ইউরোপের কোন দেশের ভিসা পাওয়া সহজ এবং যাওয়ার খরচ সম্পর্কে জানতে পারলে আপনি খুব সহজে ইউরোপে পাড়ি জমাতে পারবেন। ইউরোপ মহাদেশে বর্তমানে স্বাধীন দেশ এর সংখ্যা ৪৮ টি। এর মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ২৭ টি। এই দেশগুলোকে সেনজেনভুক্ত দেশ বলা হয়।
আরো পড়ুন- ইউরোপ যাওয়ার সহজ উপায়।
সেনজেনভুক্ত যেকোনো একটি দেশের ভিসা পেলে আপনি বাকি দেশগুলোতে ভ্রমণ করতে পারবেন। এজন্য আলাদা কোন ধরনের ভিসা লাগবে না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদের নিকট বর্তমানে সেনজেনভুক্ত দেশগুলো অন্যতম একটি সেরা গন্তব্য।
এই আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে জানতে পারবেন ইউরোপের সেনজেনভুক্ত এমন কিছু দেশের নাম যেগুলোর ভিসা পাওয়া তুলনামূলকভাবে অনেক সহজ।
ইউরোপের কোন দেশের ভিসা পাওয়া সহজ
ইউরোপের সেনজেনভুক্ত বা ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত কয়েকটি দেশ রয়েছে যেসব দেশের ভিসা সহজে পাওয়া যায়। যারা ইউরোপে পড়াশোনা, ভ্রমণ কিংবা কাজের উদ্দেশ্যে যাবেন তাদের জন্য ভিসা পাওয়া আরও বেশি সহজ হবে।
আয়ারল্যান্ড- ইউরোপের কোন দেশের ভিসা পাওয়া সহজ
ইউরোপের সেনজেনভুক্ত দেশের তালিকায় সবচেয়ে শীর্ষস্থানে রয়েছে যে দেশটি তার নাম আয়ারল্যান্ড। এই দেশের সকল ধরনের ভিসা খুব সহজে পেয়ে যাবেন। ইউরোপের এই দেশে যেতে খরচ লাগবে আনুমানিক প্রায় ৮ থেকে ১২ লক্ষ টাকা। নিজেই নিজের ভিসা আবেদন সম্পন্ন করলে এর চেয়ে কয়েকগুণ কম খরচে ভিসা পাওয়া যায়। তবে এজেন্সির মাধ্যমে গেলে খরচ আরো বৃদ্ধি পেতে পারে। আয়ারল্যান্ড ভিসা অনুমোদন হার সবচেয়ে বেশি।
লিথুনিয়া- ইউরোপের কোন দেশের ভিসা পাওয়া সহজ
ইউরোপের দেশ হিসেবে ভিসা অনুমোদন হারের তালিকায় লিথুনিয়া দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি দেশ। সেনজেনভুক্ত এই দেশের শিক্ষার মান, জীবন যাপন মান এবং চিকিৎসা সেবার মান অনেক বেশি উন্নত। ইউরোপের এ সকল উন্নত দেশে যেতে হলে বাংলাদেশ থেকে আনুমানিক প্রায় ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। আপনার যদি লিথুনিয়া যাওয়ার যোগ্যতা এবং ডকুমেন্টস থাকে তাহলে আপনি খুব সহজিই স্টুডেন্ট, ওয়ার্ক পারমিট এবং টুরিস্ট ভিসায় এ দেশে যেতে পারবেন।
লাটভিয়া- ইউরোপের কোন দেশের ভিসা পাওয়া সহজ
লাটভিয়া ইউরোপের অন্যতম ধনী একটি দেশ। ভিসা অনুমোদন পাওয়ার হারের দিক বিবেচনা করলে এই দেশের অবস্থান দাড়ায় তৃতীয় স্থানে। লাটভিয়ায় খুবই অল্প খরচে উচ্চশিক্ষা লাভ করা যায়। স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে চাইলে বাংলাদেশ থেকে আনুমানিক প্রায় ৩ থেকে ৫ লক্ষ টাকা খরচ করে এই দেশে পড়াশোনার উদ্দেশ্যে যেতে পারবেন। কাজের উদ্দেশ্যে ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে গেলে খরচ পড়বে আনুমানিক প্রায় ৮ থেকে ১৩ লক্ষ টাকা।
ফিনল্যান্ড- ইউরোপের কোন দেশের ভিসা পাওয়া সহজ
ইউরোপের আরো একটি উন্নত দেশ হলো ফিনল্যান্ড। এই দেশটি ইউরোপের সেনজেনভুক্ত একটি দেশ। এই দেশে খুব সহজেই যাওয়া যায়। এই দেশের অধিকাংশই অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেক বেশি উন্নত এবং সেরা। এখানে আপনি পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করতে পারবেন। স্বপ্নের দেশ ফিনল্যান্ডে স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে হলে আপনাকে খরচ করতে হবে ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা।
ইউরোপের কোন দেশের ভিসা পাওয়া সহজ
ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে যেতে ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা আপনাকে গুনতে হবে। ফিনল্যান্ড ভিসা অনুমোদন সফলতার রেটে চতুর্থ অবস্থান ধরে রেখেছে। পরিচিত আত্মীয়-স্বজনদের মাধ্যমে গেলেন ভিসা খরচ অনেক কম পড়বে। তবে বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে গেলে খরচ আরো অনেক বেশি পড়তে পারে।
স্লোভাকিয়া- ইউরোপের কোন দেশের ভিসা পাওয়া সহজ
সহজে ইউরোপের ভিসা পাওয়া যায় এমন পাঁচটি দেশের মধ্যে স্লোভাকিয়ার অবস্থান শেষের দিকে। কারণ এই দেশের ভিসা অনুমোদন হার উপরোক্ত দেশগুলোর তুলনায় অনেক কম।। এই দেশে যেতে আনুমানিক খরচ পড়ে ১০ লক্ষ টাকার আশেপাশে।
উপরে উল্লেখিত দেশগুলো ছাড়াও বর্তমানে ইউরোপের মালটা, নেদারল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, পর্তুগাল, অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক এবং পোল্যান্ড দেশের ভিসা অনেক সহজেই পাওয়া যাচ্ছে। তবে এগুলোর মধ্যে সবগুলো দেশ কিন্তু সেনজেনভুক্ত নয়। এটা আপনাকে মনে রাখতে হবে।
ইউরোপের কোন দেশের ভিসা সহজে পাওয়া যায় এমন পাঁচটি দেশ সম্পর্কে উপর আলোচনা করা হয়েছে। প্রতিটি দেশে যাওয়ার যোগ্যতা থাকলে আপনি স্টুডেন্ট, ভিজিট, এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে প্রতিটি দেশে যেতে পারবেন। উক্ত যে কোনো একটি দেশের ভিসা পেলে আপনি সেনজেনভুক্ত অন্যান্য সকল দেশে ভ্রমন করতে পারবেন।
=========================================================
ইউরোপের যে কোন দেশে যেতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে। কারণ ইউরোপের স্বাধীন দেশ ৪৮টি দেশ রয়েছে। এই দেশগুলোকে ব্যয় বিবেচনায় তিন ক্যাটাগরিতে ভাগ করা যায়। উচ্চ, মধ্যম এবং নিম্ন ব্যয়ের দেশ।
পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোতে ব্যয় তুলনামূলক সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে। আবার ইনকামও সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে এসব দেশে। পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, স্পেন, এবং যুক্তরাজ্য ইত্যাদি।
ব্যয় বিবেচনায় মাধ্যমিক ক্যাটাগরিতে রয়েছে মধ্য ইউরোপের দেশগুলো। মধ্য ইউরোপের দেশগুলোর তালিকায় রয়েছে অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, এবং সুইজারল্যান্ড ইত্যাদি। পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোর তুলনায় এসব দেশে জীবনযাত্রার ব্যয় তৃণমূলক কম এবং ইনকামও কম।
ব্যয় বিবেচনায় সবচেয়ে নিম্ন ক্যাটাগরিতে রয়েছে পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো। পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোর তালিকায় রয়েছে বুলগেরিয়া, ক্রোয়েশিয়া, হাঙ্গেরি, লাতভিয়া, লিথুয়ানিয়া, পোল্যান্ড, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, এবং স্লোভেনিয়া ইত্যাদি।
আয় ও ব্যয় বিবেচনায় ইউরোপের একেক দেশে যেতে একেক রকম খরচ লাগে। যাদের স্বপ্ন ইউরোপের যেকোনো একটি দেশে পাড়ি জমানো কিন্তু ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে সে সম্পর্কে জানেন না তাদের জন্য এই আর্টিকেলটি।
ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে
ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাওয়ার খরচ আপনার অবস্থান, ভিসা ক্যাটাগরি এবং ভিসার মেয়াদের উপর নির্ভরশীল। এই খরচের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকবে ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফি, মেডিকেল ফি, বিমান ভাড়া এবং অন্যান্য খরচ। স্টুডেন্ট, ভিজিট এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে ইউরোপের যে কোন দেশে গেলে কত খরচ করবে সেটা সম্পর্কে নিচে একটি আনুমানিক
কম খরচে ইউরোপের কোন দেশে যাওয়া যায়?
অন্যান্য মহাদেশের তুলনায় ইউরোপ মহাদেশের বিভিন্ন দেশে যেতে সাধারনত সবচেয়ে বেশি খরচ হয়ে থাকে। ইউরোপের মধ্যে এমন কিছু দেশ রয়েছে যেগুলো ইউরোপের অন্যান্য দেশে যাওয়ার চেয়ে সেসব দেশে কম খরচ আপনি যেতে পারবেন।
কম খরচে ইউরোপ ভিসা নিয়ে যেসব দেশে যাওয়া যায় সেগুলোর তালিকা নিম্নে দেওয়া হলো:
- রোমানিয়া
- ফ্রান্স
- মালটা
- পর্তুগাল
- সুইজারল্যান্ড
- নেদারল্যান্ড
এসব দেশে বাংলাদেশ থেকে স্টুডেন্ট, টুরিস্ট এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন। এসব দেশ ভ্রমণকারীদের জন্য আদর্শ গন্তব্য হতে পারে। কারণ এসব দেশে গেলে পাবেন অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং ঐতিহাসিক স্থাপনা দেখার সুযোগ।
উক্ত দেশগুলোতে কাজের উদ্দেশ্যে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে আনুমানিক ৮ থেকে ১২ লক্ষ টাকা খরচ হয়। স্টুডেন্ট এবং টুরিস্ট ভিসায় গেলে তুলনামূলক খরচ কম হয়ে থাকে। বাংলাদেশে এসব দেশের দূতাবাস রয়েছে সেখানে যোগাযোগ করে ভিসা আবেদন করতে পারেন এবং প্রয়োজনীয় আরো ইনফরমেশন পেতে পারেন।
ইউরোপের কোন দেশে যাওয়া সহজ?
ইউরোপের সেনজেনভুক্ত যে কোন একটি দেশের ভিসা পেলে আপনি সেনজেনভুক্ত ইউরোপের সকল দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন। এজন্য ইউরোপের সেনজেনভুক্ত এবং ননসেনজেনভুক্ত দেশগুলোর তালিকা সম্পর্কে ধারণা নিন। সেনজেনভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে এমন কিছু দেশ রয়েছে যেগুলোতে ভিসা পাওয়া অনেক সহজ।
ইউরোপে সহজে ভিসা পাওয়া যায় এমন কিছু সেনজনভুক্ত দেশের তালিকা নিম্নে দেওয়া হলো:
- আয়ারল্যান্ড
- লিথুনিয়া
- লাতভিয়া
- ফিনল্যান্ড
- স্লোভাকিয়া
উক্ত দেশগুলোর ভিসা অনুমোদন হার অনেক বেশি। এজন্য অবশ্যই উক্ত দেশে যাওয়ার যোগ্যতা নিশ্চিত করতে হবে। এরপর উক্ত দেশের ভিসা আবেদন করলে খুব সহজে ভিসা অনুমোদন পেয়ে থাকেন।
স্টুডেন্ট, ভিজিট এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসা খুব সহজে পাওয়া যায়। উপরোক্ত যে কোন একটি দেশের ভিসা পেয়ে গেলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রায় সবগুলো দেশে ভিজিট করতে পারবেন। এসব দেশের জীবনযাপন মান, শিক্ষার মান, চিকিৎসা সেবার মান এবং কাজের মজুরি অনেক বেশি।
Leave a Comment