেস্ব কোন সাইট বা পেজ ব্যবহার করে তা বিক্রি করে দিবেন বা বিক্রিতে সাহায্য করবেন। এটি ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি অংশ। যা ইন্টারনেট ব্যবহার করে করা হয়।
এফিলিয়েট মার্কেটিং কি
যখন আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং এ অংশ নিবেন, একজন এফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে আপনি একটি এফিলিয়েট লিঙ্ক পাবেন কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে, এবং এই লিঙ্ক ব্যবহার করে আপনি পণ্য বা সেবা প্রচার করবেন। যখন কেউ আপনার লিঙ্ক ব্যবহার করে একটি পণ্য কিনবে তখন আপনি কোম্পানির পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট পরিমানের কমিশন পাবেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং কি? ( What is Affiliate marketing?)
যে কোনো কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট, পণ্য কিংবা সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নিজের অনলােইন প্রোফাইল ব্যবহার করে উক্ত পণ্যের প্রমোট ও বিক্রির ব্যবস্থা করাকে এফিলিয়েট মার্কেটিং বলে। এক্ষেত্রে প্রতিটি সেলের বিপরীতে এ্যফিলিয়েট মার্কেটারকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন বা অর্থ দেওয়া হয় । অর্থাৎ আপনি যদি কোনো প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা বিক্রি করে দেন বা বাস্তবভাবে বিক্রিতে সহায়তা করতে পারেন তাহলে বিক্রয়ের উপর আপনাকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন দিবে।
আরেকটু সহজভাবে যদি বিষয়টি সম্পর্কে বলি, ধরুন আপনি দেশের স্বনামধন্য দারাজ কোম্পানির অ্যাফিলিয়েট অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে একটি ফ্রিজ বিক্রি করলেন বা বিক্রিতে সাহায্য করলেন যার মূল্য ৫০,০০০ টাকা। এখন আপনি যদি উক্ত বিক্রি হতে ৪% কমিশন পান তাহলে এখান থেকে আপনার আয় হবে ২০০০ টাকা। কোম্পানিভেদে আফিলিয়েট কমিশন এর পরিমাণ ভিন্ন হয়। বর্তমান সময়ে ব্লগার, ইউটিউবার, এবং সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার এই পদ্ধতি ব্যবহার করে বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্ট এবং সার্ভিস তাদের নিজেদের প্লাটফর্মে প্রচার করে থাকে। এর বিনিময়ে তারা কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে নিদৃষ্ট পরিমাণ কমিশন বা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পেয়ে থাকে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কীভাবে করা হয়
অনলাইনে এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে কাজ করে? কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে পণ্য বিক্রি করে? পণ্য বিক্রির এত জটিল হিসাব কিভাবে রাখে ইত্যাদি প্রশ্ন আপনার মনে ঘোরপাক খাচ্ছে নিশ্চয়। চিন্তার কারন নেই আমি এই বিষয় নিয়ে নিচে বিস্তারিত তুলে ধরছি।
এফিলিয়েট মার্কেটিং এ একজন সেলার বা পণ্য উৎপাদনকারী প্রথমে একটি বিশেষ প্রোগ্রাম তৈরি করেন যেখানে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটাররা এসে যুক্ত হয়। যখন কোনো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার এসব প্রোগ্রামে যুক্ত হয় তখন প্রত্যেককে একটি করে ইউনিক লিংক বা আইডি প্রদান করা হয়। এই আইডি বা লিংক ব্যবহার করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটাররা পন্যের প্রচার প্রচারণা চালায়। যখন কোনো ভিজিটর বা কাস্টমার উক্ত লিংক ব্যবহার করে ওয়েব সাইটে প্রবেশ করে তখন তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওয়েবসাইটগুলোতে ট্র্যাক করা হয়। এতে করে আপনি কতটি পণ্য বিক্রি করলেন তা সহজেই হিসাব রাখা যায়।
এফিলিয়েট লিংক ব্যবহার করে কোনো ক্রেতা পণ্য ক্রয় করলে তার একটি অংশ অ্যাফিলিয়েট বোনাস হিসেবে মার্কেটারের অ্যাকাউন্টে যুক্ত হয়। অনেক ক্ষেত্রে ক্রেতা যদি তাৎক্ষণিকভাবে কোনো পণ্য না ক্রয় করে কিছুদিন পরে ক্রয় করে সেক্ষেত্রেও এফিলিয়েট বোনাস যোগ হয়। এর পর জমা হওয়া টাকা এফিলিয়েট মার্কেটাররা মাসের নির্দিষ্ট তারিখে তোলে ফেলার সুযোগ পেয়ে থাকে।
কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং এ অংশ নিব
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য বিভিন্ন ধরনের এফিলিয়েট নেটওয়ার্ক ওয়েবসাইট রয়েছে। যেখানে মার্কেটাররা এফিলিয়েট প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে থাকে এবং বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য বিক্রি বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে চালু করে থাকে। এসব এফিলিয়েট নেটওয়ার্ক সাইট গুলোতে ভালো প্রোডাক্ট যেমন থাকে, ঠিক তেমনি স্ক্যাম বা ভূয়া প্রোডাক্টও থাকে।
তাই এফিলিয়েট প্রোগ্রামে অংশ নেওয়ার সময় সর্তক থাকতে হবে। বর্তমান সময়ে কিছু জনপ্রিয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটপ্লেস রয়েছে তার মাঝে অন্যতম হচ্ছে, shareasale, clickbank, CJ Affiliate, অ্যামাজন এসোসিয়েটস, eBay Partner, FlexOffers ইত্যাদি। এই সাইটগুলোতে খুব সহজেই অ্যকাউন্ট করে আপনার পচ্ছন্দের যেকোনো এফিলিয়েট প্রোগ্রামে অংশ নিতে পারেন।
আবার লক্ষ রাখতে হবে যে, এসকল প্রোগ্রামে বিভিন্ন ধরনের অবৈধ প্রোডাক্টও থেকে যেতে পারে। তাই এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর কাজ করার সময় এমন কোনো প্রোডাক্ট বেছে নেওয়া যাবে না যেগুলো দেশের প্রচলিত আইনে অবৈধ। যদি নির্ধারিত পণ্য বা সার্ভিসটি কোনোভাবে হারাম হয়ে থাকে তবে সেখান থেকে উপার্জন করা সম্পূর্ণ নাজায়েজ ও হারাম। যেমন অনেকে ডেটিং সাইটের সিপিএ করে থাকে, তবে সেখান থেকে উপার্জন করা সম্পূর্ণ নাজায়েজ ও হারাম হবে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং মার্কেটিং কিভাবে কাজ করে
এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে কাজ করে তা বুঝতে হলে আগে জানতে হবে এফিলিয়েট মার্কেটিং এ কে কে জড়িত থাকে। সাধারনত আমরা জানি যে, এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সাথে মোটামুটি চারটি পক্ষ জড়িত থাকে। তারা হলো-
- বিক্রেতা/ পণ্য উৎপাদনকারী
- ক্রেতা বা কাস্টমার
- অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্ক / মার্কেটপ্লেস
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার
ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে মূল কাজটি সম্পাদিত হলেও এখানে এফিলিয়েট নেটওয়ার্ক অভিভাবকের ভূমিকা পালন করে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটাররা সাধারণত অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্ক সাইট থেকে পেমেন্ট সংগ্রহ করে। তবে কিছু ক্ষেত্রে সরাসরি, কোনো প্রকার নেটওয়ার্ক বা মার্কেট প্লেসের সহযোগিতা ছাড়াই এফিলিয়েট মার্কেটিং করা হয়। সে ক্ষেত্রে পণ্য উৎপাদনকারী বা সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সরাসরি মার্কেটারদের কে পেমেন্ট করে থাকে।
এফিলিয়েট মার্কেটিং কি
আপনি যদি এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান তাহলে প্রথেমে আপনাকে যেকোনো এফিলিয়েট নেটওয়ার্ক গিয়ে আকাউন্ট করতে হবে। এরপর যেকনো পণ্য পচ্ছন্দ করে উক্ত পণ্যের জন্য এফিলিয়েট প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে এফিলিয়েট লিংকটি নিয়ে বিভিন্ন যায়গায় মার্কেটিং করতে হবে। যখন কেউ আপনার লিঙ্ক ব্যবহার করে একটি পণ্য কিনবে তখন আপনি কোম্পানির পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট পরিমানের কমিশন পাবেন।
জনপ্রিয় এফিলিয়েট মার্কেটপ্লেস
বর্তমান সময়ে জনপ্রিয় এফিলিয়েট মার্কেটপ্লেস গুলোর মধ্যে অন্যতম কয়েকটি হচ্ছে-
১। CJ Affiliate
এ প্রোগ্রামটি মূলত ডিজিটাল পণ্য নিয়ে নির্মিত। আপনি যদি ডিজিটাল পণ্য নিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের কাজ করতে চান তাহলে সবচেয়ে ভালো একটি অপশন হতে পারে CJ Affiliate। ডিজিটাল পণ্যগুলোর অন্যতম হচ্ছে ডোমেইন নেম, হোস্টিং সার্ভিস, ভিপিএস, সার্ভার, ওয়েবসাইট থিম ইত্যাদি।
২। Amazon Associates
বর্তমানে অ্যামাজন বিশ্বের শীর্ষের দিকে রয়েছে।তাদের সাইটে রেজিস্ট্রেশন করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ভালো পরিমাণে টাকা আয় সম্ভব। এখানে আপনি অ্যামাজনের বিভিন্ন পণ্যের অ্যাফিলিয়েট করতে পারবেন। পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে আপনি এ কাজটি করতে পারেন।
৩। eBay Partner
এটিও মূলত ফিজিক্যাল পণ্য বিক্রয়ের জন্য এফিলিয়েট প্রোগ্রাম। এটিও অ্যামাজনের মতোই অনেকটা এবং এখানেও প্রচুর কেনাবেচা হয়। Ebay এর যেকোনো পণ্যের জন্য আপনি এই প্রোগ্রামটি অংশ নিতে পারেন। তাছাড়া Ebay অনেক বড় কোম্পানি হওয়ায় আপনার টাকা লস হওয়ার কোনো সম্ভবনা নেই।
৪। Clickbank
Clickbank মূলত লীড জেনারেশনরই আরেক নাম। যা ডিজিটাল সার্ভিস রিলেটেড এফিলিয়েট প্রোগ্রাম। এখানে আপনাকে কোন পণ্য বিক্রি করতে হবে না। বরং একটি নির্দিষ্ট টার্গেট অনুযায়ী কোম্পানি গুলোর পণ্য বা সার্ভিস প্রচার করার জন্যই আপনাকে টাকা দিয়ে থাকে। এ জাতীয় পণ্যের মধ্যে ওয়েবসাইট প্রমোশন, নতুন নতুন অ্যাপ প্রমোশন, এবং বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল সার্ভিস প্রমোশনের জন্য কাজ করা হয়।
এফিলিয়েট মার্কেটিং কেন শিখবেন?
আমরা জানি যে, যখন কোনো ক্রেতা এফিলিয়েট লিংক ব্যবহার করে কোনো পণ্য ক্রয় করে তখন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটাররা বিক্রিত পণ্য থেকে কিছু অংশ কমিশন পেয়ে থাকে। এর জন্য আপনাকে বাইরে গিয়ে কাজ করতে হয় না। এবং আপনি ঘরে বসে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের পণ্য বা সার্ভিসের এফিলিয়েট করতে পারেন। এগুলো ছাড়াও এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের অনেক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে যেমন-
১) প্যাসিভ ইনকাম
এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে কোনো খুব বেশি পরিশ্রম না করেই ঘরে বসে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। শুধুমাত্র কনটেন্ট রাইটিং এবং প্রমোশনাল জিনিসপত্র তৈরির সময় বাদ দিলে বাকি সময়টা আপনাকে কোনো পরিশ্রম করতে হচ্ছে না। একজন এফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে আপনার কাজ হচ্ছে প্রোডাক্টের প্রমোশনাল কনটেন্ট তৈরি করা এবং তা সোশ্যাল মিডিয়া সহ বিভিন্ন জায়গায় পাবলিশ করা। ফলে আপনি আপনি যেকোনো পেশা মানুষই হোন না কেন, আপনি যদি কর্মঠ ও বুদ্ধিমান হোন তাহলে আপনি এটিকে প্যাসিভ ইনকাম সোর্স হিসেবে কাজে লাগাতে পারেন।
২) নিজের ইচ্ছা মত কাজ করার সুবিধা
একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে আপনাকে কখনো কোনো কঠিন কাজ করতে হবে না। বরং, আপনি আপনার ইচ্ছামত যে কোনো কোম্পানির সাথে এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এ অংশগ্রহণ করতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের এফিলিয়েট কোম্পানির প্রোগ্রাম বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। এতে আপনি নিজের পছন্দের এফিলিয়েট প্রোগ্রামটি পছন্দ করে কাজ শুরু করতে পারবেন। এছাড়া এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর জন্য কঠিন কোনো কনটেন্ট লিখতে হয় না। বরং কোম্পানির পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সকল ফাইল বা ডকুমেন্ট ও, ছবি পাঠিয়ে থাকে।
৩) ঝুকিমুক্ত অনলাইন ইনকাম
অনলাইনে ইনকামের জন্য সবচেয়ে সহজ ও ঝুঁকিমুক্ত কাজ হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং। এফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে আপনাকে কোনো পণ্য তৈরি করতে হয় না, কিংবা সরাসরি উপস্থিত হয়ে আপনাকে কোনো পণ্য বিক্রিও করতে হয় না। এখানে আপনার একমাত্র কাজ হচ্ছে পণ্য ক্রয় করতে ক্রেতাকে সাহায্য করা। এক্ষেত্রে বিক্রেতার পণ্য যদি বিক্রি না হয়, এজন্য আপনাকে কোনো সমস্যায় পরতে হবে হবে না। বরং একটি পণ্য বিক্রি না হলে আপনি অন্য পণ্য বিক্রির চেষ্টা করতে পারবেন। এফিলিয়েট মার্কেটারকে পণ্য বিক্রির পর কাস্টমার সাপোর্টও দিতে হয় না।
৪) উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ
আপনি আপনার অনলাইন ব্যবসার পাশাপাশি এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ভালো মানের টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাছাড়া আপনি যদি কম কাজ করতে পছন্দ করেন তাহলে এফিলিয়েট মার্কেটিং আপনার জন্য ভালো আয়ের মাধ্যম হতে পারে। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের অন্যান্য সেক্টরের সাথে তুলনা করলে এফিলিয়েট মার্কেটিং তুলনামূলক সহজ। এখানে খুব বেশি টেকনিক্যাল বিষয় জড়িত নয়।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কীভাবে শুরু করব ?
এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে তো অনেক কিছুই জানলাম এবার প্রশ্ন হতে পারে এ কাজটি কীভাবে শিখবো এজন্য প্রাথমিক ধাপ গুলো কি কি? এফিলিয়েট মার্কেটিং কি এবং কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে হবে সে সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা নিম্নে তুলে ধরা হল:
১। অডিয়েন্স গ্রুপ তৈরি করা
এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের প্রধান কাজ হচ্ছে অন্যকে পণ্য কিনতে সহযোগিতা করা। এজন্য এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে ভালো করার জন্য বড় একটি অডিয়েন্স গ্রুপ তৈরি করতে হবে। যেখানে আপনার অনেক অনুসারি থাকবে, এবং আপনি যদি কোনো পণ্যের প্রচার করেন সেখান থেকে পণ্য কেনার সম্ভবনা থাকে। এজন্য নিজের একটি এফিলিয়েট ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ, পিন্টারেস্ট প্রোফাইল, ইউটিউব চ্যানেল ইত্যাদি করতে পারেন।
২। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা
আপনার নিজের যদি একটি ব্লগ ওয়েবসাইট বা ফেসবুক পেজ থাকে তাহলে আপনি সেখানে এফিলিয়েট লিংক গুলো প্রমোট করবেন অর্থাত পণ্যটি বিক্রিতে সাহায্য করবেন। যদি কেউ আপনার ঐ লিংকে ক্লিক করে বা ঐ লিংক ব্যবহার করে কোনো পণ্য ক্রয় করে তাহলে এর একটি কমিশন আপনি পাবেন। বর্তমান সময়ে মানুষজন সোশ্যাল মিডিয়াতে অধিকাংশ সময় ব্যয় করে, ফলে সোশ্যাল মিডিয়াতে এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের প্রচার করলে সাফল্যর হার অধিকাংশ বেড়ে যায়।
৩। বিভিন্ন এফিলিয়েট প্রোগ্রামে অংশ নেওয়া
আপনার যদি বেশ ভালো একটি অডিয়েন্স গ্রুপ থাকে অথবা আপনার যদি ফেসবুক পেইজে বা ইউটিউব চ্যানেল থাকে আর সেখানে হিউজ পরিমাণ অডিয়েন্স থাকে অথবা হতে পারে আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইটে অনেক ভিজিটর আসে তাহলে আপনি নিজেই চেষ্টা করুন কোনো একটি ভালো এফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগ দিতে। আমাদের উপরে দেওয়া এফিলিয়েট মার্কেটপ্লেসগুলোতে অংশ নিতে পারেন, এগুলো অনেক সুনামধণ্য মার্কেটপ্লেস হওয়ার কারনে প্রতারনার ঝুঁকি থাকবে না।
৪। নির্দিষ্ট অডিয়েন্স টার্গেট করা
আপনি দেশী বা বিদেশী অডিয়েন্সকে টার্গেট করে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন। তবে প্রাথমিকভাবে কাজ শেখার জন্য বাংলাদেশি অডিয়েন্স কে টার্গেট করে কাজ করতে পারেন। এজন্য দারাজের মতো বিভিন্ন সাইটের অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে জয়েন করতে পারেন। আস্তে আস্তে যখন আপনি কাজ গুলো ভালোভাবে বুঝতে পারবেন তখন ইন্টারর্নেশনাল অডিয়েন্সকে টার্গেট করে Amazon, Flipcart, Ebay এর মত বড় বড় ওয়েবসাইটের এফিলিয়েট প্রোগ্রামে জয়েন করবেন।
শেষ কথাঃ
পরিশেষে বলা যায় যে, এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের শুরুতে আপনি অনেক বেশি সেল হয়তো পাবেন না কিন্তু আস্তে আস্তে তা বাড়তে থাকবে । এজন্য ধৈর্য সহকারে আপনাকে ধীর-স্থিরভাবে কাজ করে যেতে হবে। এবং নিয়মিত ভালোমানের কন্টেন দিয়ে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে মার্কেটিং করে যেতে হবে। এবং অন্যরা কিভাবে মার্কেটিং করতেছে সেদিকে ভালভাবে খেয়াল রাখতে হবে।
Leave a Comment